ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘটনার ১ মাসের মধ্যে চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের  ৪ আসামি আটক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঘটনার ১ মাসের মধ্যে চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের  ৪ আসামিকে আটক করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। (১৩ নভেম্বর) শুক্রবার আসামিদের আটক করা হয়।

আটকৃতরা  হল- রুহিতপুর ইউনিয়নের ধর্মশুর গ্রামের হাজী আব্দুল বারেকের ছেলে লুৎফর রহমান (৪২), একই গ্রামের আনিস আলীর ছেলে মো. হাসান (২৭), কামরাঙ্গীচরের বড় গ্রামের শহিদুল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আলী (২৫) পিতা মনির এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার দড়িহাটি মাইজবাজার এলাকার শহিদুলের ছেলে এনামুল (১৬)।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ওসি (অপারেশনস্) আসাদুজ্জামান টিটু জানান, গত ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখ দিবাগত রাতে অটোরিকশা চালক জুয়েল (২৫ )কে হাত-পা-মুখ বেধে শ্বাসরােধ করে হত্যা করত. অটোরিক্সা ও মােবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।নিহত জুয়েল ভোলা জেলার লাল মোহন থানার তেগাইচ্ছা গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলাম এর ছেলে,নিহত অটো চালক কেরাণীগঞ্জ মডেলধীন  লাকিরচর এলাকায় মাে. সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বসবাস করতেন।সে সময় নিহত জুয়ের লাশ উদ্ধার শেষে মডেল থানায়  অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরূদ্ধে আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলা রুজু হয়।যাহার  নং -৩১ , তাং -১৬/ ১০/ ২০, ধারা-৩০২/২০১/৩৯৪ পেনাল কোড । কু-লেস এই মামলাটি তদন্তের একপর্যায়ে প্রযুক্তি গত কৌশল অবলম্বন করে।অবশেষে ঘাতক আসামিদের আটক করা হয়।

মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত সকল আসামিদের আটক করে  ১৪নভেম্বর শনিবার  বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। আদালতে আসামিগন ১৬৪ ধারা মােতাবেক স্বীকারােক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। ঘটনায় ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধারের লক্ষে অভিযান অব্যাহত আছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সােনাকান্দা আদর্শ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ  এস আই মাহমুদ আলম জানান, আসামিদের আটক করা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিলো। আসামিদের আটক করে পুলিশ প্রমাণ করেছে আপরাধ করে কেউ পার পায়না।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন,  খুন হওয়া ব্যক্তি গরীব ও আসহায় তাই বলে আইন থেমে থাকেনি। পুলিশের অক্লান্ত চেষ্টায় আসামিদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।

নতুন প্রজন্মের অনলাইন টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘটনার ১ মাসের মধ্যে চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের  ৪ আসামি আটক

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঘটনার ১ মাসের মধ্যে চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইকারী চক্রের  ৪ আসামিকে আটক করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। (১৩ নভেম্বর) শুক্রবার আসামিদের আটক করা হয়।

আটকৃতরা  হল- রুহিতপুর ইউনিয়নের ধর্মশুর গ্রামের হাজী আব্দুল বারেকের ছেলে লুৎফর রহমান (৪২), একই গ্রামের আনিস আলীর ছেলে মো. হাসান (২৭), কামরাঙ্গীচরের বড় গ্রামের শহিদুল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আলী (২৫) পিতা মনির এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার দড়িহাটি মাইজবাজার এলাকার শহিদুলের ছেলে এনামুল (১৬)।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ওসি (অপারেশনস্) আসাদুজ্জামান টিটু জানান, গত ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখ দিবাগত রাতে অটোরিকশা চালক জুয়েল (২৫ )কে হাত-পা-মুখ বেধে শ্বাসরােধ করে হত্যা করত. অটোরিক্সা ও মােবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।নিহত জুয়েল ভোলা জেলার লাল মোহন থানার তেগাইচ্ছা গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলাম এর ছেলে,নিহত অটো চালক কেরাণীগঞ্জ মডেলধীন  লাকিরচর এলাকায় মাে. সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বসবাস করতেন।সে সময় নিহত জুয়ের লাশ উদ্ধার শেষে মডেল থানায়  অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরূদ্ধে আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলা রুজু হয়।যাহার  নং -৩১ , তাং -১৬/ ১০/ ২০, ধারা-৩০২/২০১/৩৯৪ পেনাল কোড । কু-লেস এই মামলাটি তদন্তের একপর্যায়ে প্রযুক্তি গত কৌশল অবলম্বন করে।অবশেষে ঘাতক আসামিদের আটক করা হয়।

মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত সকল আসামিদের আটক করে  ১৪নভেম্বর শনিবার  বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। আদালতে আসামিগন ১৬৪ ধারা মােতাবেক স্বীকারােক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। ঘটনায় ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধারের লক্ষে অভিযান অব্যাহত আছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সােনাকান্দা আদর্শ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ  এস আই মাহমুদ আলম জানান, আসামিদের আটক করা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিলো। আসামিদের আটক করে পুলিশ প্রমাণ করেছে আপরাধ করে কেউ পার পায়না।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন,  খুন হওয়া ব্যক্তি গরীব ও আসহায় তাই বলে আইন থেমে থাকেনি। পুলিশের অক্লান্ত চেষ্টায় আসামিদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।