ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তেহরানে ‘অযৌক্তিক আগ্রাসন’ চালিয়েছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র : পুতিন ডুমুরিয়ায় নারী উদ্যোক্তা তপু বিশ্বাসের সফল পটল চাষে চমক25 ইরানে মার্কিন হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেল তেলের দাম সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকায় হাউসবোট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা25 স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ25 মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ ১৮তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের সুযোগ দাবিতে আন্দোলন শুরু ভয়াবহ অসুখের কারণে বিয়ে করছেন না সালমান, জানালেন নিজেই25 নতুন দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ

রাজাপুরে আইনের আশ্রয় চেয়ে হয়রানির শিকার দুই পরিবার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০ ১২ বার পড়া হয়েছে
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ রাজাপুরে আইনের আশ্রয় চেয়ে দুই পরিবার হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে দুই পরিবারের পক্ষে মো. মজিবুর রহমান ও মো. চুন্নু হাওলাদার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী মজিবুর রহমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী হাওলাদারের পুত্র ও মো. চুন্নু হাওলাদার আব্দুল আজিজ হাওলাদারের পুত্র।
সংবাদ সম্মেলনে তারা লিখিত বক্তব্যে জানায়, একই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ইসা, জাকির, ইব্রাহিম, ওসিকদের সাথে অনেক দিন পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েক বার মিমাংসা হলেও প্রতিপক্ষারা মিমাংসা না মেনে গত ১১ ও ১২ নভেম্বর তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিরোধীয় জমির বনজ গাছ কর্তনসহ নির্ধারিত কবরস্থানের প্রাচীর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। মজিবুর ও চুন্নুর পরিবার প্রতিপক্ষকে বাধা দিতে চাইলে তারাও হামলার শিকার হয়। ঐ সময় ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চাইলে স্থানীয় পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং পুলিশ দেখে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মজিবুর ও চুন্নু আইনের আশ্রয় নিতে থানায় আসলে আজ/কাল বলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে পুলিশ। পরে স্থানীয় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হলে তিনি আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
তারা আরো জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। মজিবুর ও চুন্নু কাগজপত্র দেখাতে পারলেও প্রতিপক্ষরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
অভিযুক্ত মো. ইব্রাহিম জানায়, পৈত্তিক সূত্রে আমরা ঐ জমির মালিক। বাড়ির কাজ করতেই ঐ জায়গার গাছ কর্তন করা হয়েছে।
রাজাপুর থানা পরিদর্শর্ক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজদ বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আইনসৃঙ্খালা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কয়েক বার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে জমিজমা বিষয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া উভয় পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনুজা মন্ডল বলেন, থানা পুলিশের অনুরোধে বিরোধীয় ঐ জমি তদন্তে যাই। ১ম পক্ষ তাদের পক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাজাপুরে আইনের আশ্রয় চেয়ে হয়রানির শিকার দুই পরিবার

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ রাজাপুরে আইনের আশ্রয় চেয়ে দুই পরিবার হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে দুই পরিবারের পক্ষে মো. মজিবুর রহমান ও মো. চুন্নু হাওলাদার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী মজিবুর রহমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী হাওলাদারের পুত্র ও মো. চুন্নু হাওলাদার আব্দুল আজিজ হাওলাদারের পুত্র।
সংবাদ সম্মেলনে তারা লিখিত বক্তব্যে জানায়, একই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ইসা, জাকির, ইব্রাহিম, ওসিকদের সাথে অনেক দিন পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েক বার মিমাংসা হলেও প্রতিপক্ষারা মিমাংসা না মেনে গত ১১ ও ১২ নভেম্বর তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিরোধীয় জমির বনজ গাছ কর্তনসহ নির্ধারিত কবরস্থানের প্রাচীর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। মজিবুর ও চুন্নুর পরিবার প্রতিপক্ষকে বাধা দিতে চাইলে তারাও হামলার শিকার হয়। ঐ সময় ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চাইলে স্থানীয় পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং পুলিশ দেখে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মজিবুর ও চুন্নু আইনের আশ্রয় নিতে থানায় আসলে আজ/কাল বলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে পুলিশ। পরে স্থানীয় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হলে তিনি আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
তারা আরো জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। মজিবুর ও চুন্নু কাগজপত্র দেখাতে পারলেও প্রতিপক্ষরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
অভিযুক্ত মো. ইব্রাহিম জানায়, পৈত্তিক সূত্রে আমরা ঐ জমির মালিক। বাড়ির কাজ করতেই ঐ জায়গার গাছ কর্তন করা হয়েছে।
রাজাপুর থানা পরিদর্শর্ক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজদ বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আইনসৃঙ্খালা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কয়েক বার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে জমিজমা বিষয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া উভয় পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনুজা মন্ডল বলেন, থানা পুলিশের অনুরোধে বিরোধীয় ঐ জমি তদন্তে যাই। ১ম পক্ষ তাদের পক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।