ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ম তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড,নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিট সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের, পিআর পদ্ধতিতে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত অপু বিশ্বাসের কথা আগে জানলে শাকিব খানের সাথে জড়াতাম না: বুবলি এনসিপির জুলাই পদযাত্রা সমাপ্ত ট্রাম্প পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি ও তেলসম্পদ উন্নয়ন বিয়েবাড়িতে ডাকাতি স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট আতিয়ার আটক পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতায় নাকাল শতাধিক পরিবার সদরপুর মেধাবী শিক্ষার্থী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার তদন্ত

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অর্থ মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নামে তোলা হয় এবং ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনা। সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার মামলাটি শুধু আর্থিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বিশ্বাসের অপব্যবহার বলেও অনেকে মনে করছেন।

দুদক সূত্র বলছে, এই মামলায় এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, তবে প্রয়োজন হলে বিদেশে তদন্ত সহায়তার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (MLA) ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ অনুসন্ধান করতে ইন্টারপোল ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হবে।

তদন্তের মূল পয়েন্ট:

  • ১২টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি

  • ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজে ঋণ নেওয়া

  • ২০০০ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • ভুক্তভোগী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৯টি

  • নেতৃত্বে ছিলেন: সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী

বিশেষ পর্যবেক্ষণ:

এই ধরনের অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি শুধু অর্থনীতিকে দুর্বল করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে। তাই দুদকের এই তদন্তকে দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। অনেকেই বলছেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হবেন।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার

আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার তদন্ত

সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার: ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড ও আরও ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অর্থ মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নামে তোলা হয় এবং ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত অর্থ পাচারের ঘটনা। সাঈদা মুনা তাসনিম অর্থ পাচার মামলাটি শুধু আর্থিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও বিশ্বাসের অপব্যবহার বলেও অনেকে মনে করছেন।

দুদক সূত্র বলছে, এই মামলায় এখনো প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে, তবে প্রয়োজন হলে বিদেশে তদন্ত সহায়তার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (MLA) ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ অনুসন্ধান করতে ইন্টারপোল ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চাওয়া হবে।

তদন্তের মূল পয়েন্ট:

  • ১২টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি

  • ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজে ঋণ নেওয়া

  • ২০০০ কোটি টাকার বেশি পাচার

  • ভুক্তভোগী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ৯টি

  • নেতৃত্বে ছিলেন: সাঈদা মুনা তাসনিম ও তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী

বিশেষ পর্যবেক্ষণ:

এই ধরনের অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি শুধু অর্থনীতিকে দুর্বল করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করে। তাই দুদকের এই তদন্তকে দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। অনেকেই বলছেন, এই মামলার যথাযথ বিচার হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিরা সতর্ক হবেন।