ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলাবাগানে ছয়তলা থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৩৪: সংখ্যা বিভ্রান্তি ও নতুন ব্যাখ্যা প্রকাশ ঢাকায় ২৩ মি.মি. বৃষ্টি, সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাইল্যান্ড কম্বোডিয়া যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের আহ্বান বিএনপির ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কিশোরগঞ্জে: নতুন রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার নাহিদ ইসলামের ভাঙ্গায় জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ অনুষ্ঠিত জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ অনুষ্ঠিত সদরপুরে বিএনপি নেতা রাকিবের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ নির্বাচনে এআই হুমকি: সিইসির সতর্ক বার্তা

দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কিশোরগঞ্জে: নতুন রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার নাহিদ ইসলামের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সমাজে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে দুর্নীতিকে চিরতরে বিলুপ্ত করা যায়নি। আমরা বলেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুরনো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা ও শেখ হাসিনার সংবিধানসহ সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন করে নতুন রাষ্ট্র ও নতুন সরকার গঠন করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা নতুন সরকার পেলেও নতুন দেশ এখনও পাইনি। জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ—নতুন দেশ না গড়া পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলতে থাকবে।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টায় কিশোরগঞ্জে “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা”র অংশ হিসেবে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে প্রত্যেক মানুষের কাছে নাগরিক সুবিধা পৌঁছাবে, প্রত্যেক মানুষ নাগরিক মর্যাদা পাবে। কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে, কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার পায়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু শিক্ষক নেই; হাসপাতাল আছে, কিন্তু চিকিৎসক নেই; যুবসমাজ আছে, কিন্তু কর্মসংস্থান নেই; অনেক বাজেট আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। আপনাদের এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি এই বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছিল। মানুষের মানবাধিকার ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। এই কিশোরগঞ্জ থেকেই আপনারা সেই ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

তরুণ নেতৃত্বকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল তরুণদের নেতৃত্বে। তরুণদের উপর আস্থা রেখে বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। আমরা আবারও বলছি—এই তরুণদের উপর আস্থা রেখে আপনারা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগ দিন। তরুণরা রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি। গণঅভ্যুত্থানের পরেও যদি তরুণদের কাজে লাগাতে না পারি, যদি এই তারুণ্যের শক্তিকে দেশ গঠনের কাজে ব্যবহার না করা যায়—বাংলাদেশকে আর কখনও গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। সংস্কার, বিচার এবং নতুন সংবিধানের দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। স্বৈরাচারের দোসররা এখনও বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে। এই কিশোরগঞ্জে এখনও অনেক মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। শহীদ পরিবারকে এখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আহত যোদ্ধাদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হুমকি দিচ্ছে। আমরা দেখতে চাই, এই সকল সন্ত্রাসীদের কে বা কারা শেল্টার দিচ্ছে। যারা শেল্টার দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এর আগে রাত ৮টায় শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা করে পুরানথানা এলাকায় সমাবেশস্থলে যান। এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে পুরো শহর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়ে। শহরের প্রধান সড়কে সমাবেশের আয়োজন করায় সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহনাফ সাঈদ খান, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আকরাম হোসেন রাজ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক খায়রুল কবির বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কিশোরগঞ্জে: নতুন রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার নাহিদ ইসলামের

আপডেট সময় : ১১:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সমাজে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে দুর্নীতিকে চিরতরে বিলুপ্ত করা যায়নি। আমরা বলেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুরনো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা ও শেখ হাসিনার সংবিধানসহ সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন করে নতুন রাষ্ট্র ও নতুন সরকার গঠন করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা নতুন সরকার পেলেও নতুন দেশ এখনও পাইনি। জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ—নতুন দেশ না গড়া পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলতে থাকবে।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টায় কিশোরগঞ্জে “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা”র অংশ হিসেবে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে প্রত্যেক মানুষের কাছে নাগরিক সুবিধা পৌঁছাবে, প্রত্যেক মানুষ নাগরিক মর্যাদা পাবে। কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে, কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার পায়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু শিক্ষক নেই; হাসপাতাল আছে, কিন্তু চিকিৎসক নেই; যুবসমাজ আছে, কিন্তু কর্মসংস্থান নেই; অনেক বাজেট আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। আপনাদের এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি এই বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছিল। মানুষের মানবাধিকার ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। এই কিশোরগঞ্জ থেকেই আপনারা সেই ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

তরুণ নেতৃত্বকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল তরুণদের নেতৃত্বে। তরুণদের উপর আস্থা রেখে বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। আমরা আবারও বলছি—এই তরুণদের উপর আস্থা রেখে আপনারা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগ দিন। তরুণরা রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি। গণঅভ্যুত্থানের পরেও যদি তরুণদের কাজে লাগাতে না পারি, যদি এই তারুণ্যের শক্তিকে দেশ গঠনের কাজে ব্যবহার না করা যায়—বাংলাদেশকে আর কখনও গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। সংস্কার, বিচার এবং নতুন সংবিধানের দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। স্বৈরাচারের দোসররা এখনও বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে। এই কিশোরগঞ্জে এখনও অনেক মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। শহীদ পরিবারকে এখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আহত যোদ্ধাদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হুমকি দিচ্ছে। আমরা দেখতে চাই, এই সকল সন্ত্রাসীদের কে বা কারা শেল্টার দিচ্ছে। যারা শেল্টার দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এর আগে রাত ৮টায় শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা করে পুরানথানা এলাকায় সমাবেশস্থলে যান। এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে পুরো শহর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়ে। শহরের প্রধান সড়কে সমাবেশের আয়োজন করায় সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহনাফ সাঈদ খান, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আকরাম হোসেন রাজ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক খায়রুল কবির বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।