ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঝিনাইদহে শিশুদের জন্য পরিবেশ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সদরপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদ খানের বিদায় সংবর্ধনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি শৈলকুপায় বেণীপুর স্কুলের ১২০ বছরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার পর এবার নেপাল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত ডাকসুতে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাল পাকিস্তান জামায়াত সব সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের র‌্যাংকিং করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ ট্রলারসহ ৩০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালিয়েছেন নেপালের মন্ত্রীরা যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী

ইতালিতে ২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী মেয়ের মাথার খুলি উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০
  • / 27
জাকির হোসেন  সুমন ,  ব্যুরো চিফ ইউরোপ   : ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশী  লিটন  ও সোনিয়া দম্পোতি র ১২ বছরের কন্যা ইউশরা ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই উত্তরাঞ্চলীয় ব্রেশা প্রভিন্সে হারিয়ে যায়  বনাঞ্চলে শিক্ষা সফরে গিয়ে। দুই বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হবার পর  গত ৪ অক্টোবর রবিবার ব্রেশা’র একই পাহাড়িয়া জঙ্গল থেকেই উদ্ধার হয়েছে ইউশরা’র মাথার খুলি।
ইতালিতে বসবাসরত  মাঈনুল ইসলাম নাসিম সূত্রে জানা যায়, ইউশরা’র বাবা কাজী মোহাম্মদ লিটন ১৯৯৫ সাল থেকে ইতালির ব্রেশা’ শহরে বসবাস শুরু করে। কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধীর লক্ষ্মণ থাকায় কিশোরী কাজী জান্নাতুল ইউশরাকে বিশেষ স্কুলে ভর্তি  করা হয় ইতালির প্রচলিত নিয়ম  অনুসারে । ২০১৮ সালে  সেই  দিনটিতে ইউশরা ও তার সমবয়সী সঙ্গীদের  শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়িয়া বনে। দ্বায়িত্বে থাকা  ট্যুর অপারেটরের সতর্ক না থাকায়  সাথিদের  থেকে বিচ্ছিন্ন  হয়ে  হারিয়ে যায় বাংলাদেশি ইউশরা।
নিখোঁজের পর থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর, অত্যাধুনিক ড্রোন, পেশাদার ডুবুরি সেই সাথে বিশ্বের অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে টানা ৭ মাস  অভিযান চালিয়ে ও  উদ্ধার করা যায়নি ইউশরাকে। এক পর্যায়ে  বন্ধ করে দেয়া হয়  উদ্ধার অভিযান৷ লাশের সন্ধান না পাওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় ইউশরা’র সম্ভাব্য নিহত হবার কথা। সন্তান হারা মা কামরুন্নাহার খানম সোনিয়া পথ চেয়ে থাকে সন্তানের।
ইউশরা’র পরিণতি নিয়ে সব জল্পনা কল্পনার মোটামুটি অবসান ঘটলো অবশেষে ২৭ মাসের মাথায় এসে। ব্রেশা প্রভিন্সের সেরলে পৌর এলাকার একই বনাঞ্চলে জনৈক শিকারী গত রবিবার হঠাৎ একটি মাথার খুলি দেখতে পায়। জানানো হয়  প্যারামিলিটারি পুলিশ ফোর্স ,   ‘ক্যারাবিনিয়েরি’। দুই বছর আগে উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারীরা খুলি দেখেই নিশ্চিত হয় এটি ১২ বছর বয়সী কিশোরীর। অফিসিয়ালি নিশ্চিত হতে খুলির ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইতালিতে ২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী মেয়ের মাথার খুলি উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০
জাকির হোসেন  সুমন ,  ব্যুরো চিফ ইউরোপ   : ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশী  লিটন  ও সোনিয়া দম্পোতি র ১২ বছরের কন্যা ইউশরা ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই উত্তরাঞ্চলীয় ব্রেশা প্রভিন্সে হারিয়ে যায়  বনাঞ্চলে শিক্ষা সফরে গিয়ে। দুই বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হবার পর  গত ৪ অক্টোবর রবিবার ব্রেশা’র একই পাহাড়িয়া জঙ্গল থেকেই উদ্ধার হয়েছে ইউশরা’র মাথার খুলি।
ইতালিতে বসবাসরত  মাঈনুল ইসলাম নাসিম সূত্রে জানা যায়, ইউশরা’র বাবা কাজী মোহাম্মদ লিটন ১৯৯৫ সাল থেকে ইতালির ব্রেশা’ শহরে বসবাস শুরু করে। কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধীর লক্ষ্মণ থাকায় কিশোরী কাজী জান্নাতুল ইউশরাকে বিশেষ স্কুলে ভর্তি  করা হয় ইতালির প্রচলিত নিয়ম  অনুসারে । ২০১৮ সালে  সেই  দিনটিতে ইউশরা ও তার সমবয়সী সঙ্গীদের  শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়িয়া বনে। দ্বায়িত্বে থাকা  ট্যুর অপারেটরের সতর্ক না থাকায়  সাথিদের  থেকে বিচ্ছিন্ন  হয়ে  হারিয়ে যায় বাংলাদেশি ইউশরা।
নিখোঁজের পর থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর, অত্যাধুনিক ড্রোন, পেশাদার ডুবুরি সেই সাথে বিশ্বের অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে টানা ৭ মাস  অভিযান চালিয়ে ও  উদ্ধার করা যায়নি ইউশরাকে। এক পর্যায়ে  বন্ধ করে দেয়া হয়  উদ্ধার অভিযান৷ লাশের সন্ধান না পাওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় ইউশরা’র সম্ভাব্য নিহত হবার কথা। সন্তান হারা মা কামরুন্নাহার খানম সোনিয়া পথ চেয়ে থাকে সন্তানের।
ইউশরা’র পরিণতি নিয়ে সব জল্পনা কল্পনার মোটামুটি অবসান ঘটলো অবশেষে ২৭ মাসের মাথায় এসে। ব্রেশা প্রভিন্সের সেরলে পৌর এলাকার একই বনাঞ্চলে জনৈক শিকারী গত রবিবার হঠাৎ একটি মাথার খুলি দেখতে পায়। জানানো হয়  প্যারামিলিটারি পুলিশ ফোর্স ,   ‘ক্যারাবিনিয়েরি’। দুই বছর আগে উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারীরা খুলি দেখেই নিশ্চিত হয় এটি ১২ বছর বয়সী কিশোরীর। অফিসিয়ালি নিশ্চিত হতে খুলির ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।