ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় অদম্য যোদ্ধা ইউএনও মনিরা পারভীন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০ ৬ বার পড়া হয়েছে

বরগুনা প্রতিনিধিঃ করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় জনগণ-কে সেবা দিতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।সব
বাঁধা পেরিয়ে জনগণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। মানবতার জন্য তার এই অবিরাম ছুটে চলা তার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সুচিন্তিত পদক্ষেপ ও সুদৃঢ সিদ্ধান্তের মাধ্যমের অতুলনীয় রেখে চলছেন অদম্য যোদ্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)মনিরাপারভীন।

জানা গেছে,গত ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শুরু হওয়া কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবিরাম ছুটে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন। করোনার শুরুতেই লকডাউনে প্রবাসীসহ সাধারণ জনগণকে ঘরে রাখা, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা, কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন অমান্যকারীদের ঘরে ফেরানোর কাজসহ জনসচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থেকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি হতদরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কিংবা অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য দিনে রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ নিয়ে ছুটে চলেছেন।কাজের ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিদিন সকালে থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার প্রধান প্রধান হাটবাজার ও বিভিন্ন দোকানপাট, বিপণী বিতানগুলোতে নিজ হাতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে মানুষকে সচেতনতা করে চলছেন।করোনার মধ্য ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক আকারে এবং ১১১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করে রেখেছিল।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের  খোঁজ-খবর ও আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের  জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে গেলেন খাবার নিয়ে।

বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আইন বা সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করে থাকেন।বিদেশ ও ঢাকা ফেরত মানুষদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে ১৪ দিন পরে ৩০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়াও পাশাপাশি ১৪দিন কোয়ান্টাইনে থাকা ব্যাক্তিদের তিনি নিজে দেখা শোনা করতো।যার সাহসিকতায় প্রশংসা করছে সচেতন মহল।  সুপার সাইক্লোন ” আম্পান” এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে টীম  প্রস্তুত করি।বরগুনার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাইন বিল্লাহ স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক আমতলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মনিরা পারভীন স্যারের নেতৃত্বে  স্থানীয়  জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগীতায় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতের সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক খোঁজখবর নেয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি জনসচেতনতা কার্যক্রম ও ভালনারেবল জনগোষ্ঠীকে  নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশ্রায়ন কেন্দ্রে আশার  প্রচারণা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, করোনা একটি যুদ্ধ। চ্যালেঞ্জ নিয়ে সকলে মিলে এ যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হবে। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হওয়া যাবে না। নিজে সচেতন থেকে পরিবার পরিজনকে করোনা থেকে বাঁচাতে হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় অদম্য যোদ্ধা ইউএনও মনিরা পারভীন

আপডেট সময় : ০৮:৫০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

বরগুনা প্রতিনিধিঃ করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় জনগণ-কে সেবা দিতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।সব
বাঁধা পেরিয়ে জনগণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। মানবতার জন্য তার এই অবিরাম ছুটে চলা তার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সুচিন্তিত পদক্ষেপ ও সুদৃঢ সিদ্ধান্তের মাধ্যমের অতুলনীয় রেখে চলছেন অদম্য যোদ্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)মনিরাপারভীন।

জানা গেছে,গত ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শুরু হওয়া কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবিরাম ছুটে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন। করোনার শুরুতেই লকডাউনে প্রবাসীসহ সাধারণ জনগণকে ঘরে রাখা, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা, কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন অমান্যকারীদের ঘরে ফেরানোর কাজসহ জনসচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থেকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি হতদরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কিংবা অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য দিনে রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ নিয়ে ছুটে চলেছেন।কাজের ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিদিন সকালে থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার প্রধান প্রধান হাটবাজার ও বিভিন্ন দোকানপাট, বিপণী বিতানগুলোতে নিজ হাতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে মানুষকে সচেতনতা করে চলছেন।করোনার মধ্য ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক আকারে এবং ১১১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করে রেখেছিল।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের  খোঁজ-খবর ও আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের  জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে গেলেন খাবার নিয়ে।

বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আইন বা সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করে থাকেন।বিদেশ ও ঢাকা ফেরত মানুষদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে ১৪ দিন পরে ৩০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়াও পাশাপাশি ১৪দিন কোয়ান্টাইনে থাকা ব্যাক্তিদের তিনি নিজে দেখা শোনা করতো।যার সাহসিকতায় প্রশংসা করছে সচেতন মহল।  সুপার সাইক্লোন ” আম্পান” এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে টীম  প্রস্তুত করি।বরগুনার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাইন বিল্লাহ স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক আমতলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মনিরা পারভীন স্যারের নেতৃত্বে  স্থানীয়  জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগীতায় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতের সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক খোঁজখবর নেয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি জনসচেতনতা কার্যক্রম ও ভালনারেবল জনগোষ্ঠীকে  নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশ্রায়ন কেন্দ্রে আশার  প্রচারণা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, করোনা একটি যুদ্ধ। চ্যালেঞ্জ নিয়ে সকলে মিলে এ যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হবে। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হওয়া যাবে না। নিজে সচেতন থেকে পরিবার পরিজনকে করোনা থেকে বাঁচাতে হবে।