ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

হটলাইনে কলঃ রাতের আঁধারে খাদ্য পৌঁছে দিলেন ইউএনও

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০
  • / 32

ফরিদপুর প্রতিনিধি : সারাদেশে চলছে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব। চলছে লকডাউন। খেঁটে খাওয়া অনেকে পরিবারের সদস্যরা চরম অসহায়ত্ব হয়ে দিনযাপন করছেন। এবার সেই কর্মহীন হয়ে পড়া ১০টি মধ্যবিত্ত পরিবার হটলাইনে কল করতেই রাতের আঁধারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলা ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা।

জানা যায়, এই সব মধ্যবিত্ত পরিবার গত কদিন ধরে খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছিলেন। এ অবস্থায় তাদের জেলা প্রশাসনের হটলাইন ও উপজেলা প্রশাসনের হটলাইনের কথা মনে পড়ে। পরে ১০টি পরিবার ৩৩৩, জেলা প্রশাসকের হট লাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হটলাইনে ফোন দিয়ে তাদের সমস্যার কথা জানান। অতপর শনিবার রাতেই মানবিক সহায়তা নিয়ে ওই সকল পরিবারের দ্বারে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হন ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ্ মোঃ সজিব। কর্মহীন হয়ে পড়া ১০টি পরিবার তাদের দুঃসময়ে সরকারের প্রতিনিধিদের দেখে বেশ অবাক হয়ে যান। আবেগ আপ্লূত হয়ে তাদের চোখে জল ভড়ে উঠে। তারা জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও উপজেলা নির্বাহী মোঃ মাসুম রেজার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা স্বাধীন দেশকে বলেন, কল সেন্টারের মাধ্যমে তারা ৩৩৩, জেলা প্রশাসকের হট লাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হটলাইনে ফোন দিয়ে তাদের সমস্যার কথা বলেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশনায় ওই রাতেই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানবিক সহায়তা সামগ্রী পৌঁছে দিই। তিনি আরও বলেন নিন্ম বিত্তদের জন্য আমরা সারা উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী দেয়া অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে কোন মধ্যবিত্ত সমস্যায় থাকলে তাদের বাড়িতেও গোপনে আমরা খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি এবং দেব। আমাদের একটাই কথা কোন মানুষ যেন না খেয়ে থাকে এই দুঃসময়ে সময়ে।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৬ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি আলু ও সাবান।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হটলাইনে কলঃ রাতের আঁধারে খাদ্য পৌঁছে দিলেন ইউএনও

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০

ফরিদপুর প্রতিনিধি : সারাদেশে চলছে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব। চলছে লকডাউন। খেঁটে খাওয়া অনেকে পরিবারের সদস্যরা চরম অসহায়ত্ব হয়ে দিনযাপন করছেন। এবার সেই কর্মহীন হয়ে পড়া ১০টি মধ্যবিত্ত পরিবার হটলাইনে কল করতেই রাতের আঁধারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলা ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা।

জানা যায়, এই সব মধ্যবিত্ত পরিবার গত কদিন ধরে খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছিলেন। এ অবস্থায় তাদের জেলা প্রশাসনের হটলাইন ও উপজেলা প্রশাসনের হটলাইনের কথা মনে পড়ে। পরে ১০টি পরিবার ৩৩৩, জেলা প্রশাসকের হট লাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হটলাইনে ফোন দিয়ে তাদের সমস্যার কথা জানান। অতপর শনিবার রাতেই মানবিক সহায়তা নিয়ে ওই সকল পরিবারের দ্বারে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হন ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ্ মোঃ সজিব। কর্মহীন হয়ে পড়া ১০টি পরিবার তাদের দুঃসময়ে সরকারের প্রতিনিধিদের দেখে বেশ অবাক হয়ে যান। আবেগ আপ্লূত হয়ে তাদের চোখে জল ভড়ে উঠে। তারা জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও উপজেলা নির্বাহী মোঃ মাসুম রেজার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা স্বাধীন দেশকে বলেন, কল সেন্টারের মাধ্যমে তারা ৩৩৩, জেলা প্রশাসকের হট লাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হটলাইনে ফোন দিয়ে তাদের সমস্যার কথা বলেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশনায় ওই রাতেই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানবিক সহায়তা সামগ্রী পৌঁছে দিই। তিনি আরও বলেন নিন্ম বিত্তদের জন্য আমরা সারা উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী দেয়া অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে কোন মধ্যবিত্ত সমস্যায় থাকলে তাদের বাড়িতেও গোপনে আমরা খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি এবং দেব। আমাদের একটাই কথা কোন মানুষ যেন না খেয়ে থাকে এই দুঃসময়ে সময়ে।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৬ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি আলু ও সাবান।