সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের

সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের

প্রাইমটিভি বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান সৌদি আরব সফরে যেসব চুক্তি হচ্ছে তার মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তিও আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এ চুক্তির আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ও অন্য সামরিক উপকরণ ক্রয় করবে।

এ প্যাকেজের আওতায় রাডার সিস্টেম ও পরিবহন বিমান কেনার বিষয়টিও আছে বলে জানা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরেই সৌদি আরবের অস্ত্রের বড় সরবরাহকারী দেশ। যদিও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময় ২০২১ সালে।

ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে তখন সৌদি আরবকে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল বাইডেন প্রশাসন।
এর আগে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডও দেশ দুটির সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছিলো যে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ওই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন।
যদিও এ অভিযোগ সৌদি আরব সবসময় প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

সৌদি সফর শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সফরে গাজা পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সময় ভোর ২টা ৪৯ মিনিটে (সৌদি সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে) এয়ার ফোর্স ওয়ান রিয়াদে অবতরণ করে। সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশের সময় এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো তাকে ঘিরে রাখে, যা কূটনৈতিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
রিয়াদ রয়্যাল টার্মিনালে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে রাজকীয় বেগুনি কার্পেট বিছানো হয়। সেখানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানান। পরে টার্মিনালের ভিতরে একটি ঐতিহ্যবাহী কফি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা, এরপর ট্রাম্প নিজ হোটেলের উদ্দেশে রওনা হন।

রিয়াদের রাস্তাগুলোতে সৌদি ও আমেরিকার পতাকা শোভা পাচ্ছিল, সফরের রাজকীয় মর্যাদা তুলে ধরতেই এই আয়োজন। দিনটিতে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক আগমন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, এক সিইও লাঞ্চনে অংশ নেবেন এবং রয়্যাল কোর্টে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

এছাড়াও তিনি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য দেবেন, ইউনেসকো স্বীকৃত ঐতিহাসিক স্থান দিরিয়াহ ও আত-তুরাইফ ঘুরে দেখবেন এবং দিনের শেষে যুবরাজের দেয়া রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন।

বিবিসি

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title