ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অপরাজনীতির কবর রচনা করতে হবে-নুরুল হক নুর ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে: পিউ রিপোর্টে চমকপ্রদ তথ্য জয়পুরহাটে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে, দুই বিষয়ে ফেল আমার স্বামীকে কেন এমন নির্মমভাবে মেরে ফেলল, প্রশ্ন নিহত সোহাগের স্ত্রীর সাকিবের জন্য দরজা খোলা বলছে বিসিবি বিক্ষোভে উত্তাল রংপুর, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান এর পর নতুন খেলায় লেদা জমি জিপ গোপন তহবিল পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজকের আবহাওয়া: বিকেলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, গরম থাকবে দিনভর নাহিদ ইসলাম খুলনা: এনসিপির সভায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস বিরোধী বার্তা

প্রকৃতির সন্তুষ্টি ও মানব জাতিকে বাঁচাতে বগুড়ায় স¤প্রদায়ের কারাম উৎসব

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮ বার পড়া হয়েছে

দীপক সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি: ভাদ্রের শেষ দিনে তালপাকা রোদও বেশ রুক্ষ স্বভাবের ছিল দিনব্যাপী, তবে দিনের শেষে সন্ধ্যা নামলেও ভ্যাপসা গরমের অস্থিরতা ছিল বরাবই। প্রত্যন্ত অ লে সন্ধ্যা নামলেই প্রাকৃতিক নিয়মে ঘুটঘুটে অন্ধকার হলেও কালের পরিবর্তনে এসব অ লে এখন বৈদ্যুতিক আলোও পৌছেছে। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শেষে রীতি অনুযায়ী একাদশি তিথিতে কারাম পূজা উৎসব করে থাকেন আদিবাসী সম্প্রদায়েরা। তবে প্রকৃতির সন্তুষ্টি ও মানব জাতিকে বাঁচাতে এ উৎসব পালন করা হয়। আবার ‘‘ভাইয়াকে কারাম, বেহিনকে ধর’’ যার বাংলা অর্থ ভাইদের কর্ম আর বোনদের ধর্ম পালন করা বলেও জানিয়েছেন আদিবাসী সম্প্রদায়েরা। আলো ও আধারের রাতেএ অনুষ্ঠানে শুরুতে হলুদ শাড়ী আর খোপায় গাঁদা ফুল, রকমারি সাজে বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে পালন করলো তাদের ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব। এমনই এক উৎসব বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বগুড়ার উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী গোরতা গ্রামে হয়। আদিবাসী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেবেকা সরেনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সাবরিনা সারমিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: মো. রায়হান পিএএ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভাদ্র মাসের শেষে রীতি অনুযায়ী একাদশিতে বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনায় উপবাস থাকেন। এরপর সন্ধ্যায় পূজা মÐপে স্থাপন করা হয় কারাম গাছ। তারপর মধ্যরাত পর্যন্ত চলে পূজা অর্চনা। পূজা শেষে নারী পুরুষ বাদ্যের তালে তালে নেচে গেয়ে পালন করেন তাদের এই কারাম উৎসব।

অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির নেতা কান্ত মাহাতো বলেন, সারাদেশের আদিবাসীরা এই উৎসবে আমরা একদিকে যেমন ঈশ্বরের কাছে দেশের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করি, অন্যদিকে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শক্তি অর্জন করি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি সত্তাগুলির নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক রয়েছে। কারাম উৎসব আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব। এগুলো ঐতিয্যগুলো টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত আয়োজন করা জরুরী।
এ অ লে প্রতিবছর ঘরোয়াভাবে কারাম পূজা উদযাপন করা হত কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো সম্মিলিতভাবে আয়োজন করেন আদিবাসীরা। এ উৎসব উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে হাজারো দর্শনার্থী।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রকৃতির সন্তুষ্টি ও মানব জাতিকে বাঁচাতে বগুড়ায় স¤প্রদায়ের কারাম উৎসব

আপডেট সময় : ০৬:০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

দীপক সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি: ভাদ্রের শেষ দিনে তালপাকা রোদও বেশ রুক্ষ স্বভাবের ছিল দিনব্যাপী, তবে দিনের শেষে সন্ধ্যা নামলেও ভ্যাপসা গরমের অস্থিরতা ছিল বরাবই। প্রত্যন্ত অ লে সন্ধ্যা নামলেই প্রাকৃতিক নিয়মে ঘুটঘুটে অন্ধকার হলেও কালের পরিবর্তনে এসব অ লে এখন বৈদ্যুতিক আলোও পৌছেছে। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শেষে রীতি অনুযায়ী একাদশি তিথিতে কারাম পূজা উৎসব করে থাকেন আদিবাসী সম্প্রদায়েরা। তবে প্রকৃতির সন্তুষ্টি ও মানব জাতিকে বাঁচাতে এ উৎসব পালন করা হয়। আবার ‘‘ভাইয়াকে কারাম, বেহিনকে ধর’’ যার বাংলা অর্থ ভাইদের কর্ম আর বোনদের ধর্ম পালন করা বলেও জানিয়েছেন আদিবাসী সম্প্রদায়েরা। আলো ও আধারের রাতেএ অনুষ্ঠানে শুরুতে হলুদ শাড়ী আর খোপায় গাঁদা ফুল, রকমারি সাজে বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে পালন করলো তাদের ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব। এমনই এক উৎসব বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বগুড়ার উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী গোরতা গ্রামে হয়। আদিবাসী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেবেকা সরেনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সাবরিনা সারমিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: মো. রায়হান পিএএ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভাদ্র মাসের শেষে রীতি অনুযায়ী একাদশিতে বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনায় উপবাস থাকেন। এরপর সন্ধ্যায় পূজা মÐপে স্থাপন করা হয় কারাম গাছ। তারপর মধ্যরাত পর্যন্ত চলে পূজা অর্চনা। পূজা শেষে নারী পুরুষ বাদ্যের তালে তালে নেচে গেয়ে পালন করেন তাদের এই কারাম উৎসব।

অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির নেতা কান্ত মাহাতো বলেন, সারাদেশের আদিবাসীরা এই উৎসবে আমরা একদিকে যেমন ঈশ্বরের কাছে দেশের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করি, অন্যদিকে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শক্তি অর্জন করি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি সত্তাগুলির নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক রয়েছে। কারাম উৎসব আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব। এগুলো ঐতিয্যগুলো টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত আয়োজন করা জরুরী।
এ অ লে প্রতিবছর ঘরোয়াভাবে কারাম পূজা উদযাপন করা হত কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো সম্মিলিতভাবে আয়োজন করেন আদিবাসীরা। এ উৎসব উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে হাজারো দর্শনার্থী।