ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি আমাদের মানতে হবে, বুঝতে হবে’ পুরোনো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি ছক্কার রেকর্ড তামিমের, এক বছরে এত ছয় মারেনি বাংলাদেশও জামালপুরে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, ২০ ফুট জায়গাজুড়ে গর্ত উত্তর সিটির প্রশাসক এজাজকে ঘুষের প্রস্তাব, কর্মকর্তা বরখাস্ত পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে, বসছে প্রশাসক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া ওজোনস্তর রক্ষা সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন-কারখানা-দোকান সংবলিত ভবনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 42

অনলাইন ডেস্ক: পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গোডাউন, কারখানা ও দোকান আছে এমন ভবনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শ্যামপুর ও টঙ্গীতে অস্থায়ী ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখাঁনে স্থায়ী কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের বিষয়ে কি অগ্রগতি হয়েছে তার প্রতিবেদন হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে এই তথ্য আদালতে দাখিল করতে শিল্প সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, রাজউক চেয়ারম্যান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস. এম. মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরোনো ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। এ ঘটনায় ৭১ জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হন। এ দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের লক্ষ্যে বেসরকারি ব্যাংকসমূহ ৩০ কোটি টাকা সরকারি তহবিলে প্রদান করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দূঘর্টনা রোধ করতে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুর্নবাসনের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং ভুক্তভোগী জনগণের পক্ষে ফাতেমা আক্তার এবং নাসির উদ্দীন জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট অন্তবর্তিকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করে।

রুলে চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া বিভিন্ন অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর সরকারের দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন অবৈধ সকল কেমিক্যাল গোডাউন, দোকান, কারখানা এবং ভবন  মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

একইসাথে আদালত পুরান ঢাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সরবরাহ ও হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপন এবং রাস্তা চওড়ার বিষয়ে মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছে আদালত। কেন বিপদজনক পদার্থের ব্যবহার, গুদামজাতকরণ ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ২০ ধারার অধীন বিধি প্রণয়ন করতে বলা হবে না তা জনতে চেয়েছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের ১১টি সংস্থাকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন-কারখানা-দোকান সংবলিত ভবনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

অনলাইন ডেস্ক: পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গোডাউন, কারখানা ও দোকান আছে এমন ভবনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শ্যামপুর ও টঙ্গীতে অস্থায়ী ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখাঁনে স্থায়ী কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের বিষয়ে কি অগ্রগতি হয়েছে তার প্রতিবেদন হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে এই তথ্য আদালতে দাখিল করতে শিল্প সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, রাজউক চেয়ারম্যান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস. এম. মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরোনো ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। এ ঘটনায় ৭১ জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হন। এ দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের লক্ষ্যে বেসরকারি ব্যাংকসমূহ ৩০ কোটি টাকা সরকারি তহবিলে প্রদান করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দূঘর্টনা রোধ করতে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুর্নবাসনের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং ভুক্তভোগী জনগণের পক্ষে ফাতেমা আক্তার এবং নাসির উদ্দীন জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট অন্তবর্তিকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করে।

রুলে চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া বিভিন্ন অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর সরকারের দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন অবৈধ সকল কেমিক্যাল গোডাউন, দোকান, কারখানা এবং ভবন  মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

একইসাথে আদালত পুরান ঢাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সরবরাহ ও হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপন এবং রাস্তা চওড়ার বিষয়ে মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছে আদালত। কেন বিপদজনক পদার্থের ব্যবহার, গুদামজাতকরণ ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ২০ ধারার অধীন বিধি প্রণয়ন করতে বলা হবে না তা জনতে চেয়েছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের ১১টি সংস্থাকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।