ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কে বাসের চাপায় মাহেন্দ্রর দুই যাত্রী নিহত আহত ৯

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 37

দক্ষিনাঞ্চল অফিস :: ফরিদপুরের ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ- কান্দি সীমান্ত এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শাশুড়ী ও পত্রবধূ নিহত হয়েছেন। এসময় ড্রাইভারসহ আহত হয়েছেন ৯ জন।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় আটরশি জাকের মঞ্জিল থেকে মাহেনদ্র করে তারা বাড়ী ফেরার পথে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রকে অজ্ঞাত একটি বাস পিছন থেকে চাঁপা দিলে মাহিন্দ্রটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

এ সময় ঘটনাস্থলে শাশুড়ি রাজিয়া বেগম (৬০) তার পুত্রবধূ মিনা বেগম (৪৫) নিহত হন। এদের সকলের বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে।

আহতরা হলেন নিহত মিনা বেগমের মেয়ে মিতু (২৫) মেয়ে জামাই শফিউল (৩০), নাতি ফাহিম (৮) ছেলে হৃদয় (১৫) তার ভাশুরের মেয়ে রোমা (২৫), তার ভাই রাকিব (১৮) মোহাম্মাদ আলী (৫) ও একই গ্রামের উজির আলীর ছেলে মাহেন্দ্র চালক কামরুল (৪৭)।

আহতদের প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সকলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নিহত রাজিয়া বেগমের নাতি রাকিব বলেন, সকালে বাড়ি থেকে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাদু ও চাচী সহ চাচাতো বোন তার জামাইসহ পরিবারের সবাই একটি মাহেন্দ্র নিয়ে আটরশির জাকের মঞ্জিলে এসেছিলাম। বিকালে বাড়ি ফেরার পথে পিছন দিক থেকে একটি বাস আমাদের মাহেনদ্রক চাঁপা দিয়ে চলে যায়। এসময় দাদী ও চাচী নিহত হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, চালকসহ একটি পরিবারের ১০ থেকে ১১ জন একটি মাহিন্দ্র যোগে কাশিয়ানিতে ফিরছিল।
তিনি আরও বলেন মুনসুরাবাদ সেতুর পার হয়ে ও পাড়ে গেলে পিছন থেকে অজ্ঞাত একটি বাস তাদের চাঁপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরেক জন মারা যায়। রাজিয়া বেগমের লাশ আমরা পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কে বাসের চাপায় মাহেন্দ্রর দুই যাত্রী নিহত আহত ৯

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

দক্ষিনাঞ্চল অফিস :: ফরিদপুরের ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ- কান্দি সীমান্ত এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শাশুড়ী ও পত্রবধূ নিহত হয়েছেন। এসময় ড্রাইভারসহ আহত হয়েছেন ৯ জন।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় আটরশি জাকের মঞ্জিল থেকে মাহেনদ্র করে তারা বাড়ী ফেরার পথে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রকে অজ্ঞাত একটি বাস পিছন থেকে চাঁপা দিলে মাহিন্দ্রটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

এ সময় ঘটনাস্থলে শাশুড়ি রাজিয়া বেগম (৬০) তার পুত্রবধূ মিনা বেগম (৪৫) নিহত হন। এদের সকলের বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে।

আহতরা হলেন নিহত মিনা বেগমের মেয়ে মিতু (২৫) মেয়ে জামাই শফিউল (৩০), নাতি ফাহিম (৮) ছেলে হৃদয় (১৫) তার ভাশুরের মেয়ে রোমা (২৫), তার ভাই রাকিব (১৮) মোহাম্মাদ আলী (৫) ও একই গ্রামের উজির আলীর ছেলে মাহেন্দ্র চালক কামরুল (৪৭)।

আহতদের প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সকলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নিহত রাজিয়া বেগমের নাতি রাকিব বলেন, সকালে বাড়ি থেকে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাদু ও চাচী সহ চাচাতো বোন তার জামাইসহ পরিবারের সবাই একটি মাহেন্দ্র নিয়ে আটরশির জাকের মঞ্জিলে এসেছিলাম। বিকালে বাড়ি ফেরার পথে পিছন দিক থেকে একটি বাস আমাদের মাহেনদ্রক চাঁপা দিয়ে চলে যায়। এসময় দাদী ও চাচী নিহত হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, চালকসহ একটি পরিবারের ১০ থেকে ১১ জন একটি মাহিন্দ্র যোগে কাশিয়ানিতে ফিরছিল।
তিনি আরও বলেন মুনসুরাবাদ সেতুর পার হয়ে ও পাড়ে গেলে পিছন থেকে অজ্ঞাত একটি বাস তাদের চাঁপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরেক জন মারা যায়। রাজিয়া বেগমের লাশ আমরা পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।