ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নালিতাবাড়ীতে গৃহকর্তা কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী উদ্ধার: আটক ২

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০
  • / 32
মিজানুর রহমান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গৃহকর্তা হারুন অর রশিদ কর্তৃক কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়ে আজ বুধবার সকালে হালুয়াঘাটের রণকুঠুরা গ্রামে তার ফুফাতো ভাইয়ের বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার গাছগড়া গ্রামের দিনমজুর হযরত আলীর সাথে তার স্ত্রী লতিফা বেগমের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় বেশ কয়েক বছর আগে। পরে লতিফা ঝিয়ের কাজ করে এবং হযরত বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালায়। তাদের কিশোরী মেয়েকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে উপজেলার ঘাইলারা গ্রামের হারুন অর রশিদের (৩৫) বাড়ীতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে।
প্রায় তিন মাস পর থেকে রাতের বেলায়  হারুন পাশের কক্ষে প্রবেশ করে কিশোরী গৃহকর্মীকে নানা রকম লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ভাবে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে স্থানীয় দালালদের মধ্যস্থতায় আড়াই লাখ টাকায় আপোষ করে প্রায় এক মাস আগে গৃহকর্মীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ওই কিশোরী একাধিক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে।
কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া এ ঘটনা ধীরে ধীরে প্রচার হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চালায়। আজ বুধবার সকালে ভিকটিম কিশোরীকে তার ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এবং আশ্রয়দাতা জাহিদুল ও অভিযুক্তের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামকে ঘাইলারা নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন মঙ্গলবার নালিতাবাড়ী ছুটে আসেন। পুলিশ জানায়, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য শেরপুর পাঠানো হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত হারুনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নালিতাবাড়ীতে গৃহকর্তা কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী উদ্ধার: আটক ২

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০
মিজানুর রহমান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গৃহকর্তা হারুন অর রশিদ কর্তৃক কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়ে আজ বুধবার সকালে হালুয়াঘাটের রণকুঠুরা গ্রামে তার ফুফাতো ভাইয়ের বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার গাছগড়া গ্রামের দিনমজুর হযরত আলীর সাথে তার স্ত্রী লতিফা বেগমের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় বেশ কয়েক বছর আগে। পরে লতিফা ঝিয়ের কাজ করে এবং হযরত বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালায়। তাদের কিশোরী মেয়েকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে উপজেলার ঘাইলারা গ্রামের হারুন অর রশিদের (৩৫) বাড়ীতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে।
প্রায় তিন মাস পর থেকে রাতের বেলায়  হারুন পাশের কক্ষে প্রবেশ করে কিশোরী গৃহকর্মীকে নানা রকম লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ভাবে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে স্থানীয় দালালদের মধ্যস্থতায় আড়াই লাখ টাকায় আপোষ করে প্রায় এক মাস আগে গৃহকর্মীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ওই কিশোরী একাধিক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে।
কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া এ ঘটনা ধীরে ধীরে প্রচার হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চালায়। আজ বুধবার সকালে ভিকটিম কিশোরীকে তার ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এবং আশ্রয়দাতা জাহিদুল ও অভিযুক্তের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামকে ঘাইলারা নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন মঙ্গলবার নালিতাবাড়ী ছুটে আসেন। পুলিশ জানায়, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য শেরপুর পাঠানো হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত হারুনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।