ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি শৈলকুপায় বেণীপুর স্কুলের ১২০ বছরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার পর এবার নেপাল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত ডাকসুতে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাল পাকিস্তান জামায়াত সব সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের র‌্যাংকিং করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ ট্রলারসহ ৩০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী

রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১
  • / 32

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে কমিউনিটি বেজড প্রটেকশানের (সিবিপি) আওতায় কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে ১৮ নম্বর ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করেন ক্যাম্প ইনচার্জ কাজী শামিম।

রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং নিজরাই সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশন ফর রিফিউজির (ইউএনএইচসিআর) সহযোগিতায় ব্র্যাক এই কেন্দ্র নির্মাণ ও যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি বেইজড ইউনিটের প্রটেকশন কর্মকর্তা তাকাশি মরি, ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের (এইচসিএমপি) কর্মসূচি প্রধান রবার্ট শিলা মুথিনি, সংস্থাটির সিবিপি’র টিম লিড শারমিন আকতার, একই সংস্থার সিবিপি’র ডেপুটি প্রকল্প ম্যানেজার বোরহান মাহামুদ, ইমরান আজাদ ও তাহমিনা সুলতানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কাজী শামিম বলেন, যে উদ্দেশ্যে নিয়ে এটা নির্মাণ করা হয়েছে তা যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে যাবতীয় সহযোগিতা দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে স্থানীয় রোহিঙ্গা দলনেতাদের আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া যেসব কাজে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ আছে, বিশেষত কাঁথা সেলাই, টুপি তৈরি, টেইলারিং প্রশিক্ষণে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

কমিউনিটি সেন্টার, তথ্য সেবা, কমিউনিটি গ্রুপ এবং কমিউনিটি আউটরিচ মেম্বার— এই চারটি ভিত্তিতে এই সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

২০১৭ সালে থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টেকনাফ ও উখিয়ায় এ নিয়ে মোট ১১টি কমিউনিটিভিত্তিক সুরক্ষা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। রেডিওতে বার্তার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি, অডিও ভিজুয়াল ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৪৯৮ জনকে এই সেবা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৪৫ হাজার ১৩৩ জনকে তথ্য সেবা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী কর্মী কমিউনিটির জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে কমিউনিটি বেজড প্রটেকশানের (সিবিপি) আওতায় কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে ১৮ নম্বর ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করেন ক্যাম্প ইনচার্জ কাজী শামিম।

রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং নিজরাই সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশন ফর রিফিউজির (ইউএনএইচসিআর) সহযোগিতায় ব্র্যাক এই কেন্দ্র নির্মাণ ও যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি বেইজড ইউনিটের প্রটেকশন কর্মকর্তা তাকাশি মরি, ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের (এইচসিএমপি) কর্মসূচি প্রধান রবার্ট শিলা মুথিনি, সংস্থাটির সিবিপি’র টিম লিড শারমিন আকতার, একই সংস্থার সিবিপি’র ডেপুটি প্রকল্প ম্যানেজার বোরহান মাহামুদ, ইমরান আজাদ ও তাহমিনা সুলতানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কাজী শামিম বলেন, যে উদ্দেশ্যে নিয়ে এটা নির্মাণ করা হয়েছে তা যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে যাবতীয় সহযোগিতা দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে স্থানীয় রোহিঙ্গা দলনেতাদের আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া যেসব কাজে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ আছে, বিশেষত কাঁথা সেলাই, টুপি তৈরি, টেইলারিং প্রশিক্ষণে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

কমিউনিটি সেন্টার, তথ্য সেবা, কমিউনিটি গ্রুপ এবং কমিউনিটি আউটরিচ মেম্বার— এই চারটি ভিত্তিতে এই সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

২০১৭ সালে থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টেকনাফ ও উখিয়ায় এ নিয়ে মোট ১১টি কমিউনিটিভিত্তিক সুরক্ষা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। রেডিওতে বার্তার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি, অডিও ভিজুয়াল ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৪৯৮ জনকে এই সেবা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৪৫ হাজার ১৩৩ জনকে তথ্য সেবা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী কর্মী কমিউনিটির জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।