ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় “ব্রাজিলে কফিন সঙ্কট”

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০ ১০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ব্রাজিলে কফিনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা । সংবাদে জানানো হয়, বিশেষ করে আমাজন অঞ্চলের শহর মানাউসে কয়েকদিনের মধ্যে এত বেশি মানুষ মারা গেছে যে, পর্যাপ্ত কফিন জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না প্রস্তুতকারীদের পক্ষে। ফলে প্রিয়জনের লাশকে ঠিকমতো কবরস্থ করতে পারছে না শোকার্তরা। কেউ কেউ গণকবরে না গিয়ে মৃতদেহ পুড়ে ফেলতেও বাধ্য হচ্ছেন। মর্গে জমছে মরদেহের স্তূপ।

ব্রাজিলে করোনার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দৈনিক উচ্চহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার। মৃত্যুর ব্যাপকতা রোধে সরকারের ব্যর্থতারও খবর শোনা যাচ্ছে। দেশটির বিচার বা আইনমন্ত্রী বলসোনারোর বিরুদ্ধে অনধিকারচর্চা ও নাক গলানোর অভিযোগ এনে পদ ত্যাগ করেছেন।বলসোনারো অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পদচ্যুত করে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করেছেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে করোনাবিধ্বস্ত এই দেশের মানাউসে কোনও কফিনই পাওয়া যাচ্ছে না। মানাউসের সঙ্গে দেশের আর কোনো শহরের সড়ক, রেল কিংবা নৌযোগাযোগ নেই। জাতীয় অন্ত্যেষ্টিঃক্রিয়া হোম অ্যাসোসিয়েশন ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরের সাও পাওলো থেকে কফিন আনতে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে।

মানাউস শহরটি প্রাকৃতিকভাবে চারদিক থেকে জঙ্গলবেষ্টিত। বিশ লাখ অধিবাসীর এই শহরে মৃত্যুহার বেশি হওয়ার পেছনে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম না পাওয়াকেই দায়ী করলেন ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অভ ফিউনারেল সার্ভিস প্রোভাইডার্সের প্রেসিডেন্ট লরিভাল পানহোজ্জি।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় “ব্রাজিলে কফিন সঙ্কট”

আপডেট সময় : ০২:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০

নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ব্রাজিলে কফিনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা । সংবাদে জানানো হয়, বিশেষ করে আমাজন অঞ্চলের শহর মানাউসে কয়েকদিনের মধ্যে এত বেশি মানুষ মারা গেছে যে, পর্যাপ্ত কফিন জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না প্রস্তুতকারীদের পক্ষে। ফলে প্রিয়জনের লাশকে ঠিকমতো কবরস্থ করতে পারছে না শোকার্তরা। কেউ কেউ গণকবরে না গিয়ে মৃতদেহ পুড়ে ফেলতেও বাধ্য হচ্ছেন। মর্গে জমছে মরদেহের স্তূপ।

ব্রাজিলে করোনার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দৈনিক উচ্চহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার। মৃত্যুর ব্যাপকতা রোধে সরকারের ব্যর্থতারও খবর শোনা যাচ্ছে। দেশটির বিচার বা আইনমন্ত্রী বলসোনারোর বিরুদ্ধে অনধিকারচর্চা ও নাক গলানোর অভিযোগ এনে পদ ত্যাগ করেছেন।বলসোনারো অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পদচ্যুত করে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করেছেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে করোনাবিধ্বস্ত এই দেশের মানাউসে কোনও কফিনই পাওয়া যাচ্ছে না। মানাউসের সঙ্গে দেশের আর কোনো শহরের সড়ক, রেল কিংবা নৌযোগাযোগ নেই। জাতীয় অন্ত্যেষ্টিঃক্রিয়া হোম অ্যাসোসিয়েশন ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরের সাও পাওলো থেকে কফিন আনতে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে।

মানাউস শহরটি প্রাকৃতিকভাবে চারদিক থেকে জঙ্গলবেষ্টিত। বিশ লাখ অধিবাসীর এই শহরে মৃত্যুহার বেশি হওয়ার পেছনে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম না পাওয়াকেই দায়ী করলেন ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অভ ফিউনারেল সার্ভিস প্রোভাইডার্সের প্রেসিডেন্ট লরিভাল পানহোজ্জি।