ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের হয়ে খেলার কারণ জানালেন হামজা চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / 1

নভেম্বর উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গতকাল বিকেলে ঢাকায় এসেছেন হামজা চৌধুরী। আজ সকালে দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল অপারেটর রবির দূত হয়েছেন। সেখানে তিনি মিডিয়ার সামনে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে নিজের ভাবনার কথা বলেছেন। 

পেশাদার ফুটবলারদের কাছে অর্থ উপার্জনই মুখ্য বিষয়। ফুটবলের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের দূত কিংবা সামাজিক কাজেও যুক্ত হন এজন্য অনেকে। তবে হামজার কাছে অর্থের চেয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও উন্নয়নই বড় বিষয়, ‘আমি টাকার কথা আলাদাভাবে চিন্তা করি না। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও কীভাবে দেশের পরিস্থিতি উন্নত করতে পারি, সেটাই মূল বিষয়। সেই উন্নতিতে নিজের সামর্থ্যমতো অবদান রাখাই বাংলাদেশের হয়ে খেলার অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের সঙ্গে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানে আসাটা উপভোগ করি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ফুটবল খেলতে অনুপ্রাণিত করতে।

হামজা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলেছেন। বাংলাদেশ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৮০’র বেশি। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে যখন দেশে এসেছিলেন সমর্থকদের অকুন্ঠ ভালোবাসা পেয়েছেন। এতে তিনি বেশ খুশি এবং তার বাবা-মাকে চান গর্বিত করতে, ‘আমি শুধু চাই এই দেশের অংশ হতে পেরে গর্ব করতে এবং যেকোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের জন্য। প্রতিটি সন্তানই চায় তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে, আর আমি মনে করি আমি ভাগ্যবান যে আমি পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারি। আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা আমি খুব ভালোভাবে লালন করি।যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার বাচ্চারা বলে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। তাই ইনশাআল্লাহ, তারা মার্চে আবার ফিরে আসবে।’

বাংলাদেশ দলের প্রাণভোমরা এখন হামজা ও সামিত। হামজার প্রত্যাশা বাংলাদেশের মাটি থেকেও অনেক ফুটবলার বেরিয়ে আসার, ‘শুধু দেশের বাইরে থেকে নয়, দেশ থেকেও আমরা অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসতে দেখব। ইনশাআল্লাহ হয়তো একদিন তারা ইউরোপেও খেলবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সবাই দেশ হিসেবে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারব। সবাই মিলে প্রাণপণ চেষ্টা করে দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে পারব, খেলাটা আরও বড় করতে পারব এবং প্রচুর উন্নতি করতে পারব।’

বাংলাদেশ ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে। এরপর ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলা। দুই ম্যাচই জিততে চান হামজা, ‘ইনশাআল্লাহ, আমার সামনে দুটা ম্যাচ আছে। তাই আমি এখন সম্পূর্ণভাবে সেই ম্যাচগুলোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। নিশ্চিত করব যে শতভাগ মনোযোগ দিয়ে যেন খেলতে পারি এবং নিজের সেরাটা দিতে পারি। যা আমাদের জিততে সহায়তা করবে। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে।’

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের হয়ে খেলার কারণ জানালেন হামজা চৌধুরী

আপডেট সময় : ০১:৩০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

নভেম্বর উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গতকাল বিকেলে ঢাকায় এসেছেন হামজা চৌধুরী। আজ সকালে দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল অপারেটর রবির দূত হয়েছেন। সেখানে তিনি মিডিয়ার সামনে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে নিজের ভাবনার কথা বলেছেন। 

পেশাদার ফুটবলারদের কাছে অর্থ উপার্জনই মুখ্য বিষয়। ফুটবলের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের দূত কিংবা সামাজিক কাজেও যুক্ত হন এজন্য অনেকে। তবে হামজার কাছে অর্থের চেয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও উন্নয়নই বড় বিষয়, ‘আমি টাকার কথা আলাদাভাবে চিন্তা করি না। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও কীভাবে দেশের পরিস্থিতি উন্নত করতে পারি, সেটাই মূল বিষয়। সেই উন্নতিতে নিজের সামর্থ্যমতো অবদান রাখাই বাংলাদেশের হয়ে খেলার অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের সঙ্গে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানে আসাটা উপভোগ করি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে ফুটবল খেলতে অনুপ্রাণিত করতে।

হামজা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলেছেন। বাংলাদেশ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৮০’র বেশি। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে যখন দেশে এসেছিলেন সমর্থকদের অকুন্ঠ ভালোবাসা পেয়েছেন। এতে তিনি বেশ খুশি এবং তার বাবা-মাকে চান গর্বিত করতে, ‘আমি শুধু চাই এই দেশের অংশ হতে পেরে গর্ব করতে এবং যেকোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের জন্য। প্রতিটি সন্তানই চায় তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে, আর আমি মনে করি আমি ভাগ্যবান যে আমি পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারি। আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা আমি খুব ভালোভাবে লালন করি।যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার বাচ্চারা বলে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। তাই ইনশাআল্লাহ, তারা মার্চে আবার ফিরে আসবে।’

বাংলাদেশ দলের প্রাণভোমরা এখন হামজা ও সামিত। হামজার প্রত্যাশা বাংলাদেশের মাটি থেকেও অনেক ফুটবলার বেরিয়ে আসার, ‘শুধু দেশের বাইরে থেকে নয়, দেশ থেকেও আমরা অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসতে দেখব। ইনশাআল্লাহ হয়তো একদিন তারা ইউরোপেও খেলবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সবাই দেশ হিসেবে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারব। সবাই মিলে প্রাণপণ চেষ্টা করে দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে পারব, খেলাটা আরও বড় করতে পারব এবং প্রচুর উন্নতি করতে পারব।’

বাংলাদেশ ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে। এরপর ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলা। দুই ম্যাচই জিততে চান হামজা, ‘ইনশাআল্লাহ, আমার সামনে দুটা ম্যাচ আছে। তাই আমি এখন সম্পূর্ণভাবে সেই ম্যাচগুলোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। নিশ্চিত করব যে শতভাগ মনোযোগ দিয়ে যেন খেলতে পারি এবং নিজের সেরাটা দিতে পারি। যা আমাদের জিততে সহায়তা করবে। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে।’