ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোববার শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা: এনসিপি জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত, ঘোষণা ৫ আগস্ট গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ম তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড,নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিট সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, পিআর পদ্ধতিতে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত অপু বিশ্বাসের কথা আগে জানলে শাকিব খানের সাথে জড়াতাম না: বুবলি এনসিপির জুলাই পদযাত্রা সমাপ্ত ট্রাম্প পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি ও তেলসম্পদ উন্নয়ন বিয়েবাড়িতে ডাকাতি স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট আতিয়ার আটক পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতায় নাকাল শতাধিক পরিবার সদরপুর মেধাবী শিক্ষার্থী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পরীমণির বিয়ে বৈধ কি না, জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৭ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি: ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম বিয়ের ডিভোর্স ও দ্বিতীয় বিয়ের বৈধতা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। আগামী সাত কর্মদিবসে নোটিশের উত্তর না এলে পরীমণি ও তার স্বামী শরীফুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নোটিস পাঠিয়েছেন কুমিল্লা জজকোর্টের জয়নাল আবেদীন মাযহারী নামের এক আইনজীবী।

মঙ্গলবার তাদের (পরিমণি ও রাজ) স্থায়ী ঠিকানায় তিনি এ নোটিস পাঠিয়েছেন। সাত কর্মদিবসের মধ্যে নোটিসের জবাব না পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ নোটিস তেজগাঁও এফডিসির পরীমণির ঠিকানায় এবং রাজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আলমপুর গ্রামের ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী সাংবাদিকদের বলেন, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল নায়িকা পরীমণি যশোরের কেশবপুর এলাকার যুবক ফেরদৌস কবির সৌরভের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন তাদের বিয়ের কাবিন ছিল ১ লাখ টাকা। বিয়েটি রেজিষ্ট্রি হয় কেশবপুর শহরের অফিসপাড়ার পাবলিক ময়দান এলাকার ফাতেমা মঞ্জিলে সেখানকার পৌরসভার কাজী এম ইমরানের হোসেনের মাধ্যমে। পরে এই বিয়ের ডিভোর্স ছাড়াই পরীমণি গত বছর ১৭ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শরীফুল রাজের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এ বিয়ে বেআইনি বলে উল্লেখ করেন তিনি (আইনজীবী)।

এদিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন পরীমণি ও রাজ। নোটিসের সঙ্গে সর্বশেষ বিয়ের কাবিনের কপিও সংযুক্ত করা হয়। পরীমণি পরের বিয়েটি ১০১ টাকা কাবিন করেন।

আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী আরও বলেন, আমি রাজ ও পরীমণি দু’জনকেই আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। এতে আমি জানতে চেয়েছি, পরীমণি তার আগের বিয়ের ডিভোর্স না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এছাড়াও যখন সন্তান সম্ভবা তখন দ্বিতীয় বিয়ের কথা মিডিয়াতে প্রচার করেছেন। আমি নিশ্চিত হয়েছি তার প্রথম বিয়ের ডিভোর্স হয়নি এবং দ্বিতীয় বিয়েরও বৈধতা নেই। দেশের প্রচলিত আইনে তারা অপরাধ করেছেন।

এছাড়াও সন্তান সম্ভবা হয়ে পরে বিয়ে করে পরীমণি মুসলিম রীতিনীতি ভঙ্গ করেছেন। আমি তাদেরকে নোটিসে বলেছি, যদি তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে তা জনসম্মুখে আনার জন্য। নোটিস প্রদানের সাত কর্মদিবসে যদি জবাব না পাওয়া যায় তাহলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

কেন এই আইনি নোটিস? এ বিষয়ে ওই আইনজীবী বলেন, আমি আলোচনায় আসার জন্য এ নোটিস পাঠাই নি, বিবেকের তাড়নায় তা করেছি, এটা আমার দায়িত্বে পড়ে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পরীমণির বিয়ে বৈধ কি না, জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কুমিল্লা প্রতিনিধি: ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম বিয়ের ডিভোর্স ও দ্বিতীয় বিয়ের বৈধতা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। আগামী সাত কর্মদিবসে নোটিশের উত্তর না এলে পরীমণি ও তার স্বামী শরীফুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নোটিস পাঠিয়েছেন কুমিল্লা জজকোর্টের জয়নাল আবেদীন মাযহারী নামের এক আইনজীবী।

মঙ্গলবার তাদের (পরিমণি ও রাজ) স্থায়ী ঠিকানায় তিনি এ নোটিস পাঠিয়েছেন। সাত কর্মদিবসের মধ্যে নোটিসের জবাব না পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ নোটিস তেজগাঁও এফডিসির পরীমণির ঠিকানায় এবং রাজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আলমপুর গ্রামের ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী সাংবাদিকদের বলেন, ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল নায়িকা পরীমণি যশোরের কেশবপুর এলাকার যুবক ফেরদৌস কবির সৌরভের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন তাদের বিয়ের কাবিন ছিল ১ লাখ টাকা। বিয়েটি রেজিষ্ট্রি হয় কেশবপুর শহরের অফিসপাড়ার পাবলিক ময়দান এলাকার ফাতেমা মঞ্জিলে সেখানকার পৌরসভার কাজী এম ইমরানের হোসেনের মাধ্যমে। পরে এই বিয়ের ডিভোর্স ছাড়াই পরীমণি গত বছর ১৭ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শরীফুল রাজের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এ বিয়ে বেআইনি বলে উল্লেখ করেন তিনি (আইনজীবী)।

এদিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন পরীমণি ও রাজ। নোটিসের সঙ্গে সর্বশেষ বিয়ের কাবিনের কপিও সংযুক্ত করা হয়। পরীমণি পরের বিয়েটি ১০১ টাকা কাবিন করেন।

আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী আরও বলেন, আমি রাজ ও পরীমণি দু’জনকেই আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। এতে আমি জানতে চেয়েছি, পরীমণি তার আগের বিয়ের ডিভোর্স না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এছাড়াও যখন সন্তান সম্ভবা তখন দ্বিতীয় বিয়ের কথা মিডিয়াতে প্রচার করেছেন। আমি নিশ্চিত হয়েছি তার প্রথম বিয়ের ডিভোর্স হয়নি এবং দ্বিতীয় বিয়েরও বৈধতা নেই। দেশের প্রচলিত আইনে তারা অপরাধ করেছেন।

এছাড়াও সন্তান সম্ভবা হয়ে পরে বিয়ে করে পরীমণি মুসলিম রীতিনীতি ভঙ্গ করেছেন। আমি তাদেরকে নোটিসে বলেছি, যদি তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে তা জনসম্মুখে আনার জন্য। নোটিস প্রদানের সাত কর্মদিবসে যদি জবাব না পাওয়া যায় তাহলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

কেন এই আইনি নোটিস? এ বিষয়ে ওই আইনজীবী বলেন, আমি আলোচনায় আসার জন্য এ নোটিস পাঠাই নি, বিবেকের তাড়নায় তা করেছি, এটা আমার দায়িত্বে পড়ে।