ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন ৮ ভারতীয় সাইক্লিস্ট

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আট জন সাইক্লিস্ট। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগর থেকে রওনা দিয়ে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান তারা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান তারা।

সাইক্লিস্ট দলের নেতৃত্বে থাকা হুগলি সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জীববিদ্যার শিক্ষক শৈবাল ব্যানার্জি বলেন, সহধর্মিণীকে নিয়ে আমি আগেও সাইকেল চালিয়ে এসেছি। ২০১৮ সাল থেকে আমি সস্ত্রীক সাইকেল চালিয়ে এখানে আসি। এবার আমরা এসেছি আট জন। আমার সহধর্মিণী ছাড়াও এই দলে ৫ জন শিক্ষক। একজন আমার ছাত্র, একজন বন্ধু। প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের বেশি সাইকেল চালিয়ে আমি এসেছি।

তিনি বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে অনেক বেশি পাওয়ার এবং অনেক বেশি দেওয়ারও। এই দিনটির কারণে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পেয়েছি। সেদিন ভাষার মর্যাদার দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত করেছিল তৎকালীন পাকিস্তানি প্রশাসন। তাদের এই আত্মত্যাগের প্রতি বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ সারাবিশ্বের মানুষের সম্মান জানানো উচিত। সেই কারণেই আমাদের এখানে আসা। কাঁটাতারের বেড়া ছাড়া এই দুই বাংলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমার ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস সবই এক। আমরা এই কাঁটাতারের ব্যবধান ঘোচাতে চাই। আমরা চাই এই বাংলা ভাষা যেন বিশ্বের এক নম্বর ভাষা হয়ে ওঠে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন ৮ ভারতীয় সাইক্লিস্ট

আপডেট সময় : ০৬:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আট জন সাইক্লিস্ট। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগর থেকে রওনা দিয়ে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান তারা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান তারা।

সাইক্লিস্ট দলের নেতৃত্বে থাকা হুগলি সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জীববিদ্যার শিক্ষক শৈবাল ব্যানার্জি বলেন, সহধর্মিণীকে নিয়ে আমি আগেও সাইকেল চালিয়ে এসেছি। ২০১৮ সাল থেকে আমি সস্ত্রীক সাইকেল চালিয়ে এখানে আসি। এবার আমরা এসেছি আট জন। আমার সহধর্মিণী ছাড়াও এই দলে ৫ জন শিক্ষক। একজন আমার ছাত্র, একজন বন্ধু। প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের বেশি সাইকেল চালিয়ে আমি এসেছি।

তিনি বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে অনেক বেশি পাওয়ার এবং অনেক বেশি দেওয়ারও। এই দিনটির কারণে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পেয়েছি। সেদিন ভাষার মর্যাদার দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত করেছিল তৎকালীন পাকিস্তানি প্রশাসন। তাদের এই আত্মত্যাগের প্রতি বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ সারাবিশ্বের মানুষের সম্মান জানানো উচিত। সেই কারণেই আমাদের এখানে আসা। কাঁটাতারের বেড়া ছাড়া এই দুই বাংলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমার ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস সবই এক। আমরা এই কাঁটাতারের ব্যবধান ঘোচাতে চাই। আমরা চাই এই বাংলা ভাষা যেন বিশ্বের এক নম্বর ভাষা হয়ে ওঠে।