ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

আবারো ১৭৩-বাংলাদেশি শ্রমিকে দেশে পাঠালো সৌদি আরব

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯
  • / 36

সৌদি আরব প্রতিনিধি- সৌদি আরব থেকে আবারো ১৭৩ জন কর্মী দেশে ফেরত পাঠিলেন সৌদি। ২৫ অক্টোবর থেকে তিনদিন ব্যবধানে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন ৩৭৩ জন কর্মী। এর আগে শুক্রবার রাতে ২০০ জন কর্মী দেশে ফেরত যান। এ নিয়ে চলতি বছর প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফেরত এলো। গতকালও দেশে ফেরা কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সহায়তা প্রদান করে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। শনিবার ফেরত আসাদের মধ্যে ছিলেন একই পরিবারের দুই ভাই নড়াইলের নয়ন ও শুক্কুর মোল্লা। এ মধ্যে নয়ন চার বছর আগে সৌদি গিয়েছিলেন রংমিস্ত্রির কাজ নিয়ে। মাত্র দুই মাস আগে ছোট ভাই শুক্কুর মোল্লাকে একই কাজে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু দুজনকেই শূন্য হাতে গতকাল দেশে ফিরতে হয়েছে। নয়নের অভিযোগ, ছোট ভাই বাজার করতে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই খবর শুনে ছুটে যান তিনি। কিন্তু তার কোনো কথা শোনেনি সে দেশের পুলিশ। তাদের দুইজনকেই দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ভোলার ফুয়াদ হোসেন দুই বছর আগে ছয় লাখ টাকা খরচ করে ফ্রি ভিসার নামে পাড়ি জমান সৌদিতে। তিনি বলেন, বৈধ আকামা থাকার পরেও তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে কথা বললে তাকে বলা দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, ‘আপনারা এভাবে আসেন কেন? যেভাবে আসছেন সেভাবেই সমাধান করেন।’ কিশোরগঞ্জের শোয়েব হোসেন ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি বলেন, তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৮০ হাজার রিয়ালের সমপরিমাণ পণ্যসামগ্রী ছিল। তার আকামার মেয়াদও ছিল দুই মাস কিন্তু কোনো কিছুই তাকে রক্ষা করতে পারেনি। সৌদিতে সব সম্পদ ফেলে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হলো তাকে। স্বপ্নভঙ্গের এমন নানা সব ঘটনা প্রতিদিনই বিমানবন্দরে শুনতে হচ্ছে জানিয়ে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘সাধারণত ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে যাওয়ার প্রবণতা চলছে অনেকদিন ধরে। এভাবে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে অনেকেই ফেরত আসতে। কিন্তু এবার অনেকেই বলছেন, তাদের আকামা থাকার পরেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই অনেককে ফিরতে হচ্ছে, এমনকি তারা খরচের টাকার কিছুই তুলতে পারেননি।’ তিনি বলেন, এভাবে গিয়ে লোকজন যেন প্রতারিত না হয় সেই বিষয়টি আমাদের সবাই মিলে নিশ্চিত করতে হবে। তার আগে দূতাবাস ও মন্ত্রণালয়ের উচিত ফেরত আসার কারণগুলো সুনির্দষ্টভাবে চিহ্নিত করে যথাযথ প্রতিকার করা।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আবারো ১৭৩-বাংলাদেশি শ্রমিকে দেশে পাঠালো সৌদি আরব

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

সৌদি আরব প্রতিনিধি- সৌদি আরব থেকে আবারো ১৭৩ জন কর্মী দেশে ফেরত পাঠিলেন সৌদি। ২৫ অক্টোবর থেকে তিনদিন ব্যবধানে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন ৩৭৩ জন কর্মী। এর আগে শুক্রবার রাতে ২০০ জন কর্মী দেশে ফেরত যান। এ নিয়ে চলতি বছর প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফেরত এলো। গতকালও দেশে ফেরা কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য সহায়তা প্রদান করে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। শনিবার ফেরত আসাদের মধ্যে ছিলেন একই পরিবারের দুই ভাই নড়াইলের নয়ন ও শুক্কুর মোল্লা। এ মধ্যে নয়ন চার বছর আগে সৌদি গিয়েছিলেন রংমিস্ত্রির কাজ নিয়ে। মাত্র দুই মাস আগে ছোট ভাই শুক্কুর মোল্লাকে একই কাজে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু দুজনকেই শূন্য হাতে গতকাল দেশে ফিরতে হয়েছে। নয়নের অভিযোগ, ছোট ভাই বাজার করতে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই খবর শুনে ছুটে যান তিনি। কিন্তু তার কোনো কথা শোনেনি সে দেশের পুলিশ। তাদের দুইজনকেই দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ভোলার ফুয়াদ হোসেন দুই বছর আগে ছয় লাখ টাকা খরচ করে ফ্রি ভিসার নামে পাড়ি জমান সৌদিতে। তিনি বলেন, বৈধ আকামা থাকার পরেও তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে কথা বললে তাকে বলা দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, ‘আপনারা এভাবে আসেন কেন? যেভাবে আসছেন সেভাবেই সমাধান করেন।’ কিশোরগঞ্জের শোয়েব হোসেন ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি বলেন, তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৮০ হাজার রিয়ালের সমপরিমাণ পণ্যসামগ্রী ছিল। তার আকামার মেয়াদও ছিল দুই মাস কিন্তু কোনো কিছুই তাকে রক্ষা করতে পারেনি। সৌদিতে সব সম্পদ ফেলে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হলো তাকে। স্বপ্নভঙ্গের এমন নানা সব ঘটনা প্রতিদিনই বিমানবন্দরে শুনতে হচ্ছে জানিয়ে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘সাধারণত ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে যাওয়ার প্রবণতা চলছে অনেকদিন ধরে। এভাবে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে অনেকেই ফেরত আসতে। কিন্তু এবার অনেকেই বলছেন, তাদের আকামা থাকার পরেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই অনেককে ফিরতে হচ্ছে, এমনকি তারা খরচের টাকার কিছুই তুলতে পারেননি।’ তিনি বলেন, এভাবে গিয়ে লোকজন যেন প্রতারিত না হয় সেই বিষয়টি আমাদের সবাই মিলে নিশ্চিত করতে হবে। তার আগে দূতাবাস ও মন্ত্রণালয়ের উচিত ফেরত আসার কারণগুলো সুনির্দষ্টভাবে চিহ্নিত করে যথাযথ প্রতিকার করা।