ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন, প্রধান উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত: গরু আনতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ রাশিয়ার কামচাটকা ভূমিকম্প: ৭.৪ মাত্রার কম্পন, সুনামি সতর্কতা জারি প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন খালেদ মারা গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকার পর জাতীয় সনদ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন ২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির, ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ আলওয়ালিদ জুলাই গণহত্যার, সাবেক মন্ত্রী-আমলাসহ ৩৯ আসামি ট্রাইব্যুনালে গাজায় শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য সংকট চরমে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩০৬

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার তদন্ত

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অর্থ মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নামে তোলা হয় এবং ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনা। সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার মামলাটি শুধু আর্থিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বিশ্বাসের অপব্যবহার বলেও অনেকে মনে করছেন।

দুদক সূত্র বলছে, এই মামলায় এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, তবে প্রয়োজন হলে বিদেশে তদন্ত সহায়তার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (MLA) ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ অনুসন্ধান করতে ইন্টারপোল ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হবে।

তদন্তের মূল পয়েন্ট:

  • ১২টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি

  • ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজে ঋণ নেওয়া

  • ২০০০ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • ভুক্তভোগী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৯টি

  • নেতৃত্বে ছিলেন: সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী

বিশেষ পর্যবেক্ষণ:

এই ধরনের অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি শুধু অর্থনীতিকে দুর্বল করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে। তাই দুদকের এই তদন্তকে দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। অনেকেই বলছেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হবেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার

আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার তদন্ত

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অর্থ মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নামে তোলা হয় এবং ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনা। সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার মামলাটি শুধু আর্থিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বিশ্বাসের অপব্যবহার বলেও অনেকে মনে করছেন।

দুদক সূত্র বলছে, এই মামলায় এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, তবে প্রয়োজন হলে বিদেশে তদন্ত সহায়তার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (MLA) ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ অনুসন্ধান করতে ইন্টারপোল ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হবে।

তদন্তের মূল পয়েন্ট:

  • ১২টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি

  • ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজে ঋণ নেওয়া

  • ২০০০ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • ভুক্তভোগী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৯টি

  • নেতৃত্বে ছিলেন: সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী

বিশেষ পর্যবেক্ষণ:

এই ধরনের অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি শুধু অর্থনীতিকে দুর্বল করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে। তাই দুদকের এই তদন্তকে দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। অনেকেই বলছেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হবেন।