ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে বিয়ের পর মেয়েকে ফিরিয়ে আনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ এক প্রবাসীর মেয়েকে  বিয়ের পর মেয়ের বাড়ি থেকে মেয়েকে ফিরিয়ে আনাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁওয়ে দু’পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। উভয় পক্ষের আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন প্রেম শেষে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া এলাকার প্রবাসী ফজলুর রহমানের মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তারকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে গত তিন মাস আগে বিয়ে করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার হামছাদী ধনপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে বশির মিয়া। এরপর থেকে বশিরের বাড়িতেই সংসার করছিল ফাতেমা ও বশির। এদিকে, মেয়ের কোন খোঁজ জানার পর মেয়েকে বশিরের বাড়ি সোনারগাঁও এসে মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধ সাজে ছেলে পক্ষ। শুরু হয় কথা কাঁটাকাটি। এক পর্যায় মেয়ের বাড়ি থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনদের ওপর হামলা করে ছেলে পক্ষ। মেয়ে পক্ষের লোকজনও হাতের কাছে পাওয়া লাঠিসোটা দিয়ে পাল্টা হামলা করে ছেলে পক্ষের উপর। এতে উভয় পক্ষের ১৫জনের মতো আহত হয়। আহতরা হলো (ছেলের পক্ষের) বশির মিয়া, দুলাল মিয়া, শান্ত, মোক্তার হোসেন, মিজানুর রহমান, হৃদয়, অনিক মিয়া, হাজেরা বেগম, মেহেরুন আক্তার এবং মেয়ের পক্ষের শাহাবুদ্দিন, আল আমিন, হৃদয় মিয়া, জহির ও আবু বকর অন্যতম।

এদিকে মেয়ের স্বজনদের দাবি, তাদের মেয়ে নাবালিকা এবং তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে বসবাস করেন ফলে অনেক সম্পত্তি রয়েছে। বশির তাদের মেয়ে ফাতেমাকে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্পত্তির লোভে গোপনে বিয়ে করে। এরআগেও, মেয়েকে নিতে বশিরদের বাড়ি গেলে ছেলে পক্ষ খারাপ আচরণ করে এবং েেময়কে লুকিয়ে রাখে। আজ আনতে গেলে আজও তারা পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে সরিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের লোকজনকে আহত করে।

অপরদিকে ছেলের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বশিরকে মেয়ের স্বজনরা জোরপূর্বক তুলে নেওয়া চেষ্টা করলে তারা বাধা দেয়। এসময় মেয়ে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হামছাদিতে থাকা মেয়ের অন্য স্বজনদের নিয়ে তাদের বাড়িঘর ভাংচুরের পর অগ্নি সংযোগ করে তাদের লোকজনকে কুপিয়ে আহত করে।

সোনারগাঁও থানার এসআই আব্দুর রব সোনারগাঁও দর্পণকে জানান, বশির মিয়ার সঙ্গে ফাতেমা আক্তারের গত তিন মাস আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফাতেমা আক্তার তার স্বামী বশির মিয়ার বাড়িতেই বসবাস করছিলেন। গত কিছুদিন আগে ফাতেমা আক্তারকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে ছেলের বাড়িতে আসেন মেয়ে পক্ষ। এসময় মেয়ে তাদের বাড়িতে যেতে অনীহা জানালে ছেলের বাড়ির লোকজনও তাকে যেতে দেয়নি। এতে মেয়ের স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে তর্কবিতর্ক করে চলে যান। পরে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ করার পর মামলা করবে কি-না সে বিষয়েও কিছু জানায়নি বলে গজারিয়া থানার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানান। এ বিষয়ে দু’পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসার কথা ছিল উভয় পক্ষের দিক থেকে। কিন্তু এরমধ্যেই আজকের ঘটনাটি ঘটে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে থানায় দু’পক্ষের লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সোনারগাঁয়ে বিয়ের পর মেয়েকে ফিরিয়ে আনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

আপডেট সময় : ০১:১৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ এক প্রবাসীর মেয়েকে  বিয়ের পর মেয়ের বাড়ি থেকে মেয়েকে ফিরিয়ে আনাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁওয়ে দু’পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। উভয় পক্ষের আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন প্রেম শেষে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া এলাকার প্রবাসী ফজলুর রহমানের মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তারকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে গত তিন মাস আগে বিয়ে করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার হামছাদী ধনপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে বশির মিয়া। এরপর থেকে বশিরের বাড়িতেই সংসার করছিল ফাতেমা ও বশির। এদিকে, মেয়ের কোন খোঁজ জানার পর মেয়েকে বশিরের বাড়ি সোনারগাঁও এসে মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধ সাজে ছেলে পক্ষ। শুরু হয় কথা কাঁটাকাটি। এক পর্যায় মেয়ের বাড়ি থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনদের ওপর হামলা করে ছেলে পক্ষ। মেয়ে পক্ষের লোকজনও হাতের কাছে পাওয়া লাঠিসোটা দিয়ে পাল্টা হামলা করে ছেলে পক্ষের উপর। এতে উভয় পক্ষের ১৫জনের মতো আহত হয়। আহতরা হলো (ছেলের পক্ষের) বশির মিয়া, দুলাল মিয়া, শান্ত, মোক্তার হোসেন, মিজানুর রহমান, হৃদয়, অনিক মিয়া, হাজেরা বেগম, মেহেরুন আক্তার এবং মেয়ের পক্ষের শাহাবুদ্দিন, আল আমিন, হৃদয় মিয়া, জহির ও আবু বকর অন্যতম।

এদিকে মেয়ের স্বজনদের দাবি, তাদের মেয়ে নাবালিকা এবং তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে বসবাস করেন ফলে অনেক সম্পত্তি রয়েছে। বশির তাদের মেয়ে ফাতেমাকে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্পত্তির লোভে গোপনে বিয়ে করে। এরআগেও, মেয়েকে নিতে বশিরদের বাড়ি গেলে ছেলে পক্ষ খারাপ আচরণ করে এবং েেময়কে লুকিয়ে রাখে। আজ আনতে গেলে আজও তারা পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে সরিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের লোকজনকে আহত করে।

অপরদিকে ছেলের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বশিরকে মেয়ের স্বজনরা জোরপূর্বক তুলে নেওয়া চেষ্টা করলে তারা বাধা দেয়। এসময় মেয়ে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হামছাদিতে থাকা মেয়ের অন্য স্বজনদের নিয়ে তাদের বাড়িঘর ভাংচুরের পর অগ্নি সংযোগ করে তাদের লোকজনকে কুপিয়ে আহত করে।

সোনারগাঁও থানার এসআই আব্দুর রব সোনারগাঁও দর্পণকে জানান, বশির মিয়ার সঙ্গে ফাতেমা আক্তারের গত তিন মাস আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফাতেমা আক্তার তার স্বামী বশির মিয়ার বাড়িতেই বসবাস করছিলেন। গত কিছুদিন আগে ফাতেমা আক্তারকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে ছেলের বাড়িতে আসেন মেয়ে পক্ষ। এসময় মেয়ে তাদের বাড়িতে যেতে অনীহা জানালে ছেলের বাড়ির লোকজনও তাকে যেতে দেয়নি। এতে মেয়ের স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে তর্কবিতর্ক করে চলে যান। পরে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ করার পর মামলা করবে কি-না সে বিষয়েও কিছু জানায়নি বলে গজারিয়া থানার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানান। এ বিষয়ে দু’পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসার কথা ছিল উভয় পক্ষের দিক থেকে। কিন্তু এরমধ্যেই আজকের ঘটনাটি ঘটে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে থানায় দু’পক্ষের লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।