ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা : সন্ত্রাসী পাতা সোহেল-সুজন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / 4

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যায় সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন ও সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার ও টঙ্গী এলাকায় অভিযান পরিচালণা করে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪ এর একটি দল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম জানান, বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এব্যপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হেলমেট ও মুখোশ পরা তিন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মিরপুর ১২ নম্বরের বি ব্লকে ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ নামের একটি দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব কিবরিয়াকে হত্যা করে।

এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠে এবং দ্রুত না চালানোয় চালক আরিফ হোসেনের (১৮) কোমরে গুলি করে। আহত অবস্থায় চালককে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

রক্তাক্ত অবস্থায় যুবদল নেতা কিবরিয়াকে শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা জনি ভূঁইয়া (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এরপর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) নিহত কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার ওরফে দীনা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় হাতেনাতে আটক জনিসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন- সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কালু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন (৩০)।

এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পল্লবী থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা : সন্ত্রাসী পাতা সোহেল-সুজন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যায় সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন ও সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার ও টঙ্গী এলাকায় অভিযান পরিচালণা করে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪ এর একটি দল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম জানান, বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এব্যপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হেলমেট ও মুখোশ পরা তিন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মিরপুর ১২ নম্বরের বি ব্লকে ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ নামের একটি দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব কিবরিয়াকে হত্যা করে।

এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠে এবং দ্রুত না চালানোয় চালক আরিফ হোসেনের (১৮) কোমরে গুলি করে। আহত অবস্থায় চালককে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

রক্তাক্ত অবস্থায় যুবদল নেতা কিবরিয়াকে শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা জনি ভূঁইয়া (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এরপর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) নিহত কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার ওরফে দীনা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় হাতেনাতে আটক জনিসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন- সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কালু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন (৩০)।

এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পল্লবী থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।