ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ25 ওসিকে ডাকাতদলের সর্দার বললেন বিএনপি নেতা25 ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবই ছাপায় নিম্নমানের কাগজ ব্যবহৃত হয়েছে25 মোস্তফা জামান বিএনপি বক্তব্য: শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি ছিল ত্যাগের প্রতীক এবি পার্টি ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫ শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে এক দিনে ৯ জনের করোনা শনাক্ত25 পঞ্চগড় সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত25 বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র আলজেরিয়া25 হঠাৎ উত্তপ্ত প্রেস ক্লাব, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে রাজনীতিতে স্বস্তির পরিবেশ ফিরেছে

আইএমএফের ঋণ আমরা কয়েকজনই শোধ করতে পারব: অর্থমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩ ১৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তা কয়েকজন মিলেই শোধ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইএমএফের এখানে কী? তারা যে ঋণ দিয়েছে, তা এই যে কয়েকজন আছেন এখানে, আমরা নিজেরাই শোধ দিতে পারব। আমরা কয়েকজন মিলেই (শোধ দিতে পারব)…। আইএমএফ নামটা অনেক বড়। কিন্তু কী দিয়েছে, জানেন? সেটা আমাদের দুই মাসের রেমিট্যান্সের পরিমাণ। দুই মাসের রেমিট্যান্স হলো তাদের কাছ থেকে পাওয়া আমাদের ঋণ।’

তাহলে ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল কি- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা বুঝতে পারিনি। যুদ্ধ কতদিন থাকবে… যেভাবে আমাদের ঘাটতি পড়ছিল, আমরা যেসব জিনিস নিয়মিত ব্যবহার করি। তাতে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমরা তো তখন এটা বুঝতে পারিনি।’

বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের গেল কয়েক বছরের সামষ্টিক অর্থনীতির দৃশ্যপট আপনারা দেখতে পারেন। যেমন প্রবৃদ্ধির হারের গেল তিন বছরের ফিগার আছে। ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ২০২১-২০২২ সালে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, ২০২২-২০২৩ সালে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রপ্তানি অনেকটা পড়ে গিয়েছিল। তখন এটি ছিল ৩৮ বিলিয়ন ডলার। পরের বছরে সেটা ছিল ৫২ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সেই রপ্তানি হয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের। রেমিট্যান্স আসাও বেড়েছে। ২০২০-২০২১ বছরে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন ডলার।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি প্রমুখ।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আইএমএফের ঋণ আমরা কয়েকজনই শোধ করতে পারব: অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তা কয়েকজন মিলেই শোধ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইএমএফের এখানে কী? তারা যে ঋণ দিয়েছে, তা এই যে কয়েকজন আছেন এখানে, আমরা নিজেরাই শোধ দিতে পারব। আমরা কয়েকজন মিলেই (শোধ দিতে পারব)…। আইএমএফ নামটা অনেক বড়। কিন্তু কী দিয়েছে, জানেন? সেটা আমাদের দুই মাসের রেমিট্যান্সের পরিমাণ। দুই মাসের রেমিট্যান্স হলো তাদের কাছ থেকে পাওয়া আমাদের ঋণ।’

তাহলে ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল কি- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা বুঝতে পারিনি। যুদ্ধ কতদিন থাকবে… যেভাবে আমাদের ঘাটতি পড়ছিল, আমরা যেসব জিনিস নিয়মিত ব্যবহার করি। তাতে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমরা তো তখন এটা বুঝতে পারিনি।’

বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের গেল কয়েক বছরের সামষ্টিক অর্থনীতির দৃশ্যপট আপনারা দেখতে পারেন। যেমন প্রবৃদ্ধির হারের গেল তিন বছরের ফিগার আছে। ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ২০২১-২০২২ সালে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, ২০২২-২০২৩ সালে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রপ্তানি অনেকটা পড়ে গিয়েছিল। তখন এটি ছিল ৩৮ বিলিয়ন ডলার। পরের বছরে সেটা ছিল ৫২ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সেই রপ্তানি হয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের। রেমিট্যান্স আসাও বেড়েছে। ২০২০-২০২১ বছরে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন ডলার।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি প্রমুখ।