ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

উচ্ছেদের পর এবার বুড়িগঙ্গার তীরে দোকান বসালো খোদ বিআইডব্লিউটিএ!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / 49

প্রাইম টিভি বাংলা (অনলাইন)ঃ

রাজধানীর সদরঘাট এলাকার ওয়াইজ ঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে উচ্ছেদের পর এবার দোকান বসালো খোদ বিআইডব্লিউটিএ। গত ৬ মাস আগে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করলেও এবার বিআইডব্লিউটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ব্যবস্থাপনায় সদরঘাটের পাশ ঘেঁষে ওয়াইজঘাটে বসেছে শীত বস্ত্রের দোকান।
ফলে উচ্ছেদের পর নদী তীরে যে সৌন্দর্য আবহ সৃষ্টি হয়েছিল, তা আবার হারিয়ে গেছে।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ওয়াইজঘাট ও সোয়ারীঘাট এলাকার মধ্যবর্তি জায়গায় বাজার বসানোর জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই তিন মাসের জন্য প্রায় সোয়া দুই লাখ টাকায় আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে সেখানে বাজার বসানোর অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
জানাযায়,আনোয়ার হোসেন ঘাটশ্রমিক একতা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি। কাগজে-কলমে আনোয়ার হোসেনকে বাজার বসানোর অনুমতি দেওয়া হলেও এর পেছনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রহমান মিয়াজি, ওয়ার্ড যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাদের যোগ সাজসে চলছে এই অবৈধ বাজার।বিআইডব্লিউটিএর এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে অনেকে।বুড়িগঙ্গার তীরে এভাবে বাজার বসানোর অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ।ওয়াইজ ঘাটের একজন ফল ব্যবসায়ী জানান, একটি বাজার বসানোর অনুমতি দেওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকায়ও অনুরুপ দোকান কিংবা বাজার বসানোর চেষ্টা করবে। তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন ওই ফল ব্যবসায়ী।
আবার অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,বিআইডব্লিউটিএ নিজে রক্ষক হয়ে উচ্ছেদ করলেও ভক্ষকের বেশে নিজেরাই দোকান বসিয়েছে।এতে করে বেশী ভোন্তাতিতে পরেছে কেরানীগঞ্জ থেকে পারাপাড় হওয়া খেয়া ঘাট পাড়ি দেয়া সাধারন মানুষ।
এসকল দোকান সর্ম্পকে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (পোর্ট এন্ড ট্রাফিক) আরিফ উদ্দিন জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ শর্তসাপেক্ষে ৩মাসের জন্য ওয়াইজ ঘাটের পটুয়াখালীর লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে ১ ও ২ এর অংশ শীতবস্ত্র বিক্রির অনুমতি দেয়।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উচ্ছেদের পর এবার বুড়িগঙ্গার তীরে দোকান বসালো খোদ বিআইডব্লিউটিএ!

আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

প্রাইম টিভি বাংলা (অনলাইন)ঃ

রাজধানীর সদরঘাট এলাকার ওয়াইজ ঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে উচ্ছেদের পর এবার দোকান বসালো খোদ বিআইডব্লিউটিএ। গত ৬ মাস আগে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করলেও এবার বিআইডব্লিউটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ব্যবস্থাপনায় সদরঘাটের পাশ ঘেঁষে ওয়াইজঘাটে বসেছে শীত বস্ত্রের দোকান।
ফলে উচ্ছেদের পর নদী তীরে যে সৌন্দর্য আবহ সৃষ্টি হয়েছিল, তা আবার হারিয়ে গেছে।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ওয়াইজঘাট ও সোয়ারীঘাট এলাকার মধ্যবর্তি জায়গায় বাজার বসানোর জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই তিন মাসের জন্য প্রায় সোয়া দুই লাখ টাকায় আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে সেখানে বাজার বসানোর অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
জানাযায়,আনোয়ার হোসেন ঘাটশ্রমিক একতা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি। কাগজে-কলমে আনোয়ার হোসেনকে বাজার বসানোর অনুমতি দেওয়া হলেও এর পেছনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রহমান মিয়াজি, ওয়ার্ড যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাদের যোগ সাজসে চলছে এই অবৈধ বাজার।বিআইডব্লিউটিএর এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে অনেকে।বুড়িগঙ্গার তীরে এভাবে বাজার বসানোর অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ।ওয়াইজ ঘাটের একজন ফল ব্যবসায়ী জানান, একটি বাজার বসানোর অনুমতি দেওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকায়ও অনুরুপ দোকান কিংবা বাজার বসানোর চেষ্টা করবে। তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন ওই ফল ব্যবসায়ী।
আবার অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,বিআইডব্লিউটিএ নিজে রক্ষক হয়ে উচ্ছেদ করলেও ভক্ষকের বেশে নিজেরাই দোকান বসিয়েছে।এতে করে বেশী ভোন্তাতিতে পরেছে কেরানীগঞ্জ থেকে পারাপাড় হওয়া খেয়া ঘাট পাড়ি দেয়া সাধারন মানুষ।
এসকল দোকান সর্ম্পকে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (পোর্ট এন্ড ট্রাফিক) আরিফ উদ্দিন জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ শর্তসাপেক্ষে ৩মাসের জন্য ওয়াইজ ঘাটের পটুয়াখালীর লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে ১ ও ২ এর অংশ শীতবস্ত্র বিক্রির অনুমতি দেয়।