ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে ওষুধশিল্পের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরলেন প্রণয় ভার্মা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / 4

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারত–বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে ওষুধশিল্পের কৌশলগত তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। 

তিনি বলেন, এপিআই সোর্সিং, প্রক্রিয়াগত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন যন্ত্রপাতিতে ভারত বাংলাদেশের জন্য আস্থাভাজন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই খাতে সহযোগিতা বাড়লে শিল্পোন্নয়ন যেমন ত্বরান্বিত হবে, তেমনি অঞ্চলজুড়ে কোটি মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে।

হাই কমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘ফার্মা কানেক্ট’ নতুন ব্যবসায়িক সংযোগ গড়ে তুলবে এবং উদ্ভাবন-নির্ভর ভবিষ্যতমুখী কাঠামোর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততাকে আরও সম্প্রসারিত করবে।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান-বিনিময় অনুষ্ঠান ‘ফার্মা কানেক্ট’ আয়োজন করেছে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওষুধশিল্প প্রদর্শনী সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫-এ বাংলাদেশি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের আগে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে দুই দেশের ওষুধশিল্পের দীর্ঘদিনের পরিপূরক সম্পর্ক গুরুত্ব পায়।

অনুষ্ঠানে তা তুলে ধরা হয়, ভারতের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক ওষুধশিল্প এবং বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল উৎপাদন সক্ষমতা কীভাবে যৌথভাবে সাপ্লাই চেইনকে শক্তিশালী করতে পারে, নতুন প্রযুক্তি অর্জন সম্ভব করতে পারে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক গভীর করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই)-এর সভাপতি আবদুল মুকতাদিরসহ শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। তারা বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের বৈশ্বিক সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, গবেষণা ও উন্নয়ন, অংশীদারত্ব এবং সাপ্লাই চেইন একীকরণের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আরও গভীর সহযোগিতার সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা জানান, এই ধরনের উদ্যোগ আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি প্রযুক্তি অ্যাক্সেস সহজ করবে, সাপ্লাই চেইনের স্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগের নতুন পথ উন্মোচন করবে।

স্বাস্থ্য ও ওষুধশিল্প খাতে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও গভীর করতে হাই কমিশনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫-এ একাধিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এই আয়োজনকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্পমঞ্চ হিসেবে গণ্য করা হয়, যেখানে উৎপাদক, উদ্ভাবক, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকেরা একত্রিত হন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে ওষুধশিল্পের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরলেন প্রণয় ভার্মা

আপডেট সময় : ০৯:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারত–বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে ওষুধশিল্পের কৌশলগত তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। 

তিনি বলেন, এপিআই সোর্সিং, প্রক্রিয়াগত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন যন্ত্রপাতিতে ভারত বাংলাদেশের জন্য আস্থাভাজন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই খাতে সহযোগিতা বাড়লে শিল্পোন্নয়ন যেমন ত্বরান্বিত হবে, তেমনি অঞ্চলজুড়ে কোটি মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে।

হাই কমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘ফার্মা কানেক্ট’ নতুন ব্যবসায়িক সংযোগ গড়ে তুলবে এবং উদ্ভাবন-নির্ভর ভবিষ্যতমুখী কাঠামোর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততাকে আরও সম্প্রসারিত করবে।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান-বিনিময় অনুষ্ঠান ‘ফার্মা কানেক্ট’ আয়োজন করেছে।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওষুধশিল্প প্রদর্শনী সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫-এ বাংলাদেশি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের আগে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে দুই দেশের ওষুধশিল্পের দীর্ঘদিনের পরিপূরক সম্পর্ক গুরুত্ব পায়।

অনুষ্ঠানে তা তুলে ধরা হয়, ভারতের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক ওষুধশিল্প এবং বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল উৎপাদন সক্ষমতা কীভাবে যৌথভাবে সাপ্লাই চেইনকে শক্তিশালী করতে পারে, নতুন প্রযুক্তি অর্জন সম্ভব করতে পারে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক গভীর করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই)-এর সভাপতি আবদুল মুকতাদিরসহ শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। তারা বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের বৈশ্বিক সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, গবেষণা ও উন্নয়ন, অংশীদারত্ব এবং সাপ্লাই চেইন একীকরণের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আরও গভীর সহযোগিতার সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা জানান, এই ধরনের উদ্যোগ আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি প্রযুক্তি অ্যাক্সেস সহজ করবে, সাপ্লাই চেইনের স্থিতিশীলতা বাড়াবে এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগের নতুন পথ উন্মোচন করবে।

স্বাস্থ্য ও ওষুধশিল্প খাতে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও গভীর করতে হাই কমিশনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য সিপিএইচআই–পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫-এ একাধিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এই আয়োজনকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্পমঞ্চ হিসেবে গণ্য করা হয়, যেখানে উৎপাদক, উদ্ভাবক, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকেরা একত্রিত হন।