ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতির পাহারাদার সামাদ-রিপন সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্মের অভিযোগ  কুমারখালীতে স্কাউটস কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত ঘুমের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি25 এইচএসসি পরীক্ষা : কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ নিষেধ তেহরানে ‘অযৌক্তিক আগ্রাসন’ চালিয়েছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র : পুতিন ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25 ইরানে মার্কিন হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেল তেলের দাম সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা25 স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ25

ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০ ৯ বার পড়া হয়েছে

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী থেকে : নোয়াখালী, তানোর, সিলেটসহ সারা দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে রাজশাহীতে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১১টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পায়েন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ও গ্রীন ভয়েস রাজশাহী শাখার ব্যানারে এই কর্মসূচী পালিত হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সংহতি জনিয়ে বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং গ্রীন ভয়েসের যৌথ আয়োজনে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মিনহাজ তৌহিদ, এম ওবাইদুল্লাহ ও আব্দুর রহিম মানববন্ধন পরিচালনা করেন। এছাড়াও উপস্থিত থেকে মানববন্ধন পরিচালনা করেন পরিবেশ আন্দোলনের নেতা মাহাবুব টুংকু, রাজ, ছাত্র নেতা তামিম সিরাজী। এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন নারী নেত্রী এ্যাড. লিশা আক্তার।

মানববন্ধনে বক্তারা ৬ দফা দাবি জানায়। এসব দাবি দ্রæত বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা। ৬ দফা দাবিসমূহ হলো, ধর্ষণের বিচারের জন্য দ্রæত আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে যেকোন ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড এবং গণধর্ষণ এর ক্ষেত্রে প্রকাশ্য ফাঁসি দিতে হবে। ১৮ বছরের নীচে কোন কিশোর-কিশোরী ধর্ষিত হলে তার পড়াশুনা, চিকিৎসাসহ সকল দায়ভার রাষ্ট্রের নিতে হবে। ধর্ষণ মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এর মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে হবে এবং রায় দ্রæত কার্যকর করতে হবে। ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্বে সংগঠিত সকল ধর্ষণ মামলার বিচারের কাজ নিস্পত্তি করতে হবে। কোন ধর্ষণ মামলায় প্রশাসনের কারো স্বজনপ্রীতি, গাফিলতি ধরা পড়লে অথবা টাকা নিয়ে নিষ্পত্তি করতে চাইলে কিংবা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসময় বক্তারা আরো বলেন, ধর্ষকদের কোন বাবা নেই, কোন মা নেই, কোন জাত নেই, কোন ধর্ম নেই- তাদের একমাত্র পরিচয় তারা ধর্ষক। ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। জাতি, ধর্ম, বর্ণভেদে আসুন সবাই ধর্ষকের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলি। আমাদের মা-বোনেরা নিরাপদে চলাফেরা করুক, আমাদের সন্তানেরা নিরাপদে বেড়ে উঠুক। এসময় প্রতিবাদী মানববন্ধনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, রক্তবন্ধন, ইয়াস, সূর্যকিরোন বাংলাদেশ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ রাজশাহীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সংহতি জানিয়ে একাত্বতা প্রকাশ করেন।

 

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী থেকে : নোয়াখালী, তানোর, সিলেটসহ সারা দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে রাজশাহীতে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১১টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পায়েন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ও গ্রীন ভয়েস রাজশাহী শাখার ব্যানারে এই কর্মসূচী পালিত হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সংহতি জনিয়ে বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং গ্রীন ভয়েসের যৌথ আয়োজনে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মিনহাজ তৌহিদ, এম ওবাইদুল্লাহ ও আব্দুর রহিম মানববন্ধন পরিচালনা করেন। এছাড়াও উপস্থিত থেকে মানববন্ধন পরিচালনা করেন পরিবেশ আন্দোলনের নেতা মাহাবুব টুংকু, রাজ, ছাত্র নেতা তামিম সিরাজী। এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন নারী নেত্রী এ্যাড. লিশা আক্তার।

মানববন্ধনে বক্তারা ৬ দফা দাবি জানায়। এসব দাবি দ্রæত বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা। ৬ দফা দাবিসমূহ হলো, ধর্ষণের বিচারের জন্য দ্রæত আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে যেকোন ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড এবং গণধর্ষণ এর ক্ষেত্রে প্রকাশ্য ফাঁসি দিতে হবে। ১৮ বছরের নীচে কোন কিশোর-কিশোরী ধর্ষিত হলে তার পড়াশুনা, চিকিৎসাসহ সকল দায়ভার রাষ্ট্রের নিতে হবে। ধর্ষণ মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এর মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে হবে এবং রায় দ্রæত কার্যকর করতে হবে। ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্বে সংগঠিত সকল ধর্ষণ মামলার বিচারের কাজ নিস্পত্তি করতে হবে। কোন ধর্ষণ মামলায় প্রশাসনের কারো স্বজনপ্রীতি, গাফিলতি ধরা পড়লে অথবা টাকা নিয়ে নিষ্পত্তি করতে চাইলে কিংবা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসময় বক্তারা আরো বলেন, ধর্ষকদের কোন বাবা নেই, কোন মা নেই, কোন জাত নেই, কোন ধর্ম নেই- তাদের একমাত্র পরিচয় তারা ধর্ষক। ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। জাতি, ধর্ম, বর্ণভেদে আসুন সবাই ধর্ষকের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলি। আমাদের মা-বোনেরা নিরাপদে চলাফেরা করুক, আমাদের সন্তানেরা নিরাপদে বেড়ে উঠুক। এসময় প্রতিবাদী মানববন্ধনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, রক্তবন্ধন, ইয়াস, সূর্যকিরোন বাংলাদেশ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ রাজশাহীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সংহতি জানিয়ে একাত্বতা প্রকাশ করেন।