আগুনে পুড়েছিল শরীরের ৩৫ শতাংশ, সেই অভিনেত্রী জানালেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
আগুনে পুড়েছিল শরীরের ৩৫ শতাংশ, সেই অভিনেত্রী জানালেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
 - / 182
 
বিনোদন ডেস্কঃ দুই বছর আগে রাজধানীর মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে আহত হন, নাট্য অভিনেত্রী শারমিন আঁখি, সাথে সাথে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়, সেসময় অভিনেত্রীর শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে যায়।
দুই বছর পরও সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় আঁখিকে। অভিনেত্রী জানেন, একজন আগুনে পোড়া রোগীর কতটা কষ্ট হয়। তাই মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের প্রতি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শারমিন আঁখি লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ বাচ্চাদের কাছে যত কম ভিজিটর যাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। প্রচুর ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকবে এই সময়টা। আগুনে পোড়ার পরবর্তী এফেক্ট হচ্ছে ইনফেকশন। চিকিৎসাধীন বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে চাইলে প্লিজ আবেগের বশবর্তী হয়ে এই মুহূর্তে তাদের দেখতে যাবেন না। আমাদের চামড়া জার্ম প্রটেক্ট করে। যেখানে চামড়া নেই, সেখানে প্রটেকশন একদম ০ (শূন্য) লেভেলে। ইনফেকশনের কারণে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়। পোড়ায় মরে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চামড়ার পোড়ার কষ্টের সাথে অন্য কোনো যন্ত্রণার তুলনা করবেন না। উপরেরটা পোড়ায়, ভেতরটাও পোড়ায়। ড্রেসিংয়ের যন্ত্রণা আরও অসহ্যকর। নতুন চামড়া আসলেই সেই চামড়া ঘষে আবার উঠানো হয়। ট্রমা শুরু হবে আর দশ দিন পরে। এখন প্রতিটা বাচ্চা অনুভূতিশূন্য।’
সবশেষ অভিনেত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে একমাত্র ডাক্তার ছাড়া ওদের আশপাশে যত কম যাওয়া যায়, ততই ভালো। বাসায় ফেরার পর প্রত্যেকটা বাচ্চার মনোসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি তিন মাস মনোসামাজিক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছিলাম। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাটা অনেক জরুরি।’
																			
																		




















