ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি শৈলকুপায় বেণীপুর স্কুলের ১২০ বছরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার পর এবার নেপাল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত ডাকসুতে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাল পাকিস্তান জামায়াত সব সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের র‌্যাংকিং করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ ট্রলারসহ ৩০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী

করোনা পরিস্থিতি: স্কুল শিক্ষক এখন কচু বিক্রেতা!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১
  • / 32

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: এক সময় তার অধীনে পাঠদান করাতেন ১১ জন স্কুলশিক্ষক। শিক্ষকদের বেতন দিতেন নিজ হাতে। নিজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাড়া দিতেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে আজ সেই স্কুলশিক্ষক জলিল মাস্টার একজন কচু ব্যবসায়ী। বন্ধ হওয়ার উপক্রম তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শেরপুরের নকলা ‘বেবি কেয়ার স্কুল’ ছিল ওই শিক্ষকের। প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হতো। করোনায় স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার কারণে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ওই স্কুলের শিক্ষক জলিল মাস্টার অন্যের ২০ শতাংশ জমিতে কচু চাষ শুরু করেছেন। কচু চাষ করে যে সামান্য আয় হয় তাই দিয়ে চলে তার পাঁচ সদস্যের সংসার। কচু ও লতি বিক্রি করে এখন সপ্তাহে মাত্র ৬০০ টাকা আয় করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

করোনায় ইতিমধ্যে জলিল মাস্টার সংসার চালাতে গিয়ে এরই মধ্যে দুই লাখ টাকা ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। স্কুলের আসবাবপত্র এরই মধ্যে বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন।

জলিল মাস্টারের মতো দুঃসময় কাটছে উপজেলার অধিকাংশ কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শিক্ষকদের। গত বছর সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় অনুদান পেয়েছিলেন মাত্র ৫০০ টাকা।

নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, করোনায় কর্মহীন বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষকদের অবস্থা খুবই করুণ। সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় অনুদান পেয়েছিলেন গত বছর হাতে গোনা কয়েকজন। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

করোনা পরিস্থিতি: স্কুল শিক্ষক এখন কচু বিক্রেতা!

আপডেট সময় : ০৫:২০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: এক সময় তার অধীনে পাঠদান করাতেন ১১ জন স্কুলশিক্ষক। শিক্ষকদের বেতন দিতেন নিজ হাতে। নিজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাড়া দিতেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে আজ সেই স্কুলশিক্ষক জলিল মাস্টার একজন কচু ব্যবসায়ী। বন্ধ হওয়ার উপক্রম তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শেরপুরের নকলা ‘বেবি কেয়ার স্কুল’ ছিল ওই শিক্ষকের। প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হতো। করোনায় স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার কারণে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ওই স্কুলের শিক্ষক জলিল মাস্টার অন্যের ২০ শতাংশ জমিতে কচু চাষ শুরু করেছেন। কচু চাষ করে যে সামান্য আয় হয় তাই দিয়ে চলে তার পাঁচ সদস্যের সংসার। কচু ও লতি বিক্রি করে এখন সপ্তাহে মাত্র ৬০০ টাকা আয় করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

করোনায় ইতিমধ্যে জলিল মাস্টার সংসার চালাতে গিয়ে এরই মধ্যে দুই লাখ টাকা ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। স্কুলের আসবাবপত্র এরই মধ্যে বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করে বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন।

জলিল মাস্টারের মতো দুঃসময় কাটছে উপজেলার অধিকাংশ কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শিক্ষকদের। গত বছর সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় অনুদান পেয়েছিলেন মাত্র ৫০০ টাকা।

নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, করোনায় কর্মহীন বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষকদের অবস্থা খুবই করুণ। সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় অনুদান পেয়েছিলেন গত বছর হাতে গোনা কয়েকজন। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।