ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তেহরানে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার25 পদ্মার ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন তীরবর্তী মানুষ, বাড়ছে নদীর পানি মোবাইল চুরির দায়ে খুনের ঘটনায় পাবনায় দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট ৩১ দফা বাস্তবায়নে মাঠে আবুল কাউছার আশা, চলছে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ25 সিএসএস ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প কুমারখালীতে অনুষ্ঠিত: শতাধিক নারী-শিশু পেল সেবা কুড়িগ্রামের বহুদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রশাসনের সক্রিয়তা25 ড্রিমলাইনার নিয়ে সতর্ক বিমান, ফ্লাইটের আগে করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ইন্সপেকশন ‘ভয় দেখিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার থেকে দূরে সরানো যাবে না’25 ঢাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা25 ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত25

আইভী কোনো ফ্যাক্টর নয়: খেলা হয়েছে ‘সরকার বনাম তৈমূর’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার দাবি করেন, আইভী কোনো ফ্যাক্টর নয়। খেলা হয়েছে ‘সরকার বনাম তৈমূর’।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলাম, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে। আপনি একমাত্র ক্ষমতার মালিক। নারায়ণগঞ্জে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। এতে ওনার ইমেজ বৃদ্ধি পেত। উনি বিবেচনায় নেননি, তাই এমন ফলাফল। প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইভিএম কারচুপির কারণে পরাজয়। ইভিএম চুরির বাক্স। নারায়ণঞ্জের নির্বাচনের ফলাফল কী হয়েছে সেই বিবেচনার ভার আমি প্রধানমন্ত্রীকে দিলাম।’

রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসব কথা বলেন।

তৈমূর বলেন, ‘ভোটে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তবে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারেনি। না হলে ভোটের ব্যবধান এত হতো না।’

তৈমূর অভিযোগ করেন, ইভিএম স্লো থাকার কারণে অনেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে গেছেন। কোথাও কোথাও অকেজো ও হ্যাং হয়ে গেছে। তা ছাড়া ভেতর থেকেও ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে। তা না হলে ব্যবধান এত বেশি হতো না।

ধরপাকড়ের অভিযোগ করে তৈমূর আরো বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালের মতো মানুষের বাসায় নির্বাচনের আগের দিন অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁর ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। এমন কোনো কর্মী নেই যার বাড়িতে পুলিশ যায়নি, যাকে ভয় দেখানো হয়নি।’

সিটি করপোরেশন চালাতে আইভীকে সহযোগিতা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে সহযোগিতা করি কি না তা তাকেই জিজ্ঞেস করেন।’

ভবিষ্যতে বিএনপির রাজনীতি করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে দল লাগে। পদ-পদবি লাগে না। তৈমূর আলম খন্দকারের পদ লাগবে না। বিএনপি আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এটা নিয়েই মরতে চাই।’

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আইভী কোনো ফ্যাক্টর নয়: খেলা হয়েছে ‘সরকার বনাম তৈমূর’

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার দাবি করেন, আইভী কোনো ফ্যাক্টর নয়। খেলা হয়েছে ‘সরকার বনাম তৈমূর’।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলাম, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে। আপনি একমাত্র ক্ষমতার মালিক। নারায়ণগঞ্জে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। এতে ওনার ইমেজ বৃদ্ধি পেত। উনি বিবেচনায় নেননি, তাই এমন ফলাফল। প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইভিএম কারচুপির কারণে পরাজয়। ইভিএম চুরির বাক্স। নারায়ণঞ্জের নির্বাচনের ফলাফল কী হয়েছে সেই বিবেচনার ভার আমি প্রধানমন্ত্রীকে দিলাম।’

রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসব কথা বলেন।

তৈমূর বলেন, ‘ভোটে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তবে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারেনি। না হলে ভোটের ব্যবধান এত হতো না।’

তৈমূর অভিযোগ করেন, ইভিএম স্লো থাকার কারণে অনেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে গেছেন। কোথাও কোথাও অকেজো ও হ্যাং হয়ে গেছে। তা ছাড়া ভেতর থেকেও ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে। তা না হলে ব্যবধান এত বেশি হতো না।

ধরপাকড়ের অভিযোগ করে তৈমূর আরো বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালের মতো মানুষের বাসায় নির্বাচনের আগের দিন অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁর ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। এমন কোনো কর্মী নেই যার বাড়িতে পুলিশ যায়নি, যাকে ভয় দেখানো হয়নি।’

সিটি করপোরেশন চালাতে আইভীকে সহযোগিতা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে সহযোগিতা করি কি না তা তাকেই জিজ্ঞেস করেন।’

ভবিষ্যতে বিএনপির রাজনীতি করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে দল লাগে। পদ-পদবি লাগে না। তৈমূর আলম খন্দকারের পদ লাগবে না। বিএনপি আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এটা নিয়েই মরতে চাই।’