ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বব্যাংকের ৬৪০ মিলিয়ন ডলার সহায়তায় জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে বাংলাদেশের দুটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

জ্বালানি নিরাপত্তা প্রকল্পের প্রতীকী চিত্র


এই অর্থায়নে দেশের গ্যাস সরবরাহ নিরাপদ হবে এবং বায়ু মান উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক সুফল মিলবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ রোধ বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ইস্যু। এই প্রকল্পগুলো প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।”

 প্রকল্প ১: জ্বালানি খাত নিরাপত্তা উন্নয়ন (৩৫০ মিলিয়ন ডলার)

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পেট্রোবাংলার গ্যাস সরবরাহে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, এলএনজি আমদানিতে অর্থায়নের সহজ ব্যবস্থা এবং ২.১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেসরকারি বিনিয়োগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বর্তমানে দেশের প্রায় ২৫% গ্যাস এলএনজি থেকে আসে এবং গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই প্রকল্প সেই ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের টিম লিডার ওলাঙ্কা বিসিরিয়ু ইডেবিরি বলেন, “এই উদ্যোগ শিল্প ও গার্হস্থ্য বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থিতিশীলতা আনবে।”

প্রকল্প ২: বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প (২৯০ মিলিয়ন ডলার)

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বায়ু মান উন্নয়নে নেওয়া হচ্ছে বিস্তৃত উদ্যোগ।

এতে থাকবে—

  • নতুন বায়ু মান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র,

  • রিয়েল টাইম ইমিশন মনিটরিং সিস্টেম,

  • ৪০০টি শূন্য নির্গমন বৈদ্যুতিক বাস,

  • নতুন ৫টি যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র,

  • ২০টি মোবাইল ইমিশন টেস্ট ইউনিট।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আনা লুইসা গোমস লিমা জানান, “এটি দেশের পরিবেশ রক্ষায় একটি বড় ধাপ। এই প্রকল্প আঞ্চলিক সহযোগিতাও বাড়াবে।”

এই ৬৪০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প দুটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ হ্রাসে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন

আপডেট সময় : ০২:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

বিশ্বব্যাংকের ৬৪০ মিলিয়ন ডলার সহায়তায় জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ কমাতে বাংলাদেশের দুটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

জ্বালানি নিরাপত্তা প্রকল্পের প্রতীকী চিত্র


এই অর্থায়নে দেশের গ্যাস সরবরাহ নিরাপদ হবে এবং বায়ু মান উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক সুফল মিলবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ রোধ বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ইস্যু। এই প্রকল্পগুলো প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।”

 প্রকল্প ১: জ্বালানি খাত নিরাপত্তা উন্নয়ন (৩৫০ মিলিয়ন ডলার)

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পেট্রোবাংলার গ্যাস সরবরাহে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, এলএনজি আমদানিতে অর্থায়নের সহজ ব্যবস্থা এবং ২.১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেসরকারি বিনিয়োগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বর্তমানে দেশের প্রায় ২৫% গ্যাস এলএনজি থেকে আসে এবং গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই প্রকল্প সেই ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের টিম লিডার ওলাঙ্কা বিসিরিয়ু ইডেবিরি বলেন, “এই উদ্যোগ শিল্প ও গার্হস্থ্য বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থিতিশীলতা আনবে।”

প্রকল্প ২: বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প (২৯০ মিলিয়ন ডলার)

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বায়ু মান উন্নয়নে নেওয়া হচ্ছে বিস্তৃত উদ্যোগ।

এতে থাকবে—

  • নতুন বায়ু মান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র,

  • রিয়েল টাইম ইমিশন মনিটরিং সিস্টেম,

  • ৪০০টি শূন্য নির্গমন বৈদ্যুতিক বাস,

  • নতুন ৫টি যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র,

  • ২০টি মোবাইল ইমিশন টেস্ট ইউনিট।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আনা লুইসা গোমস লিমা জানান, “এটি দেশের পরিবেশ রক্ষায় একটি বড় ধাপ। এই প্রকল্প আঞ্চলিক সহযোগিতাও বাড়াবে।”

এই ৬৪০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প দুটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণ হ্রাসে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।