খিলক্ষেত মন্দির ধ্বংসে হিন্দু মহাজোটের প্রতিবাদ

- আপডেট সময় : ০২:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বুলডোজার চালিয়ে শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির ও প্রতিমা ধ্বংস, লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অজুহাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তির উপর হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হন হিন্দু নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্যসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, খিলক্ষেতের মন্দিরটি মৌলবাদীদের দাবির মুখে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় এবং প্রতিমা অসম্মান করে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের পাশে থাকা মসজিদ, মাদ্রাসা কিংবা রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো অক্ষত থাকলেও, শুধুমাত্র হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা হয়— যা স্পষ্ট সাম্প্রদায়িকতার বহিঃপ্রকাশ।
তারা আরও বলেন, লালমনিরহাটে পরেশ চন্দ্র শীল ও বিষ্ণুপদ শীলকে ধর্ম অবমাননার অজুহাতে হামলা ও রক্তাক্ত জখম করা হলেও, প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ভুক্তভোগীদেরই মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বৈষম্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি অবহেলা এবং মৌলবাদীদের প্রশ্রয়ের অভিযোগ আনেন। তারা বলেন, সংবিধান ও সংস্কার কমিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধি নেই। প্রশাসনও তালিবানি মতাদর্শে চলছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
হিন্দু মহাজোট ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে দাবি জানায়—
# খিলক্ষেতের মন্দির ধ্বংসের দায়ে রেল উপদেষ্টার পদত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করতে হবে
# সারা দেশের দখল হওয়া মন্দির ও মন্দিরের জায়গাগুলো হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে
# অপরাধীদের মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে হিন্দু সম্প্রদায় ভবিষ্যতের কোনও নির্বাচন বা ভোটে অংশগ্রহণ করবে না।