ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

টাকার অভাবে ঘর করতে পারছে না দানেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০ ৯ বার পড়া হয়েছে

সিংড়া (নাটোর) সংবাদদাতাঃ তিন বছর থেকে পড়ে আছে মাটির বাড়ি। টিন দিয়ে পানি পড়ে বিধায় নতুন করে মেরামত করার কাজ শুরু করেছিলেন পাশে ছাপড়া করা টিনের চালায় কোনো রকম বসবাস করে আসছেন। মেরামত করে সব গোছানো টাকা শেষ। ৬ বান্ডিল টিন হলে চালা উঠবে কিন্তুু তিন বছরেও হয়ে উঠেনি। তাই মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে দানেশের পরিবার।

জানা যায়, উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের শালিখা পুর্বপাড়ার বাসিন্দা দানেশ চন্দ্র উড়াও দিনমজুর কাজ করেন। বয়স ৫০ বছর।স্ত্রী রাধিকা রানী। তাঁর চার মেয়েবড় মেয়ে সীমা বিয়ে দিয়েছেন তিন বছর আগে রাতালে গ্রামের এক দিনমজুরের সাথে। সুচনা (১৭) ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করে বাদ দিয়েছেন। বাড়িতেই থাকে। অর্থের অভাবে পড়ালেখা আর করা হয়নি। সুপর্ণা (১৪) সে ব্র্যাকে ৫ শ্রেনী পাশ করেছে। সুচিত্রা (৭) মন্দিরভিত্তিক স্কুলে পড়ালেখা করে। ১২ শতক বসতভিটার জমি ছাড়া আর কিছু নাই।

দানেশ জানায়, টাকার অভাবে বাড়ি করতে পারছিনা। তিন বছর থেকে ভাঙ্গা বাড়িতে বসবাস করে আসছি। টিনের চালায় থাকতে হয় তিন মেয়েকে নিয়ে, রাতে ঘুম হয় না। ঝড়বৃষ্টিতে একাকার হয়ে যায়। দিনমজুরি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে তিনবেলা কোনো রকম ভাত জুটে। টিন কেনার মত সামর্থ নাই। ভেবেছিলাম লোন নিয়ে টিন কিনবো। কিন্তু করোনা এসে তা ও পারছি না। এখন ঝড়বৃষ্টির সময়, মেয়ে একটা বড় হয়ে গেছে। সবদিক থেকে বিপদ। সমাজের অনেক বিত্তবান রয়েছে। ৬ বান্ডিল টিন হলে মাথা গোজার ঠাই হবে দানেশ পরিবারের। কেউ কি এগিয়ে আসতে পারে না হতদরিদ্র এসব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে?

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টাকার অভাবে ঘর করতে পারছে না দানেশ

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

সিংড়া (নাটোর) সংবাদদাতাঃ তিন বছর থেকে পড়ে আছে মাটির বাড়ি। টিন দিয়ে পানি পড়ে বিধায় নতুন করে মেরামত করার কাজ শুরু করেছিলেন পাশে ছাপড়া করা টিনের চালায় কোনো রকম বসবাস করে আসছেন। মেরামত করে সব গোছানো টাকা শেষ। ৬ বান্ডিল টিন হলে চালা উঠবে কিন্তুু তিন বছরেও হয়ে উঠেনি। তাই মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে দানেশের পরিবার।

জানা যায়, উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের শালিখা পুর্বপাড়ার বাসিন্দা দানেশ চন্দ্র উড়াও দিনমজুর কাজ করেন। বয়স ৫০ বছর।স্ত্রী রাধিকা রানী। তাঁর চার মেয়েবড় মেয়ে সীমা বিয়ে দিয়েছেন তিন বছর আগে রাতালে গ্রামের এক দিনমজুরের সাথে। সুচনা (১৭) ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করে বাদ দিয়েছেন। বাড়িতেই থাকে। অর্থের অভাবে পড়ালেখা আর করা হয়নি। সুপর্ণা (১৪) সে ব্র্যাকে ৫ শ্রেনী পাশ করেছে। সুচিত্রা (৭) মন্দিরভিত্তিক স্কুলে পড়ালেখা করে। ১২ শতক বসতভিটার জমি ছাড়া আর কিছু নাই।

দানেশ জানায়, টাকার অভাবে বাড়ি করতে পারছিনা। তিন বছর থেকে ভাঙ্গা বাড়িতে বসবাস করে আসছি। টিনের চালায় থাকতে হয় তিন মেয়েকে নিয়ে, রাতে ঘুম হয় না। ঝড়বৃষ্টিতে একাকার হয়ে যায়। দিনমজুরি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে তিনবেলা কোনো রকম ভাত জুটে। টিন কেনার মত সামর্থ নাই। ভেবেছিলাম লোন নিয়ে টিন কিনবো। কিন্তু করোনা এসে তা ও পারছি না। এখন ঝড়বৃষ্টির সময়, মেয়ে একটা বড় হয়ে গেছে। সবদিক থেকে বিপদ। সমাজের অনেক বিত্তবান রয়েছে। ৬ বান্ডিল টিন হলে মাথা গোজার ঠাই হবে দানেশ পরিবারের। কেউ কি এগিয়ে আসতে পারে না হতদরিদ্র এসব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে?