ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের অপসারণের দাবি ছাত্র আন্দোলনের

বিএনপি উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের অপসারণের দাবি ছাত্র আন্দোলনের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের অপসারণের দাবি ছাত্র আন্দোলনের

জেলা প্রতিনিধিঃ বিএনপি উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের অপসারণের দাবি ছাত্র আন্দোলনের, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ও বিপ্লবী, ছাত্রনেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মানহানি মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিবাদের দালালদের বিএনপির মধ্যে ঠাঁই দেয়া হলে, ভবিষ্যতে দলীয় আদর্শ এবং বিপ্লবের বিশ্বাসযোগ্যতা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

সংগঠনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন,

“আজ আমরা বিপ্লবের এক বছর পূর্তিতে দাঁড়িয়ে দেখছি, কিভাবে বিপ্লবীদের ভয়ভীতি ও মৃত্যুর হুমকি দিয়ে দমন করার চেষ্টা চলছে। বিএনপির উপদেষ্টা পরিচয়ে যে ব্যক্তি আওয়ামী বয়ান তুলে ধরছেন, তার নাম এডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি মুজিববাদী আদর্শের প্রতিনিধি, যিনি বারবার রাজনৈতিক দল বদল করে এখন বিএনপিতে এসে দলের আদর্শকে গালি দিচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন,

“যে ভাষায় ফজলুর রহমান কথা বলেন, সেটি খুনি আওয়ামী লীগের বয়ান ছাড়া কিছুই নয়। শহীদদের অবমাননা ও অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দকে হেয় করার জন্য যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তা বিএনপির জন্য চরম বিব্রতকর ও আত্মঘাতী।”

সংগঠনের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ ফয়সাল প্রিন্স অভিযোগ করে বলেন,

“একটি অনুষ্ঠানে ফজলুর রহমান আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ ইসলাম ও এনসিপি নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে ‘বেজন্মা’ গালি দেন। একজন উপদেষ্টা হয়ে কিভাবে তিনি এ ধরনের অশালীন, অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করতে পারেন?”

তিনি বলেন,

“এই ব্যক্তি বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করছেন ঠিকই, কিন্তু তার কথায় যে ভাষা, তা একেবারে আওয়ামী লীগ মিডিয়া সেলের কণ্ঠস্বর। তিনি গোপনে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে দাবি করা হয়,

“আমরা সিনিয়র নেতাদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু যারা গণবিপ্লবের বিরোধিতা করে, তাদের ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখোমুখি হতেই হবে। ফজলুর রহমান যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন, তাহলে কিশোরগঞ্জের ছাত্র-জনতা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে কঠোর কর্মসূচি দেবে।”

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রনেতারা স্পষ্ট বার্তা দেন,

“এই বাংলার মাটিতে আর কোনো মুজিববাদী শাবক, কোনো ফ্যাসিবাদী এজেন্ট, কোনো মুখোশধারী অপশক্তিকে আমরা বরদাশত করব না। বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে আমাদের উদাত্ত আহ্বান—এডভোকেট ফজলুর রহমানকে দ্রুত উপদেষ্টা পদ থেকে অপসারণ করে বিএনপিকে আদর্শগত মুক্তি দিন।”

এ সময় তারা বিএনপি’র উদীয়মান নেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মানহানির মামলাকে ‘হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে বলেন:

“সারজিস আলম বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আন্দোলনের গতি রোধের চেষ্টা চলছে। যদি আজ তাকে থামানো হয়, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার মতো চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে পারে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-রাতুল নাহিদ ভূইয়া (যুগ্ম আহ্বায়ক), মানস সরকার উৎস (মুখপাত্র, ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই), ইয়াজ ইবনে জসিম (সহ-যুগ্ম সদস্য সচিব), শামসুর রহমান (যুগ্ম সদস্য সচিব), দেলোয়ার নেওয়াজ ভূইয়া (ইটনা উপজেলা সদস্য সচিব), নুহা (সরকারি মহিলা কলেজ শাখার সদস্য সচিব)

বক্তারা বলেন,

“বিপ্লবীদের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। আমরা প্রস্তুত—আদর্শের প্রশ্নে কোনো আপস নয়। ছাত্র সমাজ জেগে উঠেছে, আর কোনো মুখোশধারীর জায়গা নেই।”

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের অপসারণের দাবি ছাত্র আন্দোলনের

বিএনপি উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের অপসারণের দাবি ছাত্র আন্দোলনের

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

জেলা প্রতিনিধিঃ বিএনপি উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের অপসারণের দাবি ছাত্র আন্দোলনের, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ও বিপ্লবী, ছাত্রনেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মানহানি মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিবাদের দালালদের বিএনপির মধ্যে ঠাঁই দেয়া হলে, ভবিষ্যতে দলীয় আদর্শ এবং বিপ্লবের বিশ্বাসযোগ্যতা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

সংগঠনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন,

“আজ আমরা বিপ্লবের এক বছর পূর্তিতে দাঁড়িয়ে দেখছি, কিভাবে বিপ্লবীদের ভয়ভীতি ও মৃত্যুর হুমকি দিয়ে দমন করার চেষ্টা চলছে। বিএনপির উপদেষ্টা পরিচয়ে যে ব্যক্তি আওয়ামী বয়ান তুলে ধরছেন, তার নাম এডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি মুজিববাদী আদর্শের প্রতিনিধি, যিনি বারবার রাজনৈতিক দল বদল করে এখন বিএনপিতে এসে দলের আদর্শকে গালি দিচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন,

“যে ভাষায় ফজলুর রহমান কথা বলেন, সেটি খুনি আওয়ামী লীগের বয়ান ছাড়া কিছুই নয়। শহীদদের অবমাননা ও অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দকে হেয় করার জন্য যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তা বিএনপির জন্য চরম বিব্রতকর ও আত্মঘাতী।”

সংগঠনের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ ফয়সাল প্রিন্স অভিযোগ করে বলেন,

“একটি অনুষ্ঠানে ফজলুর রহমান আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ ইসলাম ও এনসিপি নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে ‘বেজন্মা’ গালি দেন। একজন উপদেষ্টা হয়ে কিভাবে তিনি এ ধরনের অশালীন, অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করতে পারেন?”

তিনি বলেন,

“এই ব্যক্তি বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করছেন ঠিকই, কিন্তু তার কথায় যে ভাষা, তা একেবারে আওয়ামী লীগ মিডিয়া সেলের কণ্ঠস্বর। তিনি গোপনে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে দাবি করা হয়,

“আমরা সিনিয়র নেতাদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু যারা গণবিপ্লবের বিরোধিতা করে, তাদের ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখোমুখি হতেই হবে। ফজলুর রহমান যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন, তাহলে কিশোরগঞ্জের ছাত্র-জনতা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে কঠোর কর্মসূচি দেবে।”

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রনেতারা স্পষ্ট বার্তা দেন,

“এই বাংলার মাটিতে আর কোনো মুজিববাদী শাবক, কোনো ফ্যাসিবাদী এজেন্ট, কোনো মুখোশধারী অপশক্তিকে আমরা বরদাশত করব না। বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে আমাদের উদাত্ত আহ্বান—এডভোকেট ফজলুর রহমানকে দ্রুত উপদেষ্টা পদ থেকে অপসারণ করে বিএনপিকে আদর্শগত মুক্তি দিন।”

এ সময় তারা বিএনপি’র উদীয়মান নেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মানহানির মামলাকে ‘হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে বলেন:

“সারজিস আলম বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আন্দোলনের গতি রোধের চেষ্টা চলছে। যদি আজ তাকে থামানো হয়, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার মতো চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে পারে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-রাতুল নাহিদ ভূইয়া (যুগ্ম আহ্বায়ক), মানস সরকার উৎস (মুখপাত্র, ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই), ইয়াজ ইবনে জসিম (সহ-যুগ্ম সদস্য সচিব), শামসুর রহমান (যুগ্ম সদস্য সচিব), দেলোয়ার নেওয়াজ ভূইয়া (ইটনা উপজেলা সদস্য সচিব), নুহা (সরকারি মহিলা কলেজ শাখার সদস্য সচিব)

বক্তারা বলেন,

“বিপ্লবীদের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। আমরা প্রস্তুত—আদর্শের প্রশ্নে কোনো আপস নয়। ছাত্র সমাজ জেগে উঠেছে, আর কোনো মুখোশধারীর জায়গা নেই।”