ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

অনলাইন ক্লাস যেখানে বিতর্কে এবং সেখানে পরীক্ষা কিভাবে যৌক্তিক হয়?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০
  • / 35

প্রাইম টিভি বাংলা : অনলাইন ক্লাস যেখানে বিতর্কে এবং সেখানে পরীক্ষা কিভাবে যৌক্তিক হয়? এমন একটি প্রশ্ন তুলেছেন একজন শিক্ষার্থী।

○১.বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা মানেই উচ্চবিত্ত বা উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থী নয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রচুর মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনা করে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের পরিবারের খরচ চালানোই দুষ্কর, সেখানে অনলাইন ক্লাসের এবং পরীক্ষার জন্য ডাটা কেনা বিলাসিতা বৈকি অন্য কিছুই না।

২. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা টিউশন বা পার্ট টাইম জব করে নিজেদের ভার্সিটির খরচ বহন করে। লক ডাউলের কারণে তারা সকলেই তাদের আয়ের উৎস থেকে দূরে। মানে অনেক দূরে!

৩. নর্থ-সাউথ, AIUB, IUB, BRAC কেই যদি আপনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মনে করেন। তবে আপনি ভূলের মধ্যে রয়েছেন। এগুলো বাদে আরো ৯৯ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে।গ্রামের নেট এর স্পীড সম্পর্কে আমাদের সবারই ধারণা রয়েছে। গ্রামে বসে অনলাইন ক্লাস করা যেখানেই দুষ্কর সেখানে পরীক্ষা কিভাবে সমাধান হয়?

৪. Engineering Subject গুলোর থিওরি ক্লাস যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বোঝা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে Practical Class অনলাইনে করানো কিভাবে সম্ভব হয়? কারন শুনতে একটু বাজে শোনালেও অধিকাংশ শিক্ষকদের ইন্টারনেটের সাথে আরো পরিচিতির দরকার আছে।

৫. ইতোপূর্বে যেহেতু কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হয় নি। তাই এই পরীক্ষা সম্পর্কিত কোন যথাযথ নীতিমালাও নেই।

৬. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যতই আশ্বাস দিক, তারা টিউশন ফি এর ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করার। নতুন সেমিস্টারের শুরুতে বা পরীক্ষার আগে ফি এর জন্য নোটিশ দিবে না বা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে না এমন কোন নিশ্চিতা UGC দিতে পারবে না। অতীত সাক্ষী।

#এখন আসি তথাকথিত তৈলাক্ত বিশেষজ্ঞ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের মন্তব্য নিয়ে৷ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে বা কার্যক্রম চালু না থাকলে বিল্ডিংয়ের ভাড়া বা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কীভাবে পরিশোধ করবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ?

– বেসররিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। আর ট্রাস্ট গুলো যেহেতু কল্যাণমূলক কাজের জন্য প্রতিষ্ঠা হয়। দুই-তিন মাসের খরচ বহন করতে যদি শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভর করতে হয় তাহলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সাথে কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের কোন পার্থক্য কোথায়? তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিবেচনা আপনারাই করুন !

মোঃসিফাতুল ইসলাম প্রান্ত , সাধারণ শিক্ষার্থী -সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অনলাইন ক্লাস যেখানে বিতর্কে এবং সেখানে পরীক্ষা কিভাবে যৌক্তিক হয়?

আপডেট সময় : ০৪:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০

প্রাইম টিভি বাংলা : অনলাইন ক্লাস যেখানে বিতর্কে এবং সেখানে পরীক্ষা কিভাবে যৌক্তিক হয়? এমন একটি প্রশ্ন তুলেছেন একজন শিক্ষার্থী।

○১.বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা মানেই উচ্চবিত্ত বা উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থী নয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রচুর মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনা করে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের পরিবারের খরচ চালানোই দুষ্কর, সেখানে অনলাইন ক্লাসের এবং পরীক্ষার জন্য ডাটা কেনা বিলাসিতা বৈকি অন্য কিছুই না।

২. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা টিউশন বা পার্ট টাইম জব করে নিজেদের ভার্সিটির খরচ বহন করে। লক ডাউলের কারণে তারা সকলেই তাদের আয়ের উৎস থেকে দূরে। মানে অনেক দূরে!

৩. নর্থ-সাউথ, AIUB, IUB, BRAC কেই যদি আপনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মনে করেন। তবে আপনি ভূলের মধ্যে রয়েছেন। এগুলো বাদে আরো ৯৯ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে।গ্রামের নেট এর স্পীড সম্পর্কে আমাদের সবারই ধারণা রয়েছে। গ্রামে বসে অনলাইন ক্লাস করা যেখানেই দুষ্কর সেখানে পরীক্ষা কিভাবে সমাধান হয়?

৪. Engineering Subject গুলোর থিওরি ক্লাস যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বোঝা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে Practical Class অনলাইনে করানো কিভাবে সম্ভব হয়? কারন শুনতে একটু বাজে শোনালেও অধিকাংশ শিক্ষকদের ইন্টারনেটের সাথে আরো পরিচিতির দরকার আছে।

৫. ইতোপূর্বে যেহেতু কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হয় নি। তাই এই পরীক্ষা সম্পর্কিত কোন যথাযথ নীতিমালাও নেই।

৬. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যতই আশ্বাস দিক, তারা টিউশন ফি এর ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করার। নতুন সেমিস্টারের শুরুতে বা পরীক্ষার আগে ফি এর জন্য নোটিশ দিবে না বা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে না এমন কোন নিশ্চিতা UGC দিতে পারবে না। অতীত সাক্ষী।

#এখন আসি তথাকথিত তৈলাক্ত বিশেষজ্ঞ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের মন্তব্য নিয়ে৷ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে বা কার্যক্রম চালু না থাকলে বিল্ডিংয়ের ভাড়া বা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কীভাবে পরিশোধ করবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ?

– বেসররিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। আর ট্রাস্ট গুলো যেহেতু কল্যাণমূলক কাজের জন্য প্রতিষ্ঠা হয়। দুই-তিন মাসের খরচ বহন করতে যদি শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভর করতে হয় তাহলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সাথে কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের কোন পার্থক্য কোথায়? তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিবেচনা আপনারাই করুন !

মোঃসিফাতুল ইসলাম প্রান্ত , সাধারণ শিক্ষার্থী -সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়