ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জনগণ এখনই দিশেহারা, সামনে চাপ আরও বাড়বে: জি এম কাদের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩ ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের এখনই জনগণ দিশেহারা, সামনে চাপ আরও বাড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার রংপুর সফরে এসে স্থানীয় সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেওয়ায় বৈদেশিক ঋণ আহরণ কঠিন হয়ে গেছে। টাকা ছাপিয়ে অর্থায়ন করতে হচ্ছে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এবারের জাতীয় বাজেট হয়েছে নির্বাচনমুখী। মানুষের স্বার্থ পূরণ হয়নি। আইএমএফ যে শর্ত দিয়েছে, তা সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী। আইএমএফ যে ঋণ দিচ্ছে, তাতে ৩০টি শক্ত শর্ত রয়েছে। বিভিন্ন খাতে তারা ভর্তুকি কমাতে বলেছে।

তিনি বলেন, এগুলো বেশিরভাগ গরিব মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি। এর পরও সরকার দেশের স্বার্থ না দেখে আইএমএফের ঋণ নিতে চাচ্ছে। ফলে আমদানিতে পড়েছে প্রভাব, নিত্যপণ্যের বাজারে জ্বলছে আগুন।

জি এম কাদের আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। ডলারের দাম বেড়েছে। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তগুলোকে জাতীয় পার্টি আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দিলেও তারা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।

এ সময় বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, রংপুর সিটির মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জনগণ এখনই দিশেহারা, সামনে চাপ আরও বাড়বে: জি এম কাদের

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের এখনই জনগণ দিশেহারা, সামনে চাপ আরও বাড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার রংপুর সফরে এসে স্থানীয় সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেওয়ায় বৈদেশিক ঋণ আহরণ কঠিন হয়ে গেছে। টাকা ছাপিয়ে অর্থায়ন করতে হচ্ছে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এবারের জাতীয় বাজেট হয়েছে নির্বাচনমুখী। মানুষের স্বার্থ পূরণ হয়নি। আইএমএফ যে শর্ত দিয়েছে, তা সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী। আইএমএফ যে ঋণ দিচ্ছে, তাতে ৩০টি শক্ত শর্ত রয়েছে। বিভিন্ন খাতে তারা ভর্তুকি কমাতে বলেছে।

তিনি বলেন, এগুলো বেশিরভাগ গরিব মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি। এর পরও সরকার দেশের স্বার্থ না দেখে আইএমএফের ঋণ নিতে চাচ্ছে। ফলে আমদানিতে পড়েছে প্রভাব, নিত্যপণ্যের বাজারে জ্বলছে আগুন।

জি এম কাদের আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। ডলারের দাম বেড়েছে। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তগুলোকে জাতীয় পার্টি আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দিলেও তারা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।

এ সময় বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, রংপুর সিটির মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।