ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালা25 ইরান-ইসরায়েল সংকটে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে পুতিন25 খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ25 ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন25 ৩টি দিক থেকে ভাঙ্গায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন ইশরাক ইশরাক স্লোগান: নগর ভবনের ৫টি উত্তপ্ত বাস্তবতা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত: ইসরায়েলের ৩ গোপন সামরিক ঘাঁটিতে ধ্বংস জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন নিউইয়র্কে ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন রুনা খান25 যশোরে করোনায় আক্রান্ত আরেকজনের মৃত্যু25

ওমিক্রন সচেতনতায় পুলিশের জন্য ২১ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর এআইজি (অপারেশনস্-২) মোহাম্মদ উল্ল্যা, বিপিএম(সেবা), পিপিএম(সেবা) স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

নির্দেশনাসমূহ হলো-

১। প্রত্যেক পুলিশ সদস্য ডিউটি পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্ল্যাভস, হেডকভার, ফেসশিল্ড প্রভৃতি পরিধান করবেন।

২। ডিউটি পালনকালে কিছু সময় পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ডিউটি শেষে সাবান/হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

৩। কোভিড-১৯ (ওমিক্রন) উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ কর্তৃক অধীন পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করা।

৫। পুলিশের সকল ইউনিটে ‘No Mask No Service’ এবং ’No Mask No Entry’ নির্দেশনা প্রতিপালন করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবস্থা রাখা।

৬। ডিউটিরত সকল ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

৭। সেবা গ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া/স্যানিটাইজ নিশ্চিত করা।

৮। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করা।

৯। অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা।

১০। ডিউটি শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের পূর্বে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করা।

১১। ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাবার পূর্বে ও ডিউটি হতে ফেরার পরে, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা।

১২। কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।

১৩। কোভিড-১৯ পজিটিভ সদস্যদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয়/বিভাগীয়/জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

১৪। জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ কর্তৃক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১৫। ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তা প্রদান করা।

১৬। হাজতখানা সর্বদা জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালীন কোন ব্যক্তির কোভিড-১৯ এর লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

১৭। রেশন সামগ্রী, ঔষধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক নিশ্চিত করা।

১৮। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রণীত SOP এর নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ এবং রোলকলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং প্রদান করা।

১৯। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন করবেন।

২০। প্রত্যেক পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সকল সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয়পূর্বক কোভিড-১৯ (বুস্টার ডোজ) ভ্যাকসিন গ্রহণে নিশ্চিত করতে হবে।

২১। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বিধায় সকল পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ওমিক্রন সচেতনতায় পুলিশের জন্য ২১ নির্দেশনা

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারি ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর এআইজি (অপারেশনস্-২) মোহাম্মদ উল্ল্যা, বিপিএম(সেবা), পিপিএম(সেবা) স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

নির্দেশনাসমূহ হলো-

১। প্রত্যেক পুলিশ সদস্য ডিউটি পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্ল্যাভস, হেডকভার, ফেসশিল্ড প্রভৃতি পরিধান করবেন।

২। ডিউটি পালনকালে কিছু সময় পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ডিউটি শেষে সাবান/হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

৩। কোভিড-১৯ (ওমিক্রন) উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ কর্তৃক অধীন পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করা।

৫। পুলিশের সকল ইউনিটে ‘No Mask No Service’ এবং ’No Mask No Entry’ নির্দেশনা প্রতিপালন করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবস্থা রাখা।

৬। ডিউটিরত সকল ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

৭। সেবা গ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া/স্যানিটাইজ নিশ্চিত করা।

৮। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করা।

৯। অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা।

১০। ডিউটি শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের পূর্বে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করা।

১১। ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাবার পূর্বে ও ডিউটি হতে ফেরার পরে, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা।

১২। কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।

১৩। কোভিড-১৯ পজিটিভ সদস্যদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয়/বিভাগীয়/জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

১৪। জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ কর্তৃক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১৫। ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তা প্রদান করা।

১৬। হাজতখানা সর্বদা জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালীন কোন ব্যক্তির কোভিড-১৯ এর লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

১৭। রেশন সামগ্রী, ঔষধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক নিশ্চিত করা।

১৮। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রণীত SOP এর নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ এবং রোলকলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং প্রদান করা।

১৯। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন করবেন।

২০। প্রত্যেক পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সকল সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয়পূর্বক কোভিড-১৯ (বুস্টার ডোজ) ভ্যাকসিন গ্রহণে নিশ্চিত করতে হবে।

২১। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বিধায় সকল পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।