ঢাকা ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা

সুদের দাবিতে ঋণ গ্রহীতার বিধবা স্ত্রী ও কন্যাকে নির্যাতন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • / 37

আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃজয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে মৃত্যুর চার বছর পর সুদের দাবিতে ঋণ গ্রহীতার বিধবা স্ত্রী ও কন্যাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার বিকেলে খালেদা খাতুন (২৫) নামে এক নারী পাঁচবিবি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৪বছর আগেই আ: খালেক মারা যায়। কিন্তু মরহুম এই ব্যক্তির পরিবারের নিকট থেকে দাদনের টাকা প্রাপ্তিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পাঁচবিবি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী গোলজার মন্ডলের নেতৃতে ১৫/২০জন লোক মটরসাইকেল নিয়ে একই উপজেলার শুকানপুকুর গ্রামে মরহুম আ: খালেকের বাড়ীতে যায়। এ সময় অভিযুক্ত গোলজার দাবি তুলে যে, জীবিত থাকাকালে আ: খালেক তার (গোলজার) নিকট ব্যাংক হিসাবের ফাঁকা চেক জমা রেখে দাদন বাবদ প্রায় ২লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। যা পরিশোধের জন্য মরহুম আ: খালেকের পরিবারকে চাপ দেয়। তখন আ: খালেকের পরিবারের সদস্যরা দাদন ব্যবসায়ী গোলজারকে জানান যে, টাকা লেনদেনের বিষয়টি তাদের অজানা। তাই তারা টাকা দিতে অসম্মতি জানায়। এ অবস্থায় ক্ষিপ্ত হয়ে গোলজার মন্ডলের নেতৃতে ১৫/২০জন লোক আ: খালেকের পরিবারের সদস্যদের প্রতি অমানবিক নির্যাতন চালায়। সে সময় ওই পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে নগদ পঁচাত্তর হাজার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, একভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও আংটি কেড়ে নিয়ে যাওয়ার পথে হুমকি দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ আছে।

এ ব্যাপারে গোলজার হোসেন বলেন, “আ: খালেক বেঁচে থাকতে আমার কাছ থেকে ফাঁকা ব্যাংক হিসাবের চেক রেখে ২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা হাওলাদ বাবদ নেয়। তা পরিশোধ না করেই মৃত্যুবরণ করে। যা এখন সুদ আসলে ৫ লক্ষ হয়েছে। পাওনা টাকাগুলো তোলার জন্য মরহুমের আ: খালেকের বাসায় কেউ গিয়েছিল কিনা তা আমি জানি না।”

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুদের দাবিতে ঋণ গ্রহীতার বিধবা স্ত্রী ও কন্যাকে নির্যাতন

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃজয়পুরহাটে পাঁচবিবিতে মৃত্যুর চার বছর পর সুদের দাবিতে ঋণ গ্রহীতার বিধবা স্ত্রী ও কন্যাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার বিকেলে খালেদা খাতুন (২৫) নামে এক নারী পাঁচবিবি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৪বছর আগেই আ: খালেক মারা যায়। কিন্তু মরহুম এই ব্যক্তির পরিবারের নিকট থেকে দাদনের টাকা প্রাপ্তিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পাঁচবিবি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী গোলজার মন্ডলের নেতৃতে ১৫/২০জন লোক মটরসাইকেল নিয়ে একই উপজেলার শুকানপুকুর গ্রামে মরহুম আ: খালেকের বাড়ীতে যায়। এ সময় অভিযুক্ত গোলজার দাবি তুলে যে, জীবিত থাকাকালে আ: খালেক তার (গোলজার) নিকট ব্যাংক হিসাবের ফাঁকা চেক জমা রেখে দাদন বাবদ প্রায় ২লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। যা পরিশোধের জন্য মরহুম আ: খালেকের পরিবারকে চাপ দেয়। তখন আ: খালেকের পরিবারের সদস্যরা দাদন ব্যবসায়ী গোলজারকে জানান যে, টাকা লেনদেনের বিষয়টি তাদের অজানা। তাই তারা টাকা দিতে অসম্মতি জানায়। এ অবস্থায় ক্ষিপ্ত হয়ে গোলজার মন্ডলের নেতৃতে ১৫/২০জন লোক আ: খালেকের পরিবারের সদস্যদের প্রতি অমানবিক নির্যাতন চালায়। সে সময় ওই পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে নগদ পঁচাত্তর হাজার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, একভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও আংটি কেড়ে নিয়ে যাওয়ার পথে হুমকি দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ আছে।

এ ব্যাপারে গোলজার হোসেন বলেন, “আ: খালেক বেঁচে থাকতে আমার কাছ থেকে ফাঁকা ব্যাংক হিসাবের চেক রেখে ২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা হাওলাদ বাবদ নেয়। তা পরিশোধ না করেই মৃত্যুবরণ করে। যা এখন সুদ আসলে ৫ লক্ষ হয়েছে। পাওনা টাকাগুলো তোলার জন্য মরহুমের আ: খালেকের বাসায় কেউ গিয়েছিল কিনা তা আমি জানি না।”

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।