ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

রাজশাহীতে নিত্যপণ্যের মূল্য, মজুত ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং টিম গঠন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০
  • / 53

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : রাজশাহীতে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্য, মজুত ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজশাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিশ^ব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় দেশে অহেতুক নিত্য পণ্যের দাম যেন বৃদ্ধি না পায়, ব্যবসায়ীরা যেন অতিরিক্ত পণ্যের মজুত গড়ে না তোলেন এবং জনগণের মাঝে যেন অতিরিক্ত পণ্য ক্রয়ের প্রবণতা তৈরি না হয়- এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। রাজশাহী বিভাগে বর্তমানে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কেউ মজুতদারি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ যদি অতিরিক্ত মজুত করেন অথবা পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করেন তাহলে আমরা কঠোর হব। তবে ব্যবসায়ীদের প্রতি জ্ঞাতসারে কোন অন্যায় করা হবে না।

তিনি বলেন, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে মনিটরিং টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকসহ মনিটরিং টিমের সাথে যোগাযোগ করা যাবে। বিভাগীয় কমিশনার নিত্যপণ্যের কোন মজুতদারি না করার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করেন।

তিনি আরও বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ পরিস্থিতি উত্তোরণ করতে আমরা সক্ষম হবো। তিনি জনগণকে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সভায় আশ্বস্ত করেন যে, রাজশাহীতে চাউলসহ নিত্যপণ্যের যথেষ্ট পরিমাণ মজুত রয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত কেনার কোন দরকার নেই। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার, পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, আঞ্চলিক তথ্য অফিস রাজশাহীর উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাসুদুর রহমান রিংকুসহ বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজশাহীতে নিত্যপণ্যের মূল্য, মজুত ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং টিম গঠন

আপডেট সময় : ০৩:৩০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : রাজশাহীতে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্য, মজুত ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজশাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিশ^ব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় দেশে অহেতুক নিত্য পণ্যের দাম যেন বৃদ্ধি না পায়, ব্যবসায়ীরা যেন অতিরিক্ত পণ্যের মজুত গড়ে না তোলেন এবং জনগণের মাঝে যেন অতিরিক্ত পণ্য ক্রয়ের প্রবণতা তৈরি না হয়- এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। রাজশাহী বিভাগে বর্তমানে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কেউ মজুতদারি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ যদি অতিরিক্ত মজুত করেন অথবা পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করেন তাহলে আমরা কঠোর হব। তবে ব্যবসায়ীদের প্রতি জ্ঞাতসারে কোন অন্যায় করা হবে না।

তিনি বলেন, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে মনিটরিং টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকসহ মনিটরিং টিমের সাথে যোগাযোগ করা যাবে। বিভাগীয় কমিশনার নিত্যপণ্যের কোন মজুতদারি না করার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করেন।

তিনি আরও বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ পরিস্থিতি উত্তোরণ করতে আমরা সক্ষম হবো। তিনি জনগণকে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সভায় আশ্বস্ত করেন যে, রাজশাহীতে চাউলসহ নিত্যপণ্যের যথেষ্ট পরিমাণ মজুত রয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত কেনার কোন দরকার নেই। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার, পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, আঞ্চলিক তথ্য অফিস রাজশাহীর উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাসুদুর রহমান রিংকুসহ বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।