ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮: আপিল বিভাগ স্থগিত করলো অনুমোদনের আদেশ ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠক শুরু ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ করবে এনসিপি নতুন বাংলাদেশ দিবস পুনর্বিবেচনা করছে সরকার আসিফ মাহমুদ25 ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বিশাল বিনিয়োগ করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন25 যমুনা সেতু থেকে সরানো হচ্ছে রেললাইন উভয় লেন হবে প্রশস্ত25 সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার25 অবৈধ সরকারের ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে একাই লড়েছি25 কুমারখালীতে উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত খিলক্ষেত মন্দির ধ্বংসে হিন্দু মহাজোটের প্রতিবাদ

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮: আপিল বিভাগ স্থগিত করলো অনুমোদনের আদেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ০ বার পড়া হয়েছে

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল আপিল বিভাগ। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আলোচিত এই বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ অনুমোদনের আদেশ আপাতত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রোববার (২৯ জুন) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ নিয়ে এই আদেশের ফলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাইকোর্টের রিট শুনানির নিষ্পত্তিতে কোনো বাধা রইল না। এ বিষয়ে শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় এই বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ এর অনুমোদন স্থগিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

কেন বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ গুরুত্বপূর্ণ:

  • ১৯৯৯ সালে মাসদার হোসেন মামলার রায়ে বিচার বিভাগ পৃথককরণে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

  • এর ভিত্তিতে বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ তৈরি হলেও তা নিয়ে বিতর্ক এবং আইনি জটিলতা তৈরি হয়।

  • বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যক্রম নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ নিয়ে সুস্পষ্ট গাইডলাইন প্রয়োজন ছিল।

এই রায়ে কী হলো?

✅ বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ অনুমোদনের আদেশ আপাতত স্থগিত।
✅ হাইকোর্টের রিট নিষ্পত্তিতে কোনো বাধা থাকল না।
✅ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার দিকে আরেকটি ধাপ অগ্রগতি হলো।

মাসদার হোসেন মামলার প্রাসঙ্গিকতা:

১৯৯৯ সালে মাসদার হোসেন মামলার ১২ দফা নির্দেশনায় বলা হয়:

  • বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা থাকবে।

  • বিচার বিভাগীয় নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ইত্যাদি বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বিধিমালা প্রণয়ন করবেন।

  • বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের থাকবে।

  • বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন এবং নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ থাকবে না।

এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ তৈরি হয়েছিল, যা নিয়ে আইনি বিতর্ক থেকে আজকের আপিল বিভাগের এই গুরুত্বপূর্ণ আদেশ এলো।

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ অনুমোদনের আদেশ স্থগিত করলো আপিল বিভাগ। ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এই রায়।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮: আপিল বিভাগ স্থগিত করলো অনুমোদনের আদেশ

আপডেট সময় : ০১:০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল আপিল বিভাগ। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আলোচিত এই বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ অনুমোদনের আদেশ আপাতত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রোববার (২৯ জুন) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ নিয়ে এই আদেশের ফলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাইকোর্টের রিট শুনানির নিষ্পত্তিতে কোনো বাধা রইল না। এ বিষয়ে শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় এই বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ এর অনুমোদন স্থগিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

কেন বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ গুরুত্বপূর্ণ:

  • ১৯৯৯ সালে মাসদার হোসেন মামলার রায়ে বিচার বিভাগ পৃথককরণে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

  • এর ভিত্তিতে বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ তৈরি হলেও তা নিয়ে বিতর্ক এবং আইনি জটিলতা তৈরি হয়।

  • বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যক্রম নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ নিয়ে সুস্পষ্ট গাইডলাইন প্রয়োজন ছিল।

এই রায়ে কী হলো?

✅ বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ অনুমোদনের আদেশ আপাতত স্থগিত।
✅ হাইকোর্টের রিট নিষ্পত্তিতে কোনো বাধা থাকল না।
✅ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার দিকে আরেকটি ধাপ অগ্রগতি হলো।

মাসদার হোসেন মামলার প্রাসঙ্গিকতা:

১৯৯৯ সালে মাসদার হোসেন মামলার ১২ দফা নির্দেশনায় বলা হয়:

  • বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা থাকবে।

  • বিচার বিভাগীয় নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ইত্যাদি বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বিধিমালা প্রণয়ন করবেন।

  • বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের থাকবে।

  • বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন এবং নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ থাকবে না।

এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ তৈরি হয়েছিল, যা নিয়ে আইনি বিতর্ক থেকে আজকের আপিল বিভাগের এই গুরুত্বপূর্ণ আদেশ এলো।

বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮ অনুমোদনের আদেশ স্থগিত করলো আপিল বিভাগ। ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এই রায়।