ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে দ্বিতীয় দফার বন্যায় বাড়িঘর-রাস্তাঘাট-ফসলের ক্ষতি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 85

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ডুবে গেছে অধিকাংশ রোপা আমন ধান ও সবজি ক্ষেত। বসতবাড়ি জলাবদ্ধ হয়েছে। রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে। সেই সাথে এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে।

এদিকে পৌর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী সরাসরি বিভিন্ন সড়কে পাইপলাইন স্থাপন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু উপর্যুপুরি বর্ষণে তড়িৎগতিতে জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হচ্ছেনা।

এছাড়া নিচু বসতবাড়িগুলো এখন জলাবদ্ধ। রাস্তাঘাটে জমে থাকছে পানি। উপজেলার আত্রাই, নন্দকুজা, গুমানী, বিশানী, কাটাবাড়ি নদীসহ চলনবিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোও রয়েছে ঝুকির মধ্যে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বিলসা মা জননী সেতুর পাড় ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।

চলনবিলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা হওয়ায় পানি বের হতে দেরি হবে। পিছিয়ে যাবে রসুন, সরিষাসহ রবিশস্যের চাষাবাদ। এতে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোরো ধানের চাষও পিছিয়ে যাবে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়াসহ পাশর্^বর্তী তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার মানুষ।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গুরুদাসপুরে দ্বিতীয় দফার বন্যায় বাড়িঘর-রাস্তাঘাট-ফসলের ক্ষতি

আপডেট সময় : ১১:০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ডুবে গেছে অধিকাংশ রোপা আমন ধান ও সবজি ক্ষেত। বসতবাড়ি জলাবদ্ধ হয়েছে। রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে। সেই সাথে এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে।

এদিকে পৌর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী সরাসরি বিভিন্ন সড়কে পাইপলাইন স্থাপন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু উপর্যুপুরি বর্ষণে তড়িৎগতিতে জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হচ্ছেনা।

এছাড়া নিচু বসতবাড়িগুলো এখন জলাবদ্ধ। রাস্তাঘাটে জমে থাকছে পানি। উপজেলার আত্রাই, নন্দকুজা, গুমানী, বিশানী, কাটাবাড়ি নদীসহ চলনবিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোও রয়েছে ঝুকির মধ্যে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বিলসা মা জননী সেতুর পাড় ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।

চলনবিলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা হওয়ায় পানি বের হতে দেরি হবে। পিছিয়ে যাবে রসুন, সরিষাসহ রবিশস্যের চাষাবাদ। এতে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোরো ধানের চাষও পিছিয়ে যাবে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়াসহ পাশর্^বর্তী তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার মানুষ।