ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা, রাজধানীজুড়ে বিজিবি-পুলিশ-সেনাবাহিনীর টহল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / 6

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও পুরো রাজধানীতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন। এদিনকে ঘিরে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

সকালে হাইকোর্ট মাজারসংলগ্ন ট্রাইব্যুনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। মোতায়েন রয়েছে বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান। সকাল ৮টার পর থেকে এলাকায় সেনা টহলও শুরু হয়।

ডিএমপি জানিয়েছে, রায় ও রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় প্রায় ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।

নিরাপত্তা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে বুধবার থেকেই ঢাকার প্রবেশপথগুলোয় স্থাপন করা হয়েছে চেকপোস্ট। গণপরিবহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি চলছে। একইসঙ্গে রাতভর শহরের বিভিন্ন হোটেল ও মেসে অভিযান চালানো হয়েছে।

আজ সকালে ঢাকার সড়ক পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকলেও যানবাহনের সংখ্যা ছিল কিছুটা কম। মিরপুর থেকে হাইকোর্টমুখী সড়কগুলোয় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশের কড়া চেকপোস্ট। ওই পথ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই পথে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে শাহবাগের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা, রাজধানীজুড়ে বিজিবি-পুলিশ-সেনাবাহিনীর টহল

আপডেট সময় : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও পুরো রাজধানীতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন। এদিনকে ঘিরে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

সকালে হাইকোর্ট মাজারসংলগ্ন ট্রাইব্যুনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। মোতায়েন রয়েছে বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান। সকাল ৮টার পর থেকে এলাকায় সেনা টহলও শুরু হয়।

ডিএমপি জানিয়েছে, রায় ও রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় প্রায় ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।

নিরাপত্তা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে বুধবার থেকেই ঢাকার প্রবেশপথগুলোয় স্থাপন করা হয়েছে চেকপোস্ট। গণপরিবহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি চলছে। একইসঙ্গে রাতভর শহরের বিভিন্ন হোটেল ও মেসে অভিযান চালানো হয়েছে।

আজ সকালে ঢাকার সড়ক পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকলেও যানবাহনের সংখ্যা ছিল কিছুটা কম। মিরপুর থেকে হাইকোর্টমুখী সড়কগুলোয় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশের কড়া চেকপোস্ট। ওই পথ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই পথে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে শাহবাগের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।