ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি ২০১৮: আপিল বিভাগ স্থগিত করলো অনুমোদনের আদেশ ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠক শুরু ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ করবে এনসিপি নতুন বাংলাদেশ দিবস পুনর্বিবেচনা করছে সরকার আসিফ মাহমুদ25 ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বিশাল বিনিয়োগ করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন25 যমুনা সেতু থেকে সরানো হচ্ছে রেললাইন উভয় লেন হবে প্রশস্ত25 সরকারি ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার25 অবৈধ সরকারের ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে একাই লড়েছি25 কুমারখালীতে উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত খিলক্ষেত মন্দির ধ্বংসে হিন্দু মহাজোটের প্রতিবাদ

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১ ১৩ বার পড়া হয়েছে

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা। শনিবার (২৭ মার্চ) জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এ ঘোষণা দেন।

তারা বলেন, আগামীকাল রোববার ডাকা হরতালে যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ এ হরতালে বাধা দিলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেয়া মাদ্রাসাশিক্ষার্থী, ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মী ও মুসল্লিদের একটি অংশের সঙ্গে পুলিশ, সরকারি দলের ছাত্র-যুব-স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে হাটহাজারীতে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত হন। আহত হন শতাধিক।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতা-কর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ এবং আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলাম। গতকাল রাত আটটায় পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ ঘোষণা দেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে হেফাজতে ইসলামের কয়েক শ নেতা-কর্মী বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর পাশের সিঁড়িতে অবস্থান নেন। দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ‘শহীদ’দের রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে। হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।

ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেন, মসজিদে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। হেলমেট বাহিনী মহড়া দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। রাজপথে নেমে এলে হেলমেট বাহিনী পালানোর পথ পাবে না। হেলমেট বাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘আগামীকাল মাঠে থাকব। গাড়ির চাকা ঘুরবে না। অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে।’

এদিকে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পল্টন, গুলিস্তান ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে সতর্ক অবস্থান নেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। যারা এসব এলাকায় এসেছেন, তাদের তল্লাশি করা হয়। কর্মসূচির সময় মসজিদের চারপাশে থাকলেও ফটকের সামনে ছিল না পুলিশ।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা

আপডেট সময় : ১২:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা। শনিবার (২৭ মার্চ) জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এ ঘোষণা দেন।

তারা বলেন, আগামীকাল রোববার ডাকা হরতালে যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ এ হরতালে বাধা দিলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেয়া মাদ্রাসাশিক্ষার্থী, ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মী ও মুসল্লিদের একটি অংশের সঙ্গে পুলিশ, সরকারি দলের ছাত্র-যুব-স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে হাটহাজারীতে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত হন। আহত হন শতাধিক।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতা-কর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ এবং আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলাম। গতকাল রাত আটটায় পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ ঘোষণা দেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে হেফাজতে ইসলামের কয়েক শ নেতা-কর্মী বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর পাশের সিঁড়িতে অবস্থান নেন। দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ‘শহীদ’দের রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে। হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।

ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেন, মসজিদে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। হেলমেট বাহিনী মহড়া দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। রাজপথে নেমে এলে হেলমেট বাহিনী পালানোর পথ পাবে না। হেলমেট বাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘আগামীকাল মাঠে থাকব। গাড়ির চাকা ঘুরবে না। অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে।’

এদিকে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পল্টন, গুলিস্তান ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে সতর্ক অবস্থান নেন বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। যারা এসব এলাকায় এসেছেন, তাদের তল্লাশি করা হয়। কর্মসূচির সময় মসজিদের চারপাশে থাকলেও ফটকের সামনে ছিল না পুলিশ।