ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দৌলতপুরে ডাঃ ছামসুল আরিফিন সুলভ বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন বয়স বৈষম্যে চাকরি বঞ্চনা, এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে রোববার প্রতিবাদ25 চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত25 জয়পুরহাটে ছাত্রদের কাছে মাদক বিক্রি, সেনা অভিযানে আটক৩ রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমে ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট25 ৫টি কারণে ইরানে ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানালেন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মোসাদের ৫৪ গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করল ইরান25 ৪টি প্রকল্পে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ইসরায়েলকে হামলা বন্ধে চাপ না দেওয়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পের25 ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত১১

জিয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন: আইনমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১ ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ‘বিচার করতেন’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন তাহলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিনত না করে বাতিল করতেন ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা না করে খুনিদের বিদেশী মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের খুনিদের পুরস্কৃত করায় সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘এরশাদ খুনিদের ফ্রিডম পার্টি গঠনের অনুমতি দেন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসান। জনগণের মুখে চপেটাঘাত করার জন্য এসব করা হয়।’

বঙ্গবন্ধু বন্দুকের নল দেখিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ‘পক্ষপাতী ছিলেন না’ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি করে জনগণকে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছেন এবং অধিকার আদায়ের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এরপর জনগণ যখন তাকে যখন মেন্ডেট দিয়েছেন তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশের আইনি কাঠামো পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্চর্যজনক বিষয়- বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সে জন্য হাইকোর্ট গেলে হাইকোর্টের সাত জন বিচারতি বিব্রতবোধ করে এ মামলার শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন আমরা বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সংবিধান দিয়েছেন। বিনিময়ে আমরা তাকে হত্যা করেছি। আমরা এ কলঙ্ক কোনোদিন মোচন করতে পারব না।’

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জিয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:১৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ‘বিচার করতেন’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন তাহলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিনত না করে বাতিল করতেন ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা না করে খুনিদের বিদেশী মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের খুনিদের পুরস্কৃত করায় সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘এরশাদ খুনিদের ফ্রিডম পার্টি গঠনের অনুমতি দেন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসান। জনগণের মুখে চপেটাঘাত করার জন্য এসব করা হয়।’

বঙ্গবন্ধু বন্দুকের নল দেখিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ‘পক্ষপাতী ছিলেন না’ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি করে জনগণকে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছেন এবং অধিকার আদায়ের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এরপর জনগণ যখন তাকে যখন মেন্ডেট দিয়েছেন তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশের আইনি কাঠামো পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্চর্যজনক বিষয়- বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সে জন্য হাইকোর্ট গেলে হাইকোর্টের সাত জন বিচারতি বিব্রতবোধ করে এ মামলার শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন।’

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন আমরা বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সংবিধান দিয়েছেন। বিনিময়ে আমরা তাকে হত্যা করেছি। আমরা এ কলঙ্ক কোনোদিন মোচন করতে পারব না।’

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।