নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ সোহানা খাতুন, উদ্ধার অভিযান তীব্র
নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ সোহানা খাতুন, উদ্ধার অভিযান তীব্র

- আপডেট সময় : ১০:২৮:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাশগ্রাম এলাকায়, কালী নদীতে গোসল করতে গিয়ে ১৮ বছর বয়সী সোহানা খাতুন নিখোঁজ হয়েছেন। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় উদ্বেগে থাকা শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে উদ্ধারকারীদের নজরে আছে সময়—এই খবরের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার বিকেল তিনটা। এখন পর্যন্ত সোহানা উদ্ধার হয়নি, তবে উদ্ধার অভিযান তীব্র গতিতে চলছে।
ফায়ার সার্ভিস টিম নদীর পানিতে খোঁজাখুঁজিতে লিপ্ত এবং বাইরের দলের উপস্থিতি
কুমারখালী উপজেলার বাশগ্রাম এলাকায়, যেখানে কালী নদীর তীরে উদ্ধারকারীদের দল অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহানা খাতুন স্থানীয় কারিগর পাড়া এলাকার মোঃ গোলাম মাওলার মেয়ে। শুক্রবার বিকেল প্রায় ৩টার সময় সে নদীতে গোসল করতে নামলে কোনো কারণে ভেসে যায়, সে থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে।
আলফাজ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,
“আমরা দেখলাম সে হঠাৎ নদীর গভীরে চলে গেল। তারপর আর তার কোনো ছোঁয়া পাওয়া যায়নি।”
ঘটনার পরপরই কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস একটি উদ্ধারদল পাঠায়। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও সোহানার কোনো সন্ধান না পেয়ে পরে খুলনা থেকে একটি স্পেশাল ডুবুরি দল এসে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। এখনও পর্যন্ত কোনো সফলতা না পাওয়া যাওয়ায়, উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
উদ্বেগ ও সতর্কতা
নদীর এ অংশটি কালী নদী হিসেবে পরিচিত, যা স্থানীয়ভাবে বেশ খাড়া ও জটিল প্রবাহ রয়েছে
গতিপথের বিভিন্ন বাঁকে গভীরতা ছড়িয়ে আছে, যা উদ্ধারকারী বরাবর দুঃসাহসে ভরা।
স্থানীয় ও স্বজনদের দাবি, নদীর প্রবাহ বিশ্লেষণ ও গভীরতাজ্ঞান থাকা জরুরি, যাতে উদ্ধারকারী দল সেই অনুযায়ী অভিযাত্রা চালাতে পারে। পরিবার ও এলাকাবাসী নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছেন—আশা করছে সোহানাকে জীবিত উদ্ধার করা যাবে।
ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরির নগ্ন প্রচেষ্টা
কুমারখালীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রথমে পানি থেকে খোঁজ শুরু করেছিল। বিকেল ৩টা থেকে তারা সার্চ ও উদ্ধার নিয়ে নিয়োজিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ অভিযান করে কোনো সফলতা না পেলে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে খুলনা থেকে আরও একটি বিশেষ ডুবুরি দল শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে এনে দেয়। তাঁরা বেশি অভিজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টা আরও তীব্রভাবে চালাচ্ছে।
স্থানীয় জনমানুষের উৎসাহ ও ব্যস্ততা
সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি মুখইটে ওঠে—নদীর পাড়ে স্বজন ও এলাকাবাসীদের উপস্থিতি দ্বিগুণে গিয়ে পৌঁছেছে। প্রত্যেকেই দুঃখিত, উদ্বিগ্ন এবং অপেক্ষা করছেন খোঁজের কোন ভালো খবরের জন্য। এছাড়া অনেকেই চাইল্ড সেফটি ও নদীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
প্রতিক্রিয়া
কুমারখালী উপজেলা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছেন।
স্থানীয়দের ধারণা, উদ্ধার কাজে আরও আধুনিক ড্রোন ও গভীরতা নির্ণায়ক Sonar ব্যবহারে কার্যকারিতা বাড়ানো যেতে পারে।
আতঙ্ক থাকার পাশাপাশি নদীর প্রবাহ ও মাটি সংশ্লিষ্ট বৈশিষ্ট্য বুঝে উদ্ধার দল কাজ করছে বলে অনেকে জানিয়েছেন; “সঠিক পরিকল্পনা চাই, সময়ের সঙ্গে নগ্ন বাখ্যা”—ওই কথাজুড়ে কোমর বেঁধে উদ্ধার বদলা।
প্রাসঙ্গিক পটভূমি
কালী নদী, যা কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী উপজেলার সীমান্তে প্রবাহিত, এর উত্স মুখটি ডাকুয়া ও গড়াই নদীর সংযোগস্থলে। নদীর একাংশ ঝিনাইদহের শৈলকূপা পর্যন্ত প্রস্থান করে অঞ্চলটিতে নদীর গভীরতা ও পাথুরে প্রান্ত আছে, ফলে সাঁতার দক্ষতা ছাড়া গোসল করা বিপজ্জনক।
সোহানার বয়স ১৮ বছর। তার পরিবার এখনও উন্মাদের মতো অপেক্ষায়। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পরে নদীর আলো কমে যাওয়ায় কাজ কিছুটা কঠিন হয়ে উঠলেও, তারা রাত জেগেই উদ্ধার অভিযান চালাবেন। আগামী দুপুর পর্যন্ত সাফল্য অর্জনের প্রত্যাশা রাখছে পরিবার ও স্থানীয়রা। আমাদের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা—সোহানা যেন নিরুপদ্রব ফিরে পায়।
উপসংহার
দুর্ঘটনা নিয়ে এলাকায় গভীর উদ্বেগ উদ্ধার দল সতর্ক ও পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত পরিবারের হৃৎকম্পে সামাজিক সমর্থন
আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিকল্পিত উদ্ধার-যজ্ঞ প্রয়োজন।
ওই ফ্রেমে শেষ করছি–
আমরা কস্টিয় থেকে নিয়মিত সংবাদ আপডেট নিয়ে হাজির থাকবো, আপনাদের জন্য সর্বশেষ খবর নিয়ে।
– আপনার বিশ্বস্ত সংবাদ সংবাহক।