ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত25 অভিষেকেই খরুচে বোলিংয়ের বিশ্ব রেকর্ড আইরিশ বোলারের সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকলে কোনো সরকার ফ্যাসিবাদী হতে পারবেনা: এ্যানি25 লক্ষ্মীপুরে আদালতে হাতাহাতির ঘটনায় দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা25 সচিবালয়ের কর্মচারী বিক্ষোভ: মঙ্গলবারও চলবে আন্দোলনের ২য় দিনের কর্মসূচি কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া25 শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ25 ওসিকে ডাকাতদলের সর্দার বললেন বিএনপি নেতা25 ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবই ছাপায় নিম্নমানের কাগজ ব্যবহৃত হয়েছে25

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার তদন্ত

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অর্থ মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নামে তোলা হয় এবং ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনা। সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার মামলাটি শুধু আর্থিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বিশ্বাসের অপব্যবহার বলেও অনেকে মনে করছেন।

দুদক সূত্র বলছে, এই মামলায় এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, তবে প্রয়োজন হলে বিদেশে তদন্ত সহায়তার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (MLA) ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ অনুসন্ধান করতে ইন্টারপোল ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হবে।

তদন্তের মূল পয়েন্ট:

  • ১২টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি

  • ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজে ঋণ নেওয়া

  • ২০০০ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • ভুক্তভোগী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৯টি

  • নেতৃত্বে ছিলেন: সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী

বিশেষ পর্যবেক্ষণ:

এই ধরনের অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি শুধু অর্থনীতিকে দুর্বল করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে। তাই দুদকের এই তদন্তকে দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। অনেকেই বলছেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হবেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার

আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার তদন্ত

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অর্থ মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নামে তোলা হয় এবং ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনা। সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার মামলাটি শুধু আর্থিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বিশ্বাসের অপব্যবহার বলেও অনেকে মনে করছেন।

দুদক সূত্র বলছে, এই মামলায় এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, তবে প্রয়োজন হলে বিদেশে তদন্ত সহায়তার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (MLA) ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ অনুসন্ধান করতে ইন্টারপোল ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হবে।

তদন্তের মূল পয়েন্ট:

  • ১২টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি

  • ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজে ঋণ নেওয়া

  • ২০০০ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • ভুক্তভোগী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৯টি

  • নেতৃত্বে ছিলেন: সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী

বিশেষ পর্যবেক্ষণ:

এই ধরনের অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি শুধু অর্থনীতিকে দুর্বল করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে। তাই দুদকের এই তদন্তকে দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। অনেকেই বলছেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হবেন।