“মানবতাবিরোধী ও পলাতকদের জন্য পাসপোর্ট রেশন বন্ধের নতুন নীতিমালা”
পাসপোর্ট দিবো না: মানবতাবিরোধী ও পলাতকদের পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ

- আপডেট সময় : ১২:১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
পাসপোর্ট দিবো না: মানবতাবিরোধী অপরাধী ও পলাতকদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত
বিগত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, দেশে ও বিদেশে পলাতক এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের আর পাসপোর্ট দিবো না—এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই তিন শ্রেণির ব্যক্তিদের পাসপোর্ট নবায়ন বা নতুন করে ইস্যু না করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কারা পাসপোর্ট পাবেন না?
১. মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি
২. দেশ-বিদেশে পলাতক ব্যক্তি
৩. ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি
এই তিন শ্রেণির ব্যক্তিদের জন্য পাসপোর্ট দিবো না—এই নীতির আওতায় তাদের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে।
সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এটি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সিদ্ধান্ত, যা গত ৪ মে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে গৃহীত হয়। এর ভিত্তিতে, ২২ মে আইন মন্ত্রণালয়ে তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়:
“মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ও দেশ ছাড়িয়ে পলাতক ব্যক্তিরা পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করছেন বা ভবিষ্যতে করতে পারেন। এই ধরনের আবেদন আইনের পরিপন্থী এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই তাদের পাসপোর্ট দিবো না—এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
বিদেশে পলাতকদের নিয়ন্ত্রণে নতুন পদক্ষেপ
আইন মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং জেলা প্রশাসকদের থেকে তালিকা সংগ্রহ করে, সংশ্লিষ্ট দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে পাঠানো হবে। তারা যাতে এসব ব্যক্তিদের পাসপোর্ট নবায়ন বা নতুন পাসপোর্ট ইস্যু না করে, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
অতীত পদক্ষেপ
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর, ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল—উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কেউ যাতে সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে পালাতে না পারে।
তবে এবার সরকার আরও কঠোর হয়ে “পাসপোর্ট দিবো না” নীতির মাধ্যমে মানবতাবিরোধী ও পলাতকদের আইনের আওতায় আনার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।