ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেইনসাফির রাজনীতি নয়, সত্যের পথে থাকতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ যারা ১০ আসনও পাবে না, তারাই নির্বাচন বানচাল করতে চায়: রুমিন ফারহানা ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই : শফিকুল আলম তারেক রহমান যেদিন ফিরবেন সেদিন বিএনপির অর্ধেক প্রচারণা হয়ে যাবে : সালাহউদ্দিন আহমদ এশিয়ায় ঋণ খেলাপির শীর্ষে বাংলাদেশ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: ডা জাহিদ ষড়যন্ত্র করে জাকির খানের সৈনিকদের দমানো যাবে না: মিঠু কেন উত্তাল ইন্দোনেশিয়া, কী চায় বিক্ষোভকারীরা? যুদ্ধের পর ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে ২৬ দেশ: ম্যাক্রোঁ

শুভ জন্মদিন হুমায়ুন ফরীদি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১
  • / 29

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘শুভ জন্মদিন। অভিনয় কলায় আপনার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি (পদক) না প্রাপ্তির অপূর্ণতা; আমাদের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ।’ অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে নিয়ে কবি, লোকসাহিত্য গবেষক রাজু অনার্যের দেয়া এই পোস্টের মতো অসংখ্য পোস্ট আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। জন্মদিনে ভক্তরা এভাবেই স্মরণ করছেন তাদের প্রিয় অভিনেতাকে।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে যে ক’জন অভিনয়শিল্পী মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র- তিন মাধ্যমেই তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি তাদের অন্যতম। যদিও এই তালিকা খুব লম্বা ছিল না। এই গুণী শিল্পী কাটিয়েছেন দীর্ঘ বর্ণাঢ্য অভিনয়জীবন। আজ এই কিংবদন্তির ৬৯তম জন্মবার্ষিকী।

হুমায়ুন ফরীদির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৯ মে, ঢাকার নারিন্দায়। বাবার নাম এটিএম নুরুল ইসলাম, মায়ের নাম বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে ফরীদি ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৭০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি তাতে যোগ দেন।

স্বাধীনতার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক শ্রেণীতে শিক্ষাজীবন শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। এখানেই তার অভিনয় প্রতিভার বিকাশ। নাট্যগুরু সেলিম আল দীনের কাছে নাট্যতত্ত্বে দীক্ষা নেন। যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে। সহজাত অভিনয়-গুণে আদায় করে নেন দর্শকের ভালোবাসা।

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘নীল নকশার সন্ধ্যায়’ ও ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’ নাটকে অভিনয় করে হুমায়ুন ফরীদি সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’ আজও দর্শকের স্মৃতির পাতায় ভাস্বর। এতে কানকাটা রমজান চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।

বহুমাত্রিক এই অভিনেতা এক সময় জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। এখানেও সাফল্যের দেখা পান তিনি। খুব কম সময়ে অধিকার করেন শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতার স্থান। বাংলা চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে তিনি যোগ করেন নতুন মাত্রা। তিনি ‘মাতৃত্ব’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ২০০৪ সালে।

২০১২ সালে ফাল্গুনের প্রথম দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে বাংলাদেশের অভিনয়-জগতের উজ্জ্বলতম এই শিল্পী মারা যান।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শুভ জন্মদিন হুমায়ুন ফরীদি

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘শুভ জন্মদিন। অভিনয় কলায় আপনার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি (পদক) না প্রাপ্তির অপূর্ণতা; আমাদের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ।’ অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে নিয়ে কবি, লোকসাহিত্য গবেষক রাজু অনার্যের দেয়া এই পোস্টের মতো অসংখ্য পোস্ট আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। জন্মদিনে ভক্তরা এভাবেই স্মরণ করছেন তাদের প্রিয় অভিনেতাকে।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে যে ক’জন অভিনয়শিল্পী মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র- তিন মাধ্যমেই তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি তাদের অন্যতম। যদিও এই তালিকা খুব লম্বা ছিল না। এই গুণী শিল্পী কাটিয়েছেন দীর্ঘ বর্ণাঢ্য অভিনয়জীবন। আজ এই কিংবদন্তির ৬৯তম জন্মবার্ষিকী।

হুমায়ুন ফরীদির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৯ মে, ঢাকার নারিন্দায়। বাবার নাম এটিএম নুরুল ইসলাম, মায়ের নাম বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে ফরীদি ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৭০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি তাতে যোগ দেন।

স্বাধীনতার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক শ্রেণীতে শিক্ষাজীবন শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। এখানেই তার অভিনয় প্রতিভার বিকাশ। নাট্যগুরু সেলিম আল দীনের কাছে নাট্যতত্ত্বে দীক্ষা নেন। যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে। সহজাত অভিনয়-গুণে আদায় করে নেন দর্শকের ভালোবাসা।

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘নীল নকশার সন্ধ্যায়’ ও ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’ নাটকে অভিনয় করে হুমায়ুন ফরীদি সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’ আজও দর্শকের স্মৃতির পাতায় ভাস্বর। এতে কানকাটা রমজান চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।

বহুমাত্রিক এই অভিনেতা এক সময় জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। এখানেও সাফল্যের দেখা পান তিনি। খুব কম সময়ে অধিকার করেন শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতার স্থান। বাংলা চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে তিনি যোগ করেন নতুন মাত্রা। তিনি ‘মাতৃত্ব’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ২০০৪ সালে।

২০১২ সালে ফাল্গুনের প্রথম দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে বাংলাদেশের অভিনয়-জগতের উজ্জ্বলতম এই শিল্পী মারা যান।