বিনোদন ডেস্ক : হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত চেহারা নিক্কি তম্বলি। অংশ নিয়েছেন বিগ বস থেকে খতরো কে খিলাড়ির মতো মাস্টার শেফের মতো রিয়্যালিটি শোতে। সামাজিক মাধ্যমে বিশাল অনুসারী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তারকা মাস্টার শেফ-এ শেষবার তাঁকে দেখা গেছে।
শো শেষ হওয়ার একদিন পরই আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ফুড অ্যালার্জি কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল সেই ঘটনার কথাই বলেছেন নিক্কি।
ভারতের গণমাধ্যম পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ৪ দিন আগে শারীরিক অবস্থা সংকটজনক ছিল।
বন্ধুদের সঙ্গে একটি ডিনার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। উজ্জ্বল লাল বর্ণের ব্যাকলেস ড্রেসে সেখানে যোগদান করেন। সে
বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করা, খাওয়াদাওয়া করা সবটাই আনন্দের সঙ্গে করেছিলেন। কিন্তু, শেল ফিস খেয়ে তো একেবারে জীবন নিয়ে টানাটানি।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতামই না যে শেল ফিসে আমার অ্যালার্জি আছে। কাঁকড়া, চিংড়ি এগুলো খেয়ে যে আমার এইরকম পরিণতি হবে বুঝিনি। আগে কখনও এইরকম হয়নি।’
তিনি বলেন, ৪ টা চিংড়ি খাওয়ার পরই অস্বস্তি শুরু হয়। ফুসফুস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
ফুসফুসের সঙ্গে চোখ-মুখও ক্রমশ ফুলে যাচ্ছিল। পুরো শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যায়। চোখ-মুখ ফুলে কত বড় দেখাচ্ছিল। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছিল হুইলচেয়ারে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা আমার পরিস্থিতি দেখে আইসিইউ-তে ভর্তির পরামর্শ দেন।
নিক্কি তম্বলি দু’দিনের জন্য আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। নিকির পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছিল যে আইসিইউ-তেই একমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু সম্ভব।
এই ঘটনার পর নিক্কি প্রত্যেককে অনুরোধ করেছেন সকলে যেন তাঁদের অ্যালার্জি টেস্ট করিয়ে নেন। নিজের ওই অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে পেয়ে গিয়েছিলেন নিক্কি। তিনি বলেন, ‘খুব অতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।’