ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
১ জুলাই কোটা আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান “কোটার বিরুদ্ধে ছাত্র বিদ্রোহ ইতিহাস বদলে দিল ১ জুলাই ২০২৪” কুষ্টিয়ার রুমী সেতুর টোল বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ খালি পেটে খাবার: কোন খাবারগুলো খালি পেটে খাবেন না এবং কেন চিলমারীতে দূর্গম চরাঞ্চলে অপরাধ দমনে ড্রোন নজরদারি নৌ-পথে টহল জোরদার25 আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা25 পরিচালক বলেছে এটা লাগবেই চাইলেও না করতে পারিনি25 সাধারণ ওষুধেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই25 চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু জুলাই গণঅভ্যুত্থান: রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

২৬ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১ ১৬ বার পড়া হয়েছে

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২৬ মার্চের মধ্যে বাতিলের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। আজ বুধবার এক সমাবেশ ও পদযাত্রা থেকে এই দাবি জানিয়ে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবরোধ করা হবে।

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা উপস্থিত হতে পারেননি। তাঁদের দেওয়া একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, এই সরকারের শক্তি আছে, অনেক ক্ষমতা আছে। পুলিশ বাহিনী তাদের হাতে, আমলারা হাতে। তার চেয়েও বেশি শক্তি হলো তারা নির্লজ্জ। কেউ হাঁচি দিলেও তারা থামাতে চায়। এই নিপীড়ক সরকার আছে বলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে। এটি বাতিলের দাবিতে প্রকাশ্যে সবাইকে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই আইনটাই (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী। সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে হলে এই আইন বাতিল করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নতুন আইন করতে হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন নাগরিক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করে। সম্মুখভাগে হুইলচেয়ারে ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন নাগরিক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করে। সম্মুখভাগে হুইলচেয়ারে ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছবি: সাজিদ হোসেন

সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়। মিছিলটি প্রথমে প্রেসক্লাবসংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডে বাধা পড়ে। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি মৎস্য ভবনের সামনে এলে আবারও ব্যারিকেডে পড়ে। সেখান থেকে শাহবাগ এলাকায় এলে সেখানেও ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। তবে এসব ব্যারিকেড পেরিয়ে মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এলে সেখানে শক্ত ব্যারিকেডে আটকা পড়ে মিছিলটি।

পরে সেখানে বক্তব্য দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ২৬ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, এই সময়ের মধ্যে বাতিল করা না হলে পুলিশের ব্যারিকেড তো ভাঙা হবেই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবরোধ করা হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২৬ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি

আপডেট সময় : ১০:০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২৬ মার্চের মধ্যে বাতিলের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। আজ বুধবার এক সমাবেশ ও পদযাত্রা থেকে এই দাবি জানিয়ে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবরোধ করা হবে।

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা উপস্থিত হতে পারেননি। তাঁদের দেওয়া একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, এই সরকারের শক্তি আছে, অনেক ক্ষমতা আছে। পুলিশ বাহিনী তাদের হাতে, আমলারা হাতে। তার চেয়েও বেশি শক্তি হলো তারা নির্লজ্জ। কেউ হাঁচি দিলেও তারা থামাতে চায়। এই নিপীড়ক সরকার আছে বলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে। এটি বাতিলের দাবিতে প্রকাশ্যে সবাইকে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই আইনটাই (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী। সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে হলে এই আইন বাতিল করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নতুন আইন করতে হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন নাগরিক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করে। সম্মুখভাগে হুইলচেয়ারে ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন নাগরিক সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করে। সম্মুখভাগে হুইলচেয়ারে ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছবি: সাজিদ হোসেন

সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়। মিছিলটি প্রথমে প্রেসক্লাবসংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডে বাধা পড়ে। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি মৎস্য ভবনের সামনে এলে আবারও ব্যারিকেডে পড়ে। সেখান থেকে শাহবাগ এলাকায় এলে সেখানেও ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। তবে এসব ব্যারিকেড পেরিয়ে মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এলে সেখানে শক্ত ব্যারিকেডে আটকা পড়ে মিছিলটি।

পরে সেখানে বক্তব্য দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ২৬ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, এই সময়ের মধ্যে বাতিল করা না হলে পুলিশের ব্যারিকেড তো ভাঙা হবেই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবরোধ করা হবে।