ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘন্টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ৫হাজার পরিবার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 48

লালমনিরহাট সংবাদদাতা : গত ২৪ ঘন্টার ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তার পানি। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফের পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৫ হাজার পরিবার।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টার ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার রাত ৯টা প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে খুলে দেওয়া হয়েছে সবগুলো জলকপাট।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার।
এদিকে হঠাৎ সৃষ্ট বন্যায় তিস্তা চরাঞ্চলে সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনেক মৎস খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে। ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

২৪ ঘন্টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ৫হাজার পরিবার

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

লালমনিরহাট সংবাদদাতা : গত ২৪ ঘন্টার ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তার পানি। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফের পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৫ হাজার পরিবার।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টার ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার রাত ৯টা প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে খুলে দেওয়া হয়েছে সবগুলো জলকপাট।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার।
এদিকে হঠাৎ সৃষ্ট বন্যায় তিস্তা চরাঞ্চলে সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনেক মৎস খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে। ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।