৪৫ মিনিট সল্টলেক স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি, রদ্রিগো ডি পল ও সাবেক উরুগুইয়ান লুইস সুয়ারেজের। কিন্তু মাত্র ২০ মিনিট পরই তারা মাঠ ছাড়েন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে তাদের ঘিরে থাকা অফিসিয়ালদের বেষ্টনি ও দর্শকদের একাংশের হুড়োহুড়িতে মেসিদের দেখাই পাননি গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা। তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পর টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের এক পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ইভেন্টের জন্য ৩৫০০ রুপি (৪৭২৩ টাকা) থেকে টিকিটের মূল্য শুরু হয়। যা গড়ে ভারতে একজন ব্যক্তির সাপ্তাহিক উপার্জনের চেয়েও বেশি। কিন্তু এক সমর্থক জানালেন টিকিট পেতে ১৩০ ডলার (১৫,৮৬১ টাকা) খরচের কথা। এভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে টিকিটের দাম বিভিন্ন অঙ্কের নির্ধারিত হয়েছে। অর্থাৎ, মেসিকে সরাসরি দেখার শখ মেটাতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হলো তাদের। শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়েই।

পশ্চিমবঙ্গের পূর্বাঞ্চলের রাজধানী শহরের সল্টলেক স্টেডিয়ামে ক্ষুব্ধ দর্শকরা চেয়ার ও ড্রেসিংরুমের বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করেছেন। চেষ্টা হয়েছিল আগুন লাগানোর। এ ছাড়া স্টেডিয়ামের নানা সামগ্রী লুটেরও অভিযোগ রয়েছে। মিজোরাম থেকে দু’দিনে ১৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মেসিদের দেখতে এসেছিলেন ইডি লাল হমানগাইজুয়ালা নামে এক ভক্ত। তিনি বলছেন, ‘এখানে এতটা অব্যবস্থাপনা হবে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। মেসিও দ্রুত মাঠ ছেড়েছেন, আমার মনে হয় তিনি অনিরাপদ বোধ করছিলেন। অনেক কষ্টে তাকে একঝলক দেখতে পেয়েছি।’

আরেক সমর্থক এএনআইকে বলেন, ‘কেবল রাজনৈতিক নেতা ও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মেসিকে ঘিরে ছিলেন। তাহলে আমাদের কেন ডাকা হলো? আমরা ১২ হাজার রুপি খরচ করে টিকিট কেটেছি, কিন্তু আমরা তার (মেসি) চেহারাটাও দেখতে পেলাম না।’ আরেক সমর্থক ক্ষোভ জানিয়েছেন এভাবে, ‘এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা। মেসিকে একদমই দেখা যায়নি। কেবল সাংবাদিক, পুলিশ এবং টিএমসি (তৃণমূল কংগ্রেস) নেতারা তাকে দেখতে পেয়েছে। আমরা ৫ হাজার রুপি খরচ করেছি, আর তারা বিনা-পয়সায় তাকে দেখে চলে গেছে।’

মেসি-সুয়ারেজদের নিয়ে আয়োজিত পুরো ঘটনায় ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গের ফুটবলভক্তরা। এই অবস্থায় বিমানবন্দর থেকে অন্যতম আয়োজক শতদ্রু দত্তকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি রাজিব কুমার। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে প্রধান উদ্যোক্তাকে আটক করেছি। আমরা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছি যেন এই অব্যবস্থাপনার কারণে ছাড় না পায়। ইতোমধ্যে তিনি (শতদ্রু) টিকিটের অর্থ ফেরত দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


























