অনলাইন ডেস্ক : এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস-পিওর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
আজ রবিবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এনসিপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যেরও অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের সামনে গেল সপ্তাহে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। আর দুদক গোয়েন্দা অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাদের দুর্নীতির বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করে। সপ্তাহ ব্যবধানে এবার তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি।
তানভীর অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পদে নেই।
ফলে তার কাছে সচিবালয়ে প্রবেশের নির্ধারিত অনুমতিপত্র বা পাস থাকার কথা নয়। তবে অভ্যুত্থানের প্রভাব খাটিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের পাস হাতিয়ে নেন তিনি।
এরপর নিয়মতি সচিবালয়ে গিয়ে ‘তদবির বাণিজ্য’ করতেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, এনসিটিবিতে বই ছাপানোর সময়ও কমিশন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত তানভীর।
এসব অভিযোগ ওঠার পর গত ২১ এপ্রিল দলের যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে সাময়িক বহিষ্কার করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না—এ জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।